উৎসবের মরসুমে কেন রসুন খাওয়া খুব দরকার?
ওজনও কমায় আবার জাঙ্ক ফুডের খারাপ প্রভাবগুলোকেও কমিয়ে দেয়
- Total Shares
মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ও উৎসবের মরসুমে অস্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের শরীরের উপর কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে আমরা যথেষ্ট চিন্তিত। আর চিন্তার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। উল্টোপাল্টা খাাওয়ার প্রভাবগুলো অনেক সময়ে চোখের সামনে ফুটে ওঠে। উৎসবে আনন্দ করার ফাঁকে আমরা অনেক সময়ই ক্লান্ত বোধ করি। আর ঝতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাস-আক্রমণ খুবই স্বাভাবিক।
আমার এমন কোনও ম্যাজিক জানা নেই যা দিয়ে শরীরের উপর এত অত্যাচারের পরেও আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। তবে আমার কাছে কয়েকটি সহজ সরল টোটকা রয়েছে। বিশ্বাস করুন বা নাই করুন রসুনপ্রেমীরা সাধারণ ভাবে বেশি সুস্থ থাকেন, খুশিতে থাকেন কারণ তাঁরা সর্বদাই হালকা ও রোগ মুক্ত থাকেন।
আপনি কি রসুন পছন্দ করেন না? কোনও দিনও খেয়ে দেখেননি? ওষুধ মনে করে সেবন করুন। আমার কথায় ভরসা রাখুন। রসুন খাওয়া খুব কষ্টকর নয়।
[সৌজন্য: ফেসবুক]
একটা কথা মনে রাখবেন। রসুনকে ভালোবাসলে আপনার ক্ষতি নেই, বরঞ্চ লাভ আছে। আমাদের হৃদয়ের মানে হৃদযন্ত্রের প্রিয় বন্ধু রসুন। রসুন ক্যান্সারের আশঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে দেয়, শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতায় বাড়ায় এবং আপনি যে খবরে সবচেয়ে বেশি আলোড়িত হবেন তা হল রসুন ওজন কমাতেও খুব কার্যকরী। রসুনে ক্যালরি খুব কম থাকে। ৩ থেকে ৪ কোয়া রসুনে মাত্র ১৩ ক্যালোরি মতো থাকে।
শরীরের টক্সিন হ্রাস করে রসুন। আর এর ফলে আপনার কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়ে। ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল করে। শরীরে অপ্ৰয়োজনীয় জলের পরিমাণও কমিয়ে দেয় রসুন।
সব মিলিয়ে উৎসবের মরসুমে খাওয়া জাঙ্ক ফুডগুলোর খারাপ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে রসুনের কোনও বিকল্প নেই।
রসুনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা -- রসুন রক্তশর্করা (ব্লাড সুগার) নিয়ন্ত্রণ রাখে। কালীপূজা দীপাবলি ও ভাইফোঁটাতে এ বার আপনি নির্ভয় কয়েকটি মিষ্টি খেতেই পারেন।
রসুনে কয়েকটি উপাদান রয়েছে যা আপনার শরীরের স্থূল কোষগুলোকে ঝেড়ে ফেলতে সাহায্য করে। এ ছাড়া, অধিকাংশ লাইফস্টাইল রোগগুলোকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে রসুন।
সবচেয়ে বড় কথা, মাত্র একটি বা দুটি কোয়া খেলেই আপনি উপকার পাবেন। কাঁচা রসুনের গন্ধটা একটু সহ্য করতে হবে হয়তো, কিন্তু তা খুব একটা কঠিন কাজ নয়।
এই ফাঁকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে দেওয়া যাক। রসুনের গন্ধ যত বেশি কড়া হবে তত তার উপকারিতা বেশি। তাই নিজেকে ধোঁকা না দিয়ে প্রতিদিন সকালে অন্তত এক কোয়া করে রসুন খাওয়া অভ্যাস করুন।
আজ থেকেই একজন নির্ভেজাল রসুনপ্রেমী হয়ে উঠুন।
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে