ফ্যাক্ট চেক: বিভ্রান্তিকর দাবী করে ভাইরাল পুলিশি নির্যাতনের এক ভিডিও
দুবছরের পুরোনো এই ভিডিওটি অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন
- Total Shares
সম্প্রতি লকডাউনের কারণে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি অনেকেই তুলে ধরছেন সোশ্যাল মিডিয়া।
এরই মধ্যে বিভ্রান্তিকর দাবী করে ফেসবুকে ভাইরাল পুলিশি নির্যাতনের এক ভিডিও।পরিযায়ী শ্রমিকদের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে জুড়ে ফেসবুকের সেই পোস্টে দাবী করা হল, ঘটনাটি হরিয়ানার।
ফেসবুক ব্যবহারকারী সার্থক দাস ভাইরাল এই ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, "ওরাও ঘরে ফেরার জন্যই হাঁটা শুরু করেছিল যে, শুধু একটু পথে আশ্রয় চেয়েছিল, তার পরিণতি এই ভিডিও, রাষ্ট্রযন্ত্র তাদের শক্তির মাধ্যমে পদদলিত করল, বুঝিয়ে দিল; আশ্রয় চাওয়া অপরাধ, ঘটনা বিজেপি শাসিত হরিয়ানার, এখানে আশ্রয় চাইলে এমনই নির্মম পরিণতি হয়। আবার এদের মধ্যে সিংহভাগই হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচন অথবা লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কেই ভোট দিয়েছিল হয়তো। শিক্ষার অভাব ওদের আন্দোলিত করেছিল রাম নামে, ভেবেছিল রাম নাম যারা জপে তাদের ভোট দিলে সেইসব সহি হিন্দু রা তাদের রামরাজ্য দেখাবে, সেই মতো এরকম রামরাজ্যই উপহার পেল তারা।"
আপনারা পোস্টটির আর্কাইভ ভার্শন এখানে দেখতে পাবেন।
ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) তদন্তে দেখেছে ভাইরাল এই পোস্টটির দাবীটি বিভ্রান্তিকর।ফেসবুকের এই পোস্টটিতে থাকা ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের লখনউতে হওয়া ২০১৮ সালের একটি ঘটনা।সাম্প্রতিককালে হওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার সাথে এই ভিডিওটির কোনো সম্পর্ক নেই।
তদন্তের শুরুতে আমরা ইনভিড ও রিভার্স সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিডিওটির উৎস খোঁজার চেষ্টা করি।সেখান থেকে আমরা "দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া"র ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসের ২৫ তারিখে আপলোড করা এই ভিডিওটির সন্ধান পাই।
আমরা জানতে পারি এটি লখনউয়ের রিং রোডের ঘটনা যেখানে ভিডিওতে দেখতে পাওয়া পুলিশটি এক অটোচালককে মারধর করছিলেন।অটোচালকটির বিরুদ্ধে জোরে গাড়ি চালানো ও এক রিকশায় ধাক্কা দিয়ে দু'জন মহিলাকে আহত করার অভিযোগ ছিল।ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে অভিযুক্ত পুলিশটি সেখানে পৌঁছন এবং অটোচালকটিকে মারধর করেন।অভিযুক্ত পুলিশটি দাবী করেন অটোচালকটি মদ্যপ ছিলেন ও তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন।
"টাইমস নাও"র এই প্রতিবেদনটিতেও আমরা ঘটনাটির উল্লেখ পাই।
"নিউজ১৮" এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আনন্দ প্রতাপ সিংহ নামের সেই পুলিশ কনস্টেবলটিকে তার এই কাজের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।
অতএব, এর থেকে পরিষ্কার যে ভাইরাল এই ফেসবুক পোস্টটির দাবী বিভ্রান্তিকর।পোস্টটির সাথে থাকা ভিডিওটি ২০১৮ সালে হওয়া উত্তরপ্রদেশের একটি ঘটনা যার সাথে হরিয়ানা অথবা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনো সম্পর্ক নেই।

JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false
