মেসি-রোনাল্দোদের প্রাথমিক ব্যর্থতায় সেই প্রশ্নই আবার উঠছে, দেশের চেয়ে কি ক্লাবই বড়
তথাকথিত অনামী দল বা ছোট দলগুলোর ভালো খেলাকে ছোট করে দেখা উচিৎ নয়
- Total Shares
ক্লাব না দেশ এই প্রশ্নই আবার উঠে গেল। মেসি-নেইমাররা বোধহয় সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন। বাণিজ্যিকিকরণের যুগে এটা স্বাভাবিক, টাকার বিনিময় মাথা কিনে নেওয়া বলতে যা বোঝায় এটা বোধহয় সেটাই। ভাবা যায়! বিশ্বকাপে খেলতে আসা একটা নতুন দল আইসল্যান্ড, আর তাদের বিরুদ্ধেও নার্ভ ফেল? নাকি, ক্লাব-পেশাদারিত্বের মোড়কে নিজেকে মুড়ে ফেলা?
মেসি প্রথম ম্যাচে সফল নন
নেইমারের অবস্থা আরও করুণ। তিনি তো বল নিয়ে গোল মুখের দিকে এগোলেনই না। নিদেনপক্ষে দূরপাল্লার শট, তাও দেখা গেল কই? বলতেই পারেন, রোনাল্দো পারেন, মেসি-নেইমাররা পারেন না কেন? রোনাল্দো কি তাহলে দেশের হয়ে বেশি সিরিয়াস? আসলে একটা করে ম্যাচ হতে না হতেই এত প্রশ্ন, এত তুলনা -- সবই যে ফুটবলের বিশ্বযজ্ঞের জন্য হচ্ছে, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
! বিশ্বকাপে খেলতে আসা একটা নতুন দল আইসল্যান্ড, আর তাদের বিরুদ্ধেও নার্ভ ফেল?
পেশাদারিত্বের মোড়কে থাকা ইপিএল বা লা লিগা দেখতে দেখতে নামী তারকাদের সমস্ত গতিবিধিই এখন ফুটবলপ্রেমীদের আতস কাচের তলায়। তাই কোনও ভুলচুককেই ভুল বলে মেনে নিতে পারেন না এঁরা। তাই এত শোরগোল। এই মুহূর্তে বিশ্বকাপ ফুটবলের তিন নামী তারকার দেশের হয়ে বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে সফল শুধু ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্দো। মেসি বা নেইমার প্রথম ম্যাচে সফল নন। রোনাল্দো হ্যাট্রিক পেলেও দেশকে কিন্তু জয় এনে দিতে ব্যর্থ। সেই নিরিখে দেখতে গেলে মেসি বা নেইমারকে আরও অনেক বেশি দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে।
নেইমারের অবস্থা আরও করুণ
আরও একটা কথাও বোধহয় হেলাফেলা করার মতো নয় - সেটা হল এদের ক্লাব দলগুলো যতটা ব্যালান্সড ততটা কি দেশের দল নয়? অর্থাৎ, সাপ্লাই লাইন অকেজো বলেই কি এতটা নিষ্প্রভ ওরা? লক্ষ করলে দেখা যাবে রোনাল্দোর তিনটে গোলের দুটোই কিন্তু সেটপিস থেকে। সেটপিসে সফল রোনাল্দোর তাই সে ভাবে বল বাড়ানোর লোক না থাকলেও অসুবিধা হয়নি। সেখানে মেসি ব্যর্থ সেটপিসেও। নেইমারের দল তেমন সুযোগ তৈরিই করতে পারেনি।সুতরাং সব কিছু মিলিয়েই মেসি-নেইমার ভক্তকূল একটু বেশি ভেঙে পড়েছেন।
রোনাল্দোর তিনটে গোলের দুটোই কিন্তু সেটপিস থেকে
এ বারের বিশ্বকাপে তথাকথিত অনামী দল বা ছোট দলগুলোর ভালো খেলাটাকেও তো ছোট করে দেখা উচিৎ নয়। ওদের উঠে আসা বা দলগত লড়াইতেই হয়ত লুকিয়ে থাকছে তারকাদের পিছিয়ে পড়া।
সামনে এখনও অনেকটা পথ। গ্রুপ লিগেই আরও দুটো করে ম্যাচ। মেসি-নেইমাররাও জানেন তাঁরা কি পারেননি। তাই এত তাড়াতাড়ি হতাশ হওয়ার সময় এখনও নয়। দলগত ভাবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনা বা পর্তুগাল কেউই খুব বেশি এগিয়ে নেই।শুধুই তারকা নির্ভর নয়, একজনকে কেন্দ্র করেই উন্মাদনা তৈরি হওয়া দলগুলোর সমর্থকদের তাই ধৈর্য ধরতেই হচ্ছে বাকি ম্যাচগুলোর জন্য।