অশ্বিন জাডেজার ভবিষ্যৎ নিয়ে কেন নির্বাচকমণ্ডলী মুখ খুলতে চাইছেন না
অধিনায়ক তো নতুন রহস্যের সন্ধান করবেই, ২০১৯ বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে যে
- Total Shares
রবিচন্দ্রণ অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজাকে কেন সাদা বলে বল করতে দেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন শুনেই বেশ অস্বস্তির মুখে পড়ে গিয়েছিলেন নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদ।
আমতা আমতা করে প্রসাদ জানালেন "কাউকে বিশ্রামে পাঠানো হলে (কিছুক্ষণ চুপ করে)... বা কাউকে বাদ দিলে আমরা দু'তিনজন নতুন প্রতিভাকে সুযোগ দেওয়া হয়। দীর্ঘ মেয়াদের কথা ভেবেই এই পরিকল্পনা।" এপ্রিলে আমার একটি প্রশ্নের উত্তরে বিরাট কোহলি কিন্তু এ ধরণের একটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, "গোটা বিশ্বই এখন রিস্ট স্পিনারদের প্রাধান্য দিচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফিঙ্গার স্পিনারদের থেকে রিস্ট স্পিনারদের প্রাধান্য না দেওয়ার কোনও কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছি না।"
কোহলি জানান, "যে ভাবে টি-২০, টেস্ট বা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের গতি বৃদ্ধি হচ্ছে তাতে আমাদের প্রথাভাঙা কয়েকজন বোলারের প্রয়োজন পড়েছে। ব্যাটসম্যানরা এখন যে ভাবে মারমুখী হয়ে উঠেছে, নতুন চমক না আনতে পারলে তাঁদের থামানো যাবে না।"
বোলাররা নতুন কিছু করলে ব্যাটসম্যানরা অন্য রকম কিছু চিন্তা ভাবনা করতে বাধ্য হবেন। ক্রিকেট খেলার সৌন্দর্য্য তো এখানেই। এটাই এই খেলায় নতুনত্বের সংজ্ঞা। কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল বা যসপ্রীত বুমরারা তো এই পরীক্ষা-নিরীক্ষারই ফসল।
কেরিয়ারের তুঙ্গে থাকা কোহলি কি তা হলে নির্বাচকদের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন?
প্রশ্নটা অন্যখানে। দলের অধিনায়ক নির্বাচকদের সমর্থন ছাড়া দলগঠনের সময় কোনও রকম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাহলে মুখ্য নির্বাচক উত্তর দিতে এত দোনামোনা করছেন কেন? এর একটা কারণ হতে পারে প্রসাদ কোহলির মত সোজাসুজি কথা বলতে অভ্যস্ত নন। আরও একটি কারণও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কেরিয়ারের তুঙ্গে থাকা কোহলি কি তা হলে নির্বাচকদের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন?
তা যদি হয়ে থাকে তা হলেও অভিযোগ করবার কোনও মানে হয়না। অন্তত যতক্ষণ টিম কম্বিনেশন ঠিক হচ্ছে আর ভারত ভালো খেলছে।
অশ্বিন, জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলকে বাদ দিয়ে ইংল্যান্ড সফরে ওয়াশিংটন সুন্দরকে নেওয়া হয়েছে। তার মানে কুলদীপ ও চাহালের সঙ্গে ইংল্যান্ডে তৃতীয় স্পিনারের ভূমিকা পালন করবেন সুন্দর।
এ বছরের আইপিএলে এক ঝাঁক রহস্যময় স্পিনারের আবির্ভাব হয়েছে। রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও সুনীল নারিনরা কিন্তু কুলদীপ ও চাহালের থেকে ভালো পারফর্ম করেছেন। এই অবস্থায় নির্বাচকরা, থুড়ি অধিনায়ক, তো নতুন রহস্যের সন্ধান করবেই। ২০১৯ বিশ্বকাপ কিন্তু দরজায় কড়া নাড়ছে।
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে