ডাক্তারি পড়াশোনা বেসরকারিকরণের দিকেই যাচ্ছে, তাই এত জটিলতা

নিট-এর ফলে গরি-মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা ডাক্তারি পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা কোনও মতেই কাম্য নয়

 |  7-minute read |   05-05-2018
  • Total Shares

দেশজুড়ে ডাক্তারিতে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট-ইউজি) ৬ মে। ডাক্তারি কোর্সে ভর্তি হতে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা। কারও কারও মনে আবার আশঙ্কাও দানা বাঁধছে। হবে নাই বা কেন, কথায় বলে, 'ঘর পোড়া গোরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়'।

নিট- এই বিষয়টি নিয়ে ধারণা আজকের নয়। এ নিয়ে পরপর দুইবার নিট-ইউজি পরীক্ষা (২০১৭, ২০১৮) এবং এর আগে ২০১৩ সালে হলেও এর শিকড় অনেক আগে থেকেই প্রোথিত।

মেডিক্যাল শিক্ষার সার্বিক পরিবর্তন ও বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে পূর্বতন কেন্দ্রীয় সরকার, কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ সরকার 'ভিশন ২০১৫' নিয়ে এসেছিল এবং তারা এমসিআই-কে দিয়ে ২০১০ সালে এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বলেছিল যে সারা দেশে মেডিক্যালে এক ও অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু হবে। সেই যুক্তিতে তারা ২০১২ সালে নিট চালু করতে উদ্যোগী হয়। কিন্তু সেবছর তীব্র আন্দোলনের চাপে তা চালু করতে পারেনি। তবে ১বছর পরেই ২০১৩ সালে তা চালু করে। সেই ২০১৩ সালেই সুপ্রিম কোর্টে এক মামলায় বিচারপতি আলতামাস কবিরের এক বেঞ্চ এই নিট-ইউজি কে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করে।

কেন্দ্রের রাজপাটে রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন হয়, কিন্তু নীতির কোনও পরিবর্তন হয় না। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার পুনরায় ২০১৬ সালে নিট চালুর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাই এবং সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে এ বিষয়ে ছাড়পত্র দেয়। এরপর সরকার এমসিআই আইনের সংশোধনী পার্লামেন্টে পাস করে এবং পাকাপাকি ভাবে নিট চালু করে দেয়।

exam_body_050518081800.jpg যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মতো মেডিক্যাল এন্ট্রান্সে সুযোগ পেতেও দেশজুড়েই ছাত্রছাত্রীদের কোচিং সেন্টারে যেতে হত

এ তো গেল ইতিহাস। কিন্তু নিট চালু করতে কি কংগ্রেস কি বিজেপি, উভয় সরকারই কেন এ তো বদ্ধপরিকর? এবং নিট চালুর পক্ষে কিই বা যুক্তি দিচ্ছে?

নিট চালুর উদ্দেশ্য কী?

সরকারি মতে, নিট চালু হলে (১) মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষার মান বাড়বে এবং সারাদেশ জুড়ে একই মান বজায় রাখা যাবে। (২) একটা দেশে একটাই এন্ট্রান্স পরীক্ষা হওয়া উচিৎ (ওয়ান নেশন, ওয়ান এগজামিনেশন)। (৩) নিট চালু হলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। পাশাপাশি এই নিট চালুর জন্য সিবিএসই-কে দায়িত্ব দেওয়া হল। প্রাথমিক ভাবে হিন্দি ও ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র হলেও আন্দোলনের চাপে আরও ৮টি আঞ্চলিক ভাষায় প্রশ্নপত্র করতে বাধ্য হয়। এখন দেখা যাক পূর্বোক্ত যুক্তিগুলি কতটা প্রাসঙ্গিক।

আঞ্চলিক ভাষার ছাত্রছাত্রীরা শেষমেশ বঞ্চিতই হল

প্রথমেই উল্লেখ্য, আমাদের ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া ডিএসও সর্বভারতীয়ভাবে এই পরীক্ষা চালু হওয়ার আগে থেকেই বিরোধিতা করেছিল। ভারতের মতো বহু ভাষাভাষীর দেশ যেখানে নানান রাজ্যের মধ্যে আর্থ-সামাজিক ব্যবধান রয়েছে, রয়েছে গ্রাম-শহরের মধ্যে অনেক তারতম্য, আছে নানারকম ভাষা, চলছে নানা ভাষায় শিক্ষাদান। সেখানে 'এক দেশ-এক পরীক্ষা' এই স্লোগান কতটা যুক্তিযুক্ত? গত বছর আমাদের আশঙ্কাকে সঠিক প্রমাণিত করে হিন্দি-ইংরেজি ছাড়াও মাত্র ৮ টি আঞ্চলিক ভাষায় প্রশ্নপত্র করা হল। ফলে এ প্রশ্ন উঠছেই যে সারাদেশে কি হিন্দি-ইংরেজির পর মাত্র ৮টিই আঞ্চলিক ভাষা? এ প্রশ্নের উত্তর একটি শব্দে -'না'।

cbse_body2_050518082059.jpgসরকারি মতে, নিট চালু হলে মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষার মান বাড়বে এবং সারাদেশ জুড়ে একই মান বজায় রাখা যাবে

আর সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা ঘটল গত বছরের (২০১৭) নিট পরীক্ষাতে। ইংরেজি-হিন্দি প্রশ্নপত্রের সঙ্গে আঞ্চলিক ভাষার প্রশ্নপত্র এক্কেবারে আলাদা। একই দিন, একই নির্ঘণ্ট, একই পরীক্ষায় আলাদা প্রশ্নপত্র কেন হল তা কারও বোধগম্য হল না। ফলে 'এক দেশ-এক পরীক্ষা' র স্লোগান যে গ্যাস বেলুন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই বৈষম্যের ফলে যাঁরা আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা দিলেন তাদের মেধা, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মেধাতালিকায় পিছিয়ে গেলেন, কেউ কেউ আবার ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকেই বঞ্চিত হলেন। আর সুযোগ পেলেন উচ্চবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা, যাঁরা বেসরকারি স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছে।

সরকার প্রণীত এই ওয়ান নেশন, ওয়ান এগজামিনেশন নীতি পরিগণিত হলো বৈষম্য বাড়ানোর নীতিতে।

সিবিএসই'র সিলেবাসই কী সেরা সিলেবাস?

এটা সর্বজনবিদিত যে বিভিন্ন রাজ্যের ১০+২ সিলেবাসের সাথে সিবিএসই র সিলেবাসের বহু পার্থক্য রয়েছে। সিবিএসই-র সিলেবাস মূলত এনসিইআরটি প্রণীত বই-এর অবজেক্টিভ টাইপ, যা বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে বৈসাদৃশ্যময়। একথা মনে রাখা দরকার বিভিন্ন রাজ্য তার আর্থ-সামাজিক বৈশিষ্ট্যকে মাথায় রেখে দীর্ঘদিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও শিক্ষাবিদদের পরামর্শে সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষার আলোকে নিয়ে আসার জন্য রাজ্যগুলিতে নিজস্ব ধাঁচে সিলেবাসগুলি তৈরি হয়েছিল। তা এক ধাক্কায় বাতিল করে সিবিএসই-কে চাপিয়ে দেওয়া বিজ্ঞানসম্মত কি? এ প্রশ্নচিহ্ন কিন্তু আগে থেকেই ছিল এবং গত বছরের পরীক্ষায় তা আরও বিপুলভাবে প্রতীয়মান হল।

সর্বভারতীয় পরীক্ষা নেওয়ার পরিকাঠামো বাস্তবিকই সিবিএসই'র নেই

একথা আজ অভ্রান্ত যে সিবিএসই'র সেই পরিকাঠামো নেই যাতে সে সারাদেশ জুড়ে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নিতে পারে। বিগত বছরগুলিতে এইপিএমটি-তে ১৫% আসনের জন্যই নানা সমস্যার সম্মুখীন হত। বারবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠত। এমনই গতবছর (২০১৭) সিবিএসই পরিচালিত নিট-এর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল। পুলিশের হাতে ধরাও পড়ল বেশ কয়েকটি চক্র।ফলে দুর্নীতির বিষয় থেকে সিবিএসই এক্কেবারেই মুক্ত নয়। উপরন্তু গত ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে সিবিএসই নানা খামখেয়ালিপনা দেখিয়েছে। কখনও বলেছে ৩ বারের বেশি পরীক্ষা দিতে পারবে না, কখনও বা বলেছে ২৫ বছর বয়স পার হলে পরীক্ষা দিতে পারবে না। এর প্রতিবাদে এইডিএসও সারা দেশজুড়ে আন্দোলন করেছে। ফলে এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর করতে পারেনি।

তাছাড়া সিবিএসই'র রাজ্যভিত্তিক কোনও কার্যালয় নেই। তার ফলে ছাত্রছাত্রীদের কোনও সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে কি তাকে দিল্লি যেতে হবে? এ প্রশ্নেরও কোনও সদুত্তর নেই।

আর সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা হল ড্রেস কোডের নামে নোংরামি, যা সভ্যদেশের কেউই মেনে নিতে পারে না।

তাছাড়া কিছু কোচিং সেন্টারের সঙ্গে সিবিএসই'র দহরম-মহরম আজ সর্বজনবিদিত।

নিট আসলে বেসরকারিকরণকে ত্বরান্বিত করছে

সরকারি যুক্তি মতে নিট চালু হলে নাকি বেসরকারি কলেজগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু আদৌ কি তাই? আমরা প্রাথমিকস্তরেই নিট কে বেসরকারিকরণের পিরকল্পনা হিসাবে চিহ্নিত করেছিলাম, বাস্তবিকই তাই হল। সুপ্রিমকোর্ট বলেছে যে সকল সরকারি ও বেসরকারি কলেজে ছাত্রভর্তি করতে হলে অবশ্যই নিট-এ উত্তীর্ণ হতে হবে।

একই সঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের এই নির্দেশকে কার্যকর করা ও বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট কোটাকে টিকিয়ে রাখা - এই দুইকে বাস্তবায়িত করতে তারা নিয়ে এলো নিটে বসার নতুন যে ন্যূনতম যোগ্যতাগুলো ‘পারসেন্টাইল সিস্টেম'। আগের প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলোতে যে ব্যবস্থা ছিল 'পারসেন্টেজ সিস্টেম', তাতে সর্বমোট নম্বরের ৫০% (অসংরক্ষিত)/ ৪০% (সংরক্ষিত) পেতে হত।

আর এখন ৫০ পারসেন্টাইল বা ৪০ পারসেন্টাইল পেলেই হবে। সংখ্যাতত্ত্বের ছাত্রমাত্রই জানেন এই পার্সেন্টেজ ও পার্সেন্টাইলের পার্থক্য। ফলে এখানেও এক পরিসংখ্যানের খেলা চলছে।এই পারসেন্টাইল ব্যবস্থায় খুবই কম নম্বর পেলেও (যা মোট নম্বরের ৫০% এর অনেক অনেক কম) নিট মেধাতালিকাতে নাম আসবে।

cheat_body3_050518081852.jpgসরকারি যুক্তি মতে নিট চালু হলে নাকি বেসরকারি কলেজগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব

ফলে আগে মেধাতালিকা ছাড়া ম্যানেজমেন্ট কোটাতে যারা ভর্তি হতো, তারাই এখন মেধাতালিকার র‍্যাঙ্ক দিয়ে বেসরকারি কলেজে ভর্তি হবে। যার ফলে মেধাতালিকা ও ম্যানেজমেন্ট কোটা - এই দুই দিয়ে বেসরকারি কলেজে টাকা দিয়ে ছাত্র ভর্তি আইনত আরও দৃঢ়তা পেল।

বৃহৎ কোচিং সেন্টার গুলির রমরমা বাড়ছে

যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মতো মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষাতে চান্স পাওয়ার জন্য সারা দেশজুড়েই ছাত্রছাত্রীদের কোচিং সেন্টারে যেতে হতো। নিট-এর সিলেবাস, ভাষা, প্রশ্নপত্রের ধরণ ইত্যাদি রপ্ত করার জন্য বড়বড় কোচিং সেন্টারের রমরমা বেড়েছে। দেশের নানান প্রান্তে 'প্রাইভেট কোচিং ইন্ডাস্ট্রি' লক্ষ-কোটি টাকার ব্যবসা করছে। আজ নিট- আকাঙ্ক্ষী সব ছাত্রছাত্রীই কোচিংমুখী। ফলে গরিব,মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা পক্ষান্তরে বঞ্চিত হচ্ছে মেডিকেল শিক্ষা থেকে।

ডোমিসাইল দুর্নীতি

নিট এর শুরুতেই গতবছর গোটা দেশ প্রত্যক্ষ করল ডোমিসাইল দুর্নীতির।

প্রতিটি রাজ্যের ৮৫% কোটা আছে। সেখানেও থাবা বসানোর জন্য ভিনরাজ্যের তুলনামূলক খারাপ র‍্যাঙ্ক করা ছাত্রছাত্রীরা যারা নিজরাজ্যে ভালো সুযোগ না পেয়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে ভর্তির আবেদন করল! এবং সেখানেও স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র বা ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দিল একশ্রেণীর অসাধু আমলা। ফলে পিছিয়ে পড়া রাজ্যের অনেক আসন অসাধু উপায়ে পেয়ে গেল অন্য রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা। নিট চালু হওয়ার পর এও এক বড়রকমের দুর্নীতি।

কেন্দ্রীয় সরকারের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ

ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে গড়ে ওঠা রাষ্ট্র। ভারতের নানা রাজ্যের মধ্যে আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাগত বৈষম্য রয়েছে। তাই তো এদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক গড়ে উঠেছিল, গড়ে উঠেছিল রাজ্যের বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা। এটাই ছিল নবজাগরণ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের মনীষীদের ধারণা। সে সবকে জলাঞ্জলি দিয়ে কেন্দ্র সরকার শিক্ষাব্যবস্থা বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ আনছে। এই নিয়ন্ত্রণের জন্যই তারা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নিট চালু করেছে। তার সঙ্গে সঙ্গে তারা চালু করতে চলেছে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন। যার জন্য কেন্দ্রে এনএমসি বিল ২০১৬ সংসদে পেশ করেছিল। যেখানে মেডিক্যাল এডুকেশনে নিট, এনএলই এসব নিদান দিয়েছে। স্বশাসিত এমসিএই-কে ভেঙ্গে এনএমসি চালু করবে, যা সারাদেশে মেডিকেল শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এই সবের বিরুদ্ধে আমাদের সংগঠন এএইডিএসও-সহ বিভিন্ন ডাক্তারি সংগঠন লড়ছে।

body2_050518082013.jpgসিবিএসইর সিলেবাস মূলত এনসিইআরটি প্রণীত বই-এর অবজেক্টিভ টাইপ, যা নানান রাজ্যের সঙ্গে বৈসাদৃশ্যময়

এবছর (২০১৮) ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট এ প্রায় সাড়ে তেরো লক্ষ (১৩.৫ লক্ষ) ছাত্রছাত্রী বসছেন। অনেকে অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এই পরীক্ষা দিচ্ছেন। কিন্তু এ বারের বিশেষ বিষয় হল এদের মধ্যে সিংহভাগ পরীক্ষা দিচ্ছে ইংরেজি ভাষায়। বিষয়টি যে গতবছরের প্রশ্নপত্র বিভ্রাট এড়াতে, তা বলাই বাহুল্য। এই ইংরেজি ভাষায় যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তারা কিন্তু সবাই ইংরেজি মাধ্যমের নয় তবু তারা বাধ্য হয়েছে। এই বাধ্যবাধকতা তাদের পিছিয়েও দিতে পারে, তা কারও অজানা নয়।

এই নিট, ভিশন ২০১৫, এনএমসি বিল এগুলো সবই মেডিক্যাল শিক্ষার বেসরকারিকরণ ও ব্যবসায়ীকরণের ভিত্তি। প্রথম দিন থেকেই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। রাজ্যগত এন্ট্রান্স পরীক্ষাগুলির কিছু সীমাবদ্ধতা আছে নিশ্চয়। সেখানেও কিছুক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও স্বজনপোষণের অভিযোগ এসেছে, আমরা তার বিরূদ্ধেও আন্দোলন করেছি। রাজ্যভিত্তিক এন্ট্রান্সের পরিকাঠামোর উন্নতি ও দুর্নীতির বিরূদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ করার জন্য দাবি জানিয়েছে।

কিন্তু তা বলে নিট কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না। এই নিট-এর ফলে গরিব,মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা ডাক্তারি পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা কোনওমতেই কাম্য নয়। তাই যুক্তিগ্রাহ্যভাবেই আমরা নিট-এর বিরোধী এবং এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

DR. KABIUL HOQUE DR. KABIUL HOQUE

WB STATE COMMITTEE MEMBER, ALL INDIA DSO

Comment