এই ফেসবুক পোস্টটির সঙ্গে অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরের কোনও সম্পর্ক নেই
প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত এটি ২,৫০০-র বেশি শেয়ার করা হয়েছে।
- Total Shares
তাঁর টুইটার থেকে দেখা গেছে যে তিনি রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য প্রায় করেনই না।
শ্রদ্ধা কাপুর কি ২০১০ সালের মাছিল ভুয়ো সংঘর্ষ নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন?
আই সাপোর্ট নরেন্দ্র ভাই মোদী নামে একটি ফেসবুক পেজে একটি টুইট পোস্ট করা হয়েছে যেটি দ্রুত ছড়িয়েও পড়েছে – সেই পোস্টে বলা হয়েছে যে ওই ঘটনা নিয়ে কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন এই অভিনেত্রী।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (এএফডব্লিউএ) দেখেছে যে এই পোস্টটি একেবারেই ভিত্তিহীন, কারণ যে টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই পোস্টটি করা হয়েছে সেই টুইটার হ্যান্ডেলের কোনও অস্তিত্বই নেই।
সেই ফেসবুক পেজের স্ক্রিনশট
ওই ফেসবুক পেজে একটি মন্তব্য করা হয়েছে এবং প্রশ্ন তোলা হয়েছে ২০১০ সালের যে সেনা-সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছিল তার সিদ্ধান্ত নিয়ে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা একরকম বিশ্বাসই করে ফেলেছিলেন যে @Shradha_Kap টুইটার হ্যান্ডেলটি বলিউডের তারকা শ্রদ্ধা কাপুরের এবং তিনি পোস্টটিতে কমেন্ট করেছেন। ওই ভুয়ো টুইটার হ্যান্ডেলটিতে আসল শ্রদ্ধা কাপুরের একটি ছবি রয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত ফেসবুক পেজটি থেকে এটি ২,৫০০-র বেশি শেয়ার করা হয়েছে। আই সাপোর্ট নরেন্দ্র ভাই মোদী ফেসবুক পেজটির অনুসরণকারীর সংখ্যা ১৫,০০,০০০।
আমরা দেখেছি ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত লোকজন @Shradha_Kap এই টুইটার হ্যান্ডেলটিকে ট্যাগ করে অনেক পোস্ট করেছেন।
@Shradha_Kap টুইটার হ্যান্ডেলটিকে ট্যাগ করে পোস্টের স্ক্রিনশট।
সে যাই হোক, টুইটার ইন্ডিয়া এখন এই টুইটার হ্যান্ডেলটিকে বন্ধ করে দিয়েছে।
শ্রদ্ধা কাপুরের প্রকৃত টুইটার হ্যান্ডেলটি হল @ShraddhaKapoor এবং এটিতে নীল রঙের টিক চিহ্ন দেওয়া আছে, যা থেকে বোঝা যায় যে এটিই অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরের প্রকৃত টুইট হ্যান্ডেল।
আমরা তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে গিয়ে দেখেছি যে এই অভিনেত্রী সচরাচর কোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনও পোস্ট করেন না।
শ্রদ্ধা কাপুরের টুইট হ্যান্ডেলের স্ক্রিনশট।
আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্রের রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছি যে জম্মু-কাশ্মীরের মাচিলে এই সংঘর্ষ হয়েছিল ২০১০ সালে। ২০১৩ সালে একজন কর্নেল-সহ ৬ জনের কোর্ট মার্শাল হয়েছিল। এই হত্যার পরে কাশ্মীর উপত্যকা অশান্ত হয়ে উঠেছিল এবং তার জেরে অনেকের মৃত্যু হয়। পরে ২০১৭ সালে ওই আর্মড ফোর্স ট্রাইবুনাল সেই শাস্তি স্থগিত করে দেয় এবং ৬ জনের প্রত্যেককেই জামিন দেয়।
ইন্ডিয়া টুডেও সেই ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
দাবি: ২০১০ সালে সেনার বিরুদ্ধে ওঠা সংঘর্ষের অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর (@Shradha_Kap)।
বাস্তব: @Shradha_Kap টুইটার হ্যান্ডেলটির কোনও অস্তিত্ব নেই। অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর এই ধরনের কোনও পোস্টই করেননি।
আগের প্রতিবেদন পড়ুন: স্টেটব্যাঙ্কের কনট্যাক্টলেস কার্ডের ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে চিন্তিত হবেন না
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে