লিটল থিংস: নেটফ্লিক্সে দর্শকদের মন জয় করেছিল কেন
জনপ্রিয় অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্ব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে
- Total Shares
'লিটল থিংস'-এর যুগল ধ্রুব ও কাব্যের একের পর দুঃসাহসিক অভিযান নেটফ্লিক্সে হয়েই চলেছে। দ্বিতীয় ভাগে ধ্রুব সেহগলের মধুচন্দ্রিমা পর্বের অবসান ঘটেছে এবং দম্পতির মধ্যে তর্ক-বিতর্কও শুরু হয়েছে। সেহগল, যিনি আবার এই ওয়েব সিরিজটির লেখকও, জানাচ্ছেন, "আশা করছি বিষয়গুলো দর্শকদের কাছে গঠনমূলক বলেই মনে হবে। এই দম্পতি এখন সম্পর্কের মধ্যে নিজেদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন।"
দ্বিতীয় পর্বে সেহগল যে ভাবে কাব্যের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছেন তা সত্যিই অনবদ্য। কর্পোরেট জগতে কাজ করা কিছু বান্ধবীদের সঙ্গে কথা বলে সেহগল তাঁদের দৈনন্দিন সমস্যার কথা, তাঁরা কী চান এবং সেই জিনিসটা পেলে তাঁরা কী ভাবে মজা করেন - এই সব বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতে পেরেছেন। সেহগলের কথায়, "দুটি চরিত্রই আদতে আমি। আমি কাব্যের চাহিদাগুলো খুঁজে নিতে পারি।"
এক কূটনীতিবিদের পুত্র সেহগল লেখক অ্যাণ্টন চেকভের ও পরিচালক আলেকজান্ডার পেন ও মাইক লের অন্ধ ভক্ত। তাঁর কথায়, "সাধারণ মানুষ অসাধারণ কিছু করলে আমার যারপরনাই আনন্দ হয়। সাধারণের মধ্যে সৌন্দর্য্য খুঁজে বের করতে আমি পছন্দ করি।" পুনে থেকে স্নাতক হয়ে মুম্বাইয়ের ফিল্ম স্কুলে ভর্তি হন তিনি। সেখানে তিনি প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে তথ্যচিত্র নির্মাতা জয়দীপ ভার্মার দুটি সিনেমায় কাজ করেছেন। সেহগলের কথায়, "সেখান থেকেই পারিপার্শ্বিক জীবনের উপর কাহিনি লেখাটা আমি রপ্ত করে ফেলেছি।"
[ছবি:স্ক্রিনগ্র্যাব]
এক বছর কুড়ির দম্পতির জীবনকাহিনি এই ওয়েবসিরিজের সাফল্যের প্রধান কারণ। সেহগাল ছাড়াও মিথিলা পালকরের অভিনয় (কাব্য চরিত্রে অভিনয় করছেন) দর্শকদের মন জয় করেছে। সেহগল জানাচ্ছেন, "আমাদের মধ্যে অনবদ্য কেমিস্ট্রি কাজ করছে এমনটা নয়, বরঞ্চ যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল আমরা দু'জনেই চরিত্র দু'টির সঙ্গে নিজেদের কী ভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।" উল্টোদিকে পালকর জানিয়েছেন যে সেহগলের অনবদ্য লেখনী তাঁর অভিনয়ের কাজটা সহজ করে তুলেছে। তিনি বলছেন, "শুটিং শুরুর আগে আমরা দু'জনে চরিত্র দু'টি নিয়ে কথা বলতে বসেছিলাম। যে ভাষায় চরিত্র দু'টিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তাতে চরিত্র দু'টির মধ্যে আমি আমার জীবনের প্রতিবিম্ব দেখতে পাচ্ছি।"
স্যাক্রেড গেমস ও ঘউলের পর লিটল থিংসও নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়াতে বেশ জনপ্রিয় হল। সেহগল বলছেন, "নেটফ্লিক্সে যদি সাধারণ অথচ বাস্তব বিষয় নিয়ে কাজ করা যায় তা হলে তা দর্শকদের মন টানতে বাধ্য। কিছুটা 'গল্পের'ও প্রয়োজন আছে। কিন্তু তা যেন আষাঢ়ে গল্প না হয়ে যায়।"
সৌজন্যে মেল টুডে
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে