১০ জুনের মধ্যে বাংলায় প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা
আবহাওয়া দপ্তরের বর্ষার আগমন নিয়ে এই পূর্বাভাস নিঃসন্দেহে বাংলার মানুষকে স্বস্তি দেবে
- Total Shares
মঙ্গলবারই তাঁর আগমন ঘটেছে কেরলে। আর সঙ্গে, গোটা বঙ্গ জুড়ে একটি প্রশ্নের উদয় হয়েছে। এ রাজ্যে তাঁর আগমন ঘটবে কবে? আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্তারা বলছেন তাঁর দেখা হয়ত খুব শীঘ্রই মিলবে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ি দিয়ে তাঁর আগমন ঘটবে। আর, তাঁর দিন পাঁচেকের মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তিনি চলে আসবেন।
গোটা রাজ্য যখন গরমে কাহিল তখন আবহাওয়া দপ্তরের বর্ষার আগমন নিয়ে এই পূর্বাভাস নিঃসন্দেহে বাংলার মানুষকে স্বস্তি দেবে।
কিন্তু হাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাস সত্ত্বেও আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে এ বছর মৌসুমী বায়ুর দাপট অনেকটাই কম থাকবে। কারণ, এ বছরের গ্রীষ্মের দাপটও অনেকটাই কম ছিল।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেরলে প্রবেশ করেছে বর্ষা
আবহাওয়া দপ্তরের বর্ষার আগমন নিয়ে এই পূর্বাভাস নিঃসন্দেহে বাংলার মানুষকে স্বস্তি দেবে
তবে, এর পাশাপাশি একটি আশার আলোও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি আরব মহাসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছিল যা ঘূর্ণিঝড় হয়ে আছড়ে পড়েছে। এর থেকেই আবহাওয়াবিদদের ধারণা যে ১০ জুনের মধ্যে বাংলায় বর্ষার আগমন ঘটতে পারে।
এর আগে বলা হয়েছিল যে পয়লা জুন কেরলে প্রবেশ করবে বর্ষা। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে সরকারিভাবে নয়াদিল্লির মৌসম ভবন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বর্ষা ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে। আগামী মাস চারেক হালকা থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কেরল, লক্ষদ্বীপ এবং তামিলনাড়ুতে ঝোড়ো হাওয়ারও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের কিছু অংশ, কন্যাকুমারী, আন্দামান ও নিকোবরের দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে বর্ষা।
দক্ষিণে বর্ষার আগমন হলেও দেশের উত্তরের মানুষজন দাবদাহের প্রভাবে প্রবল অস্বস্তিতে। গোটা উত্তর ভারত জুড়েই এখন চলছে প্রবল গরম। খুব শীঘ্র আবহাওয়া বদলের সম্ভাবনাও কম বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।