বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয় না

প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ গত বাজেটের তুলনায় এবার ৩.৩৮% বেড়েছে, বাস্তবে এই বরাদ্দ কমেছে

 |  2-minute read |   03-02-2019
  • Total Shares

অন্তর্বর্তী বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৩.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সামান্য বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে, গত বছরে বরাদ্দ হওয়া ২.৯৫ লক্ষ কোটি টাকা থেকে যা ৩.৩৮ শতাংশ বেশি।

কিন্তু বাস্তবে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বরাদ্দ হ্রাস পেয়েছে।

কেন, একবার দেখে নেওয়া যাক।

মূল্যবৃদ্ধি

গত বছর মূল্যবৃদ্ধির গড় হার ৪.৭৪ শতাংশে এসে ঠেকেছিল। সে ক্ষেত্রে এ বছর প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ অর্থ কোনও মতেই গতবারের তুলনায় বেশি বলা যাচ্ছে না।

body_020319051412.jpgপ্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে কতটা গুরত্ব দেয় বিজেপি সরকার [ছবি: রয়টার্স]

টাকার দর কমছে

মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি টাকার দরও কমছে। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির অধিকাংশই (কোনও কোনও বছরে প্রায় ৭০ শতাংশ মতো) আমদানি করা হয়। সে ক্ষেত্রে, টাকার সঙ্গে ডলারের বিনিময় দর বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমরা টাকায় হিসাব কষি ঠিকই, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে যন্ত্রপাতির দাম ডলারেই নির্ণয় করা হয়ে থাকে।

গত বছর, ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে, এক ডলারের দাম ছিল প্রায় ৬৪ টাকা। এ বছরে এক ডলারের দাম বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৭১.২৫ টাকা। তার মানে গত এক বছর প্রায় ১১ শতাংশ মতো টাকার দর হ্রাস পেয়েছে।

মূলধনী ব্যয় বরাদ্দ

গত বছরের ৯৯.৫ লক্ষ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এবারে হয়েছে ১.০৩ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র এক শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু এ বছরের জিনিসের মূল্য অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে (৪.৭৪ শতাংশ হারে মূল্যবৃদ্ধি ও ১১ শতাংশ হারে টাকার দর হ্রাস পেলে)। সে ক্ষেত্রে দিনের শেষে, দেখা যাচ্ছে এই মূলধন বরাদ্দ কিন্তু এ বছর অনেকটাই কমে যাচ্ছে।

body1_020319051655.jpgমুখে যাই বলুক বাজেটে তার প্রভাব পড়েনি [স্ক্রিনগ্র্যাব]

কাটছাঁট

২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে প্রতিরক্ষা বাবদ বাজেটের ১২.১০ শতাংশ খরচ হয়েছিল। এ বছর তা কিন্তু মাত্র ১০.৯৬ শতাংশ হবে।

এখন একটাই প্রশ্ন উঠে আসছে, সরকার ঠিক কী চায়?

প্রতিরক্ষা কখনোই প্রাধান্য পায় না। আর পাঁচটা ডানপন্থী সরকারের মতোই বিজেপি সরকারও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলো খুব গুরুত্ব দেয় না।

শেষ পাঁচ বছর প্রতিরক্ষার খাতে যে ভাবে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে তা প্রশংসা সূচক। কিন্তু তা যদি পরিকল্পনামাফিক হয়ে থাকে তবেই। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে, দেশের সেনাবাহিনীর তিন বিভাগেই কোনও অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা লক্ষ করা যায়নি।

সুতরাং বলা যেতেই পারে বিজেপি সরকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয় না, শুধুমাত্র "নিরাপত্তার বিষয়ে কড়া" এই ট্যাগ নিয়েই খুশি থাকতে চায়।

লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

ABHIJIT IYER-MITRA ABHIJIT IYER-MITRA @iyervval

Author is Senior Fellow at Institute of Peace and Conflict Studies, and works on defence economics.

Comment