'দ্য লায়ন কিং' সিনেমার ট্রেলার ২৪ বছর আগের স্মৃতি উস্কে দিল
ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিউয়ার সংখ্যা ২৩.৮ কোটি ছাড়িয়ে যায়
- Total Shares
স্কুল জীবনে দ্য লায়ন কিং সিনেমাটি দেখার স্মৃতি খুব মনে পড়ে। জনা পঞ্চাশেক মেয়ে মিলে আমরা সেদিন ব্যস্ত ট্রাফিকের মধ্যে দিয়ে স্কুল থেকে কাছের সিনেমা হলে গিয়েছিলাম, স্কুলের ইউনিফর্ম গায়ে দিয়ে একে অপরের পিছনে সারিবদ্ধ হয়ে। সকলেরই বয়স বছর সাতের আশপাশে।
১৯৯৪ সালের কথা। প্রায় ২৪ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। আর, এই আড়াই দশক বাদে এবার আমি টুইটারে নতুন 'লায়ন কিং' সিনেমাটির ট্রেলার দেখতে বসছি।
আমার মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা থাকাটাই স্বাভাবিক। অবাক হওয়ার কিছু নেই। নতুন 'লায়ন কিং' সিনেমাটির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিউয়ার সংখ্যা ২৩.৮ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভিউয়ার সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ডিজনির তৈরি সিনেমাগুলোর মধ্যে এই ছবির ট্রেলারের দর্শকসংখ্যা দ্বিতীয় সর্বাধিক। প্রথমে রয়েছে 'দ্য অ্যাভেঞ্জারস: ইনফিনিটি ওয়ার'। হাজার হোক, এতো সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ।
স্মৃতিরোমন্থনের জন্যও এই নতুন সিনেমাটি একটি গুরত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
ইউটিউবে ট্রেলারটি দেখছিলাম প্রথম দিনই এবং প্রথম দিন আমি একাই, ভিউয়ার সংখ্যা একশোর বেশি করে দিয়েছি! এর মানে এই নয় যে এই সিনেমাটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সিনেমা। কিন্তু এই সিনেমাটি তো স্মৃতিরোমন্থনেও সাহায্য করছে। স্কুল জীবনে সিনেমা দেখতে গিয়ে আইসক্রিম কিনেছিলাম বিরতিতে। সেই আইসক্রিমের ফোঁটা এসে পড়ল আমার স্কুলের ইউনিফর্মে। এর পর বাড়ি ফিরে উৎসাহের সঙ্গে বড়দের সিনেমাটির গল্প শোনানোর অভিজ্ঞতা। পৃথিবীর সহজতম কাজ মোটেই নয়। তা ছাড়া এখানেই শেষ নয়। এর পর ভিসিআর এবং ডিজনি চ্যানেলে সিনেমাটি বারংবার দেখা।
দুটি সিনেমার মধ্যে কোনও পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন কি? [সৌজন্যে: ইউটিউব]
আমি জানি আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এই সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরণের গল্প রয়েছে। যা আবার স্মৃতিতে উঁকি মারতে শুরু করে দিয়েছে।
মুফাসা হিসেবে আবার জেমস আর্লকে দেখতে পেয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগতে হচ্ছে।
ন্যাটজিও নয় এটি নতুন লায়ন কিং সিনেমার দৃশ্য [সৌজন্যে: ইউটিউব]
৮৭ বছরের অভিনেতা ৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমায় গলা দিয়েছিলেন। তাঁর সেই বিখ্যাত লাইনগুলো: আলো যেখানে স্পর্শ করে তাই আমাদের রাজত্ব। ক্যামেরার পিছনে তখন আফ্রিকার ঘন জঙ্গল। এই স্মৃতি কি সহজে ভোলা সম্ভব!
ট্রেলার দেখলে স্মৃতি ভোলা সম্ভব নয়। মনে হচ্ছে যেন ঠিক ২৪ বছর আগের দৃশ্যগুলোই ফের কপি করা হয়েছে। দুটি সিনেমা অনেক ক্ষেত্রেই এক বলে মনে হচ্ছে।
অ্যানিমেশনের মজা উপভোগ করার তো এটাই সেরা সময়। আমি জানি সিনেমার কাহিনিটা নিছকই একটি গল্প। ফিকশন। কিন্তু দেখতে দেখতে আপনার মনে হবেই এ কি সত্যিই সম্ভব?
তবে দুটি সিনেমার মধ্যে পার্থক্য তো থাকবেই। আমরা ইতিমধ্যেই ভাবতে শুরু করে দিয়েছি যে মুফাসা হয়ত এবার অন্য রূপে আসবে। গল্পের জট কী ভাবে খুলবে তাও আমরা জেনে ফেলেছি। কিন্তু তাও আশা করে বসে আছি যে সিংহদের নতুন রাজা আমাদের মন জয় করবেন।
করতে পারবেন তো?
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে