গুরুত্বপূর্ণ নথি ডিজিলকারে পুরে রাখার আগে কয়েকটা দরকারি কথা জেনে রাখুন
এই মুহূর্তে ভারতে মোট ১৩২৫৭৮৬৯ জন এই ডিজি লকার ব্যবহার করেন
- Total Shares
সম্প্রতি একটি নতুন নিয়ম চালু হতে চলেছে সেটা হল এবার থেকে আর গাড়িতে আসল লাইসেন্স কিংবা স্মার্টকার্ড রাখতে হবে না সেগুলো স্ক্যান করে ওই ডিজিলকারে আপলোড করে দিলেই চলবে।
প্রথমেই জানতে হবে ডিজি লকার জিনিষটা ঠিক কি ও কিভাবে কাজ করে?
আমরা আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নথি, ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট প্ৰভৃতি ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত থান জেক ডিজিটাল দুনিয়ায় ক্লাউড বলা হয় সেখানে আপলোড করে রাখা হয়। এই সুরক্ষিত স্থানটির নাম হল 'ডিজিলকার'। কেন্দ্র সরকারের 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া' পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের ডিজিলকার বা ডিজিটাল লকার সিস্টেম যার সহজে মানুষ তাঁদের সমস্থ গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো সেখানে সুরক্ষিত ভাবে রেখে দিতে পারবেন।
এই মুহূর্তে ভারতে মোট ১৩২৫৭৮৬৯ জন এই ডিজি লকার ব্যবহার করেন
এই মুহূর্তে ভারতে মোট ১৩২৫৭৮৬৯ জন এই ডিজি লকার ব্যবহার করেন এবং প্রায় ১৭৯০০৯৪৫ নথি এইভাবে সুরক্ষিত ভাবে জমা রয়েছে। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মানুষজন এই ডিগিলকার সব চেয়ে বেশি ব্যবহার করেন।
ডিজিলকারের সুবিধা হল ব্যবহারকারী যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় বসে নিজের সমস্থ প্রয়োজনীয় নথি নিমেষেই দেখতে পাবেন তাই আসল নোটিগুলো সবসময় সঙ্গে না রাখলেও চলবে।
এবার আসি এই সফটওয়্যারটির নিরাপত্তার দিকে। মাত্র কয়েকদিন আগেই এই পরিষেবাটি চালু হয়েছে তাই বলাই বাহুল্য যে এই মুহূর্তে নিরাপত্তার দিকটাকে বেশ জোরদার করতে সব রকম প্রচেষ্টায় থাকবে।
গাড়িতে আসল লাইসেন্স কিংবা স্মার্টকার্ড সঙ্গে রাখতে হবে না
যতক্ষণ না কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ততক্ষন এই ডিজিলকারের দিকে কোনও রকম আঙ্গুল তোলা যাবে না।
প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে তালে তাল দিয়ে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে ভয় পেয়ে যুগের সঙ্গে তাল না মেলাতে পারলে আমরা নিজেরাই পিছিয়ে পরব। এর একটা কথা প্রথমেই পরিষ্কার করে রাখা দরকার সেটা হল আমরা যেমন বাড়িতে তালা লাগিয়ে আমাদের বাড়িকে সুরক্ষিত রাখে তার মানে কী এই যে সেই তালাটা ভাঙা যাবে না। কিন্তু তালা ভাঙার ভয় কী আমি দরজা খুলে রাখব। তা নয়। তবে নিজের সুরক্ষা নিজের হাতেই। তবে চিন্তার দিক একটা আছে। সেটা হল এই ধরণের নিরাপত্তা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট যদি ভেঙে ফেলা যায় তাই প্রথমেই যে বিশাল সংখক নথির কথা বলেছি সে সব তথ্য চুরি হয়ে যাবে। এখানে আরও একটা ব্যাপার হল অনেক সময় একটা গোটা ওয়েবসাইটকে হ্যাক না করে কোনও একজন ব্যক্তির একাউন্ট হ্যাক করা হয়ে থাকে এই ক্ষেত্রেও কিন্তু সেই সম্ভাবনাটা থেকে যায়।
তাই যিনি এই ডিজিলকার ব্যবহার করেছেন তাঁকেও কয়েকটি সহজ উপায় অবলম্বন করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। একাউন্ট লক করার সময় যে তালা বা পাসওয়ার্ডটি ব্যবহার করতে হবে যাতে সেটা খুব সহজেই অনুমান করা না যায় যেমন নিজের নাম বা নিজের বয়স বা জন্ম তারিক।
নথিগুলি না ডকুমেন্টগুলো ফোনের মাধ্যমে দেখতে হলে আগে স্মার্টফোনে নির্ধিত একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে তারপর সেই অ্যাপটির সাহায্যে নথিগুলি দেখা যাবে। তাই নিজের ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে হবে অবাঞ্চিত সাইট যেমন দেখাটা কোনও কাজের কথা নয় কারণ এর ফলে ফোন বিভিন্ন ভাইরাস ঢুকে পড়তে পারে যার ফলে খুব সহজেই আপনার ফোনটি হ্যাক করতে পারবে যে কেউ।