'শালা সারথি'-র হাত ধরে স্বেচ্ছাসেবী-কর্পোরেট তহবিলে আসবে স্বচ্ছতা
রাজ্যেও স্কুল শিক্ষার মানকে বাড়াতে ও তহবিলের সহজ জোগানে সহায়তা করবে এই পরিষেবা
- Total Shares
দেশে স্কুল শিক্ষার মান বাড়াতে কেন্দ্র সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা বিভাগের উদ্যোগে সম্প্রতি চালু হল 'শালা সারথি' নামে একটি অনলাইন পরিষেবা।
এই পরিষেবাটির মাধ্যমে যাতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ও রাজ্য সরকার অনুমোদিত সংস্থার সঙ্গে কর্পোরেট ফাউন্ডেশন ও কর্পোরেট সংস্থা যাঁরা নিজেদের তহবিল থেকে রাজ্যের শিক্ষাখাতে ব্যয় করতে চান কিংবা শিক্ষার কোনও প্রকল্পে ব্যয় করতে ইচ্ছুক তাঁরা নিজেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন সেটাই হল এই পোর্টালটির মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি এই পোর্টালটির মাধ্যমে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা এইধরণের সংস্থা কী রকম কাজ করছে তাও এখান থেকে জানা যাবে।
শিক্ষা খাতে কোথায় কোন প্রকল্পটি চলছে কিংবা কোন নতুন প্রকল্প আসতে চলেছে সেই সবকিছুর সম্বন্ধে খুঁটিনাটি তথ্যও মেলে যাবে এখানে
তাই এই তিন ধরণের সংস্থাকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার জন্যই কেন্দ্র সরকারের এই উদ্যোগ।
এখানে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে এলাকাভিত্তিক ভাবে ভাগ করা হয়েছে যাতে কোথায় কোনও সংস্থা কী নিয়ে কাজ করছে সেটা খুব সহজেই বুঝে নেওয়া যায়। এর ফলে সেই এলাকায় অন্যকেও সংগঠনকে না ঠেলে দিয়ে অন্য এলাকা যেখানে শিক্ষা ক্ষেত্রে তেমন উন্নতি হয়েনি সেই জায়গায় সংস্থাটিকে কাজ করার সুযোগ করে দেবে সরকার।
এর ফলে কর্পোরেট সন্থাগুলি এখান থেকে খুব সহজেই জানতে পারবে কোন কোন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনগুলি সরকারের অনুমোদিত ও তাঁরা আগে কেমন কাজ করেছে।
তিন ধরণের সংস্থাকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার জন্যই কেন্দ্র সরকারের এই উদ্যোগ
শিক্ষা ক্ষেত্রে কোথায় কোন প্রকল্প চলছে কিংবা কোন নতুন প্রকল্প আসতে চলেছে সেসব কিছুর সম্বন্ধে খুঁটিনাটি তথ্যও মিলে যাবে এখানে। আবার কোন প্রকল্পে কাজ ঠিক কতটা এগোল তাও এই পরিষেবা থেকেই জানা সম্ভব হবে। কেন্দ্রীয় স্কুল শিক্ষা সচিব অনিল স্বরূপ বলেন, “এই ভাবে একটি সংস্থা উপর সংস্থাটির বিশ্বাসযোগ্যতা আরও অনেকটা বেড়ে যাবে।সংস্থাগুলি নিজেদের নথিভুক্ত করতে পারবে পোর্টালটিতে। মন্ত্র সবক'টি সংস্থাগুলি যাচাই করবে। এতে পুরো জিনিষটা অনেক বেশি স্বচ্ছতা পাবে।”
কোন সংস্থা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোন বিষয়ে মউ স্বাক্ষর করল সে সম্বন্ধেও তথ্য মিলবে এখানে।
তাই কেন্দ্র সরকারের প্রতিশ্রুতি হল যে তারা কী প্রযুক্তিকে আরও দেশ ও দশের কাজে আরও কতখানি লাগিয়ে সার্বিক উন্নতি ঘটাতে পারে।