গল্পের উপর ভরসা হারিয়ে বিদেশ দেখানতেই মন দিয়েছেন বেশ কিছু পরিচালক
বাংলার বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আজও ভাবতে বাধ্য করায় বহু চিত্র পরিচালককে
- Total Shares
বাংলা ছায়াছবির প্রভাব ভারতীয় সিনেমা জগতে হয়তো আজ তেমন ভাবে নেয় যেমনটা হৃষীকেশ মুখার্জি বা তারও আগে গুরু দত্তের সময় ছিল। কিন্তু বাংলার বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আজও ভাবতে বাধ্য করায় বহু চিত্র পরিচালকে।
দেখে নেওয়া যাক বিগত বেশ কিছু বছরে কোন কোন হিন্দি ছবির পটভূমি হয়েছে বাংলার নানান কোনা।
কলকাতার ট্যাক্সিতে কাহানির বিদ্যা বালান
ইয়ুভা (২০০৪) – পরিচালক মানি রাত্নাম, শুট হয়েছে হাওড়া ব্রিজ, হুগলী ব্রিজ, গঙ্গার ওপর এবং কলকাতার বেশ কিছু প্রান্তে।
পরিনিতা (২০০৫)- পরিচালক প্রদিপ সরকার, শুট হয়েছে দারজিলিং, প্রিন্সেপ ঘাট।
লাভ আজ কাল (২০০৯)- পরিচালক ইমতিয়াজ আলি শুট হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এক পারাকে কুমোরটুলির রুপ দেওয়া হয়েছিল।
পরিণীতাটি শুটিং
কাহানি (২০১২) – পরিচালক সুজয় ঘোষ, কালীঘাট, হাওড়া ব্রিজ সহ কলকাতার নানা প্রান্ত। পুরো ছবিটাই কলকাতা কেন্দ্রিক।
বারফি (২০১২) – পরিচালক অনুরাগ বসু, পুরো ছবি জুড়ে দার্জিলিং, পুরুলিয়া এবং কলকাতা।
লুটেরা (২০১৩) – পরিচালক বিক্রমাদ্বিত্য মোটওয়ানি, মুর্শিদাবাদ সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে।
দার্জিলিঙে বরফির শুটিংয়ে রণবীর কাপুর
গুন্ডে (২০১৪)- পরিচালক আলি আব্বাস জাফর, হাই কোর্ট, দক্ষিণেশ্বর, ময়দান, ভিক্টোরিয়া সহ আসানসোলের কলিয়ারি।
ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী (২০১৫)- পরিচালক দিবাকর ব্যানার্জি, বও ব্যারাক্স।
পিকু (২০১৫)- পরিচালক সুজিত সরকার, কলকাতার নানা প্রান্ত।
কাহানি ২ (২০১৬)- পরিচালক সুজয় ঘোষ, চন্দন নগর, কালিম্পং এবং কলকাতা।
জাজ্ঞা জাসুস (২০১৭)- পরিচালক অনুরাগ বসু, কালিম্পং, পুরুলিয়া।
মহানগরের রাস্তায় বিগ বি ও নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী
প্রায় প্রতি বছর একটা করে হিন্দি ছবির শুট হয় এই বাংলায়। সিনেমাস্কোপে বাংলার যে কোন প্রান্তই অসাধারন ভাবে ফুটে ওঠে। এখানে জেরম আছে দিঘা, মন্দারমনি তাজপুরের মত সমুদ্র, তেমন আছে দার্জিলিং, কালিম্পং শিলিগুড়ির মত পাহাড়। আবার রয়েছে সুন্দরবন, গরুমারার মত জঙ্গল তার পাশাপাশি ইতিহাস এবং বর্তমান মেশানো কলকাতা।
এক কথায় যে কোন সিনেমাটগ্রাফারের জন্য বৈচিত্র্যে ভরা এই বাংলা। কিন্তু কেন বার বার বাংলা ছবি পরিচালকদের বিদেশ ছুটতে হয়? যেখানে বাংলা ছবির দর্শক সীমিত দুই বাংলায় এবং তেমন ভাবে বক্স অফিসে ভালো ফল করতে পারছে না বেশির ভাগ ছবি।
সেখানে হাতের কাছে অল্প খরচায় এত ভালো ভালো যায়গা ছেড়ে বিদেশে গান বা ছবির প্রেক্ষাপট ভাবা কি শুধুই ছবির গল্পের খাতিরে? নাকি গল্পের উপর ভরসা হারিয়ে বিদেশ দেখানতেই মন দিয়েছেন বেশ কিছু পরিচালক?
প্রযোজকের পয়সায়ে বিদেশ ঘরা আর শুট করাটা রত দেখা আর কলা বেচার মত নয় তো?