কেবলমাত্র খেলা দিয়ে নয়, বেশ কিছু ফুটবলারের চুলের কেতাও দর্শকদের হৃদয় জয় করেছে
৯৮ বিশ্বকাপের রোমানিয়া দলটির বিশেষত্ব ছিল গায়ে লাল জার্সির আর মাথায় সোনালি চুল
- Total Shares
ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের আসর বসেছে রাশিয়াতে। বহু বছর ধরে বহু খেলোয়াড় সারা বিশ্বের মানুষকে আনন্দ দিয়েছেন তাঁদের প্রতিভার মাধ্যমে। এর মধ্যে এমন বেশ কয়েকজন আছেন যারা কেবলমাত্র খেলা দিয়ে নয়, দর্শকদের আকর্ষিত করেছেন নিজেদের চুলের বিশেষ কেতা দিয়েও।
দেখে নেওয়া যাক চুলের ছাঁটে বৈচিত্র্য আনা তেমন কিছু খেলোয়াড়দের।
১। রবার্তো ব্যাজিও ১৯৯৪ আমেরিকা বিশ্বকাপ ওকে হয়ত মনে রেখেছে ব্রাজিলের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করার জন্য। কিন্তু ইতালির এই সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের চুলের ছাঁট অনেকের মন জয় করেছিল।
২। কার্লোস ভালদরামা কলোম্বিয়ার এই মিডফিল্ডারকে কে না চেনে? ১৯৯০,১৯৯৪ এবং ১৯৯৮ এর বিশ্বকাপে কলোম্বিয়া দলের অধিনায়কের পরিচিতিই ছিল এক মাথা ঝাঁকড়া সোনালি বড় বড় চুল।
৩। সক্রেটিস১৯৮৬র বিশ্বকাপে সবার চোখ কাড়ে ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডারের হেয়ার ব্যান্ড পড়ে মাঠে নামা।
৪। রোমানিয়া দল ১৯৯৮১৯৯৮ তে রোমানিয়া টিমের সব খেলোয়াড়রা মাঠে নামে নিজেদের চুল সোনালি রং করে।
৫। টারিবো ওয়েস্টনাইজেরিয়ার এই ডিফেন্ডার ২০০২ বিশ্বকাপে সবার নজর কাড়ে এক মাথা কুচি চুলের মাঝে দুটো ছোট ছোট ঝুঁটি করে।
৬। ক্রিস্টিয়ান জিয়েজজার্মানির এই উইং-ব্যাক ২০০২ বিশ্বকাপে মোহক স্টাইলকে এক অন্য মাত্রা দেয় সেটাকে দেশের জাতীয় পতাকার রং করে।
৭। রড্রিগো প্যালাসিও২০১৪র বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনীয় এই স্ট্রাইকারের ‘র্যা টস টেল’ যদিও অনেক পরে লোকেদের নজর টানে। তবুও স্টাইলটা বেশ চটকদার। অনেকটা বৈষ্ণবদের টিকির মতো, এক মাথা ছোট ছোট চুলে সুতোর মতো একটা টিকি।
৮। রুড গুলিটনেদারল্যান্ডের সেরা মিডফিল্ডার এবং ফরওয়ার্ডের মাথা ভর্তি বিনুনি করা চুল (ড্রেডলক্স) ১৯৯০এর বিশ্বকাপে গুলিটকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছিল।
৯। ডেভিড বেকহামইংল্যান্ডের এই তারকা ফুটবলার তাঁর ফ্রি-কিক ও বিভিন্ন রকমের চুলের স্টাইলের জন্য খ্যাত। ২০০২ বিশ্বকাপে তাঁর বড় চুলের মোহক একটা অন্য মাত্রা এনেছিল ফুটবল প্রেমীদের মনে।
১০। রোনাল্ডো ২০০২ জাপান- কোরিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে রোনাল্ডোর সামনে একটু চুল আর বাকি নেড়া মাথায় ব্রাজিলের জার্সিতে বিশ্বকাপ জয়ের ছবি তো সকলেরই মনে আছে।