চুনী গোস্বামী একজন কিংবদন্তি, চুনী-দাকেই মোহনবাগান সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া উচিৎ
জাতীয় ক্লাবে এমন ঘটনা না ঘটাই বাঞ্চনীয় যাতে বাঙালির মুখে চুনকালি লাগে
- Total Shares
পৃথিবীর সমস্ত পেশাদার ফুটবল ক্লাবের অন্দরমহলে নানারকম অশান্তি আবহাওয়া গড়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রে খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং প্রাক্তন খেলোয়াড়রা মিলে সমস্যার সমাধান করে নেন। মোহগনবাগান ক্লাবে আজকে যে বিদ্রোহের ছবি ফুটে উঠেছে তা স্বাভাবিক। এক-আধ দিনের ব্যাপার নয়, অনেকদিন ধরেই এই ক্ষোভ জমেছিল যা হটাৎ করেই ফাঁস হয়ে গেল।
গতকালই আমার সঙ্গে দুই অলিম্পিয়ান বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় ও চুনী গোস্বামীর কথা হচ্ছিল। দু'জন্যেই একই কথা বললেন। নোংরা রাজনীতি সরিয়ে ক্লাবের পরিবেশ সুস্থ করে তুলতে হবে।এই অশান্তি কারুরই কাম্য নয়।
সভাপতি হিসেবে বর্তমান ও প্রাক্তনদের প্রথম পছন্দ চুনী গোস্বামী
শৈলেন মান্না, গোষ্ট পাল, চুনী গোস্বামী এবং বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ফুটবলাররা সবুজ মেরুন জার্সি পড়ে খেলেছেন। তাঁরা মোহনবাগান ক্লাবটাকে মন্দিরের মতো দেখতেন বা এখনও দেখেন। আর কেউই চান না যে তাঁদের মন্দিরে দূষণের পরিবেশ গড়ে উঠুক।
কিছু প্রাক্তন ও বর্তমান ফুটবলাররা চান চুনী গোস্বামীকেই ক্লাবের সভাপতি করা হোক। যাতে ক্লাবে কোনও গন্ডগোল না হয়, তার জন্যই এই প্রস্তাব। মোহনবাগান সমর্থকরাও চান যে বিদেশের ক্লাবগুলোর মতো একজন টেকনিক্যাল লোককে মাথার উপরে রাখা উচিত। ভারতের কিংবদন্তি ফুটবলার হিসেবে চুনী গোস্বামী একজন নমস্য ব্যক্তি। সে ক্ষেত্রে, চুনী-দাকেই সভাপতির দায়িত্ব দেওয়াটা শ্রেয়।
অঞ্জন মিত্র অসুস্থ আছেন এবং শীঘ্র সুষ্ঠ হয়ে উঠবেন।তাঁর সঙ্গে সাব কমিটিতে যারা আছেন তাঁদেরও সুষ্টভাবে ক্লাব চালাবার যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্লাবের পরিবেশ সুস্থ নয়। আসলে, কিছু উশৃঙ্খল লোকেরা ক্লাবে অসন্তোষ পাকাবার চেষ্টা করছেন।
মোহনবাগান তো শুধুমাত্র ক্লাব নয়, মোহনবাগান আবেগও বটে
বাংলা নয় বিভিন্ন রাজ্যে ও বিদেশেও মোহনবাগানের বহু বাঙালি অবাঙালি সদস্য আছে। তাঁরাও বিষয়টা নিয়ে বেশ চিন্তিত।
মোহনবাগানের ইতিহাস স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত। মোহনবাগান জাতীয় ক্লাব হিসেবে স্বীকৃত। এই ক্লাবে এমন ঘটনা না ঘটাই বাঞ্চনীয় যাতে বাঙালির মুখে চুনকালি লাগে।
প্রসঙ্গক্রমে, একটা কথা মনে পড়ছে। প্রাক্তন এক মোহনবাগানের ফুটবলার রমন আমাকে একবার বলেছিলেন, "বেঙ্গালুরু ইজ মাই ফাদার্স ল্যান্ড এন্ড মোহনবাগান ইজ মাই মাদার্স ল্যান্ড"।
সত্যি বলেছিলেন তিনি। মোহনবাগান তো শুধুমাত্র ক্লাব নয়, মোহনবাগান আবেগও বটে।