আনকোরা কোচ, তাই ক্যারিবিয়ান কন্ডিশন নয়, নিজেদের মধ্যে মানিয়ে নেওয়াই বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ
সিরিজ যে সহজ হবে না সেটা ভালোই জানা রয়েছে সাকিব আল হাসানদের
- Total Shares
বিশ্বকাপ। ফুটবল বিশ্বকাপ। ফুটবল জ্বরে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। সেই জ্বরে ঢাকা পড়ে আছে বাকি সব খেলা। অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও খেলার নির্ধারিত স্থানের প্রায় পুরোটাই ঠাঁই পাচ্ছে রাশিয়া বিশ্বকাপের খবর।
তবুও থেমে নেই অন্য খেলা। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। সাকিব-মুশফিকদের খোজ নিতে যেন ভুলেই গেছেন সমর্থকরা। অনেকটা নিরবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গেছে বাংলাদেশ টেস্ট দল।
সেখানে আয়োজকদের বিপক্ষে দু'টি টেস্ট ও তিনটি করে একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টি ২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে তেমন কোনও উত্তেজনা না থাকলেও সফরে বাংলাদেশের লক্ষ্য অনেক বড়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অন্তত টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে জিততে চায় টাইগাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেলাভূমিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা
৪ জুলাই থেকে নর্থ সাউন্ডে শুরু হবে দু’দলের মধ্যে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১২ জুলাই। তার আগে ২৮-২৯ জুন বাংলাদেশ একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাওয়ার আগেই বাংলাদেশ দল কয়েকটি সমস্যায় পড়ে যায়। মেহেদি হাসান মিরাজ ও আবু জায়েদ রাহি ভিসা জটিলতায় দলের সঙ্গে যেতে পারেননি। মিরাজ গেছেন দু’দিন পর। ভিসা জটিলতায় পড়েছিলেন দলের ম্যানেজার সাব্বির খানও। নিউ ইয়র্ক থেকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দলের সঙ্গে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি পরে অ্যান্টিগায় গেছেন। শুরু থেকেই বাংলাদেশ দল কিছুটা এলোমেলো হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গেছে। সিরিজের বাকিটা পথও যে সহজ হবে না সেটা ভালোই জানা রয়েছে সাকিব আল হাসানদের। এবার বাংলাদেশের দুটি টি-২০ হবে ফ্লোরিডায়। এ জন্য সবাইকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিতে হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্যই টেস্ট সিরিজ জয়। টেস্ট র্যাংকিংয়ে এখন ক্যারিবীয়দের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ রয়েছে ন'নম্বরে, বাংলাদেশ আট নম্বরে। এই সিরিজ জিততে পারলে বাংলাদেশের সুযোগ থাকবে ব্যবধান বাড়ানোর। সুযোগ থাকবে সাত নম্বরে থাকা পাকিস্তানের চেয়ে ব্যবধান কমানোরও।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সফরের সঙ্গে একটি মিল আছে এ বার। সে বছরের মাঝামাঝি বাংলাদেশের কোচ হয়ে এসেছিলেন চন্দিকা হাথুরুসিংহে। দেশের মাটিতে ভারত সিরিজে দলের সঙ্গে থাকলেও তার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব শুরু হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে। এ বারও ক্যারিবিয়াতেই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন এক অধ্যায়। শুরু হচ্ছে নতুন কোচ স্টিভ রোডসের পথচলা।
দায়িত্ব নেওয়ার পর তিন দিন নতুন ছাত্রদের দেখতে পেরেছেন রোডস। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচের পারস্পরিক বোঝাপড়া, জানাশোনার জন্য সময়টি খুবই কম। নতুন কোচ এলে বদলে যেতে পারে অনেক কিছুই। ক্যারিবিয়ার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার আগে বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ নিজেদের মাঝে মানিয়ে নেয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক বললেন, ‘মাত্র এক-দু’দিন হয়েছে (নতুন কোচ), ওভাবে এখনও বোঝা যাবে না। তবে সম্পর্কের কথা বললে, তা খুব ভালো। আশা করি, সবাই দ্রুত মানিয়ে নিতে পারব। একজন মানুষের সঙ্গে মিশতে, তাকে বুঝতে সময় লাগে। এখনও পর্যন্ত আমার মনে হয় ভালোই হবে। আমরা কিছু শিখতে পারলে আরও ভালো হবে।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে আশার কথা শুনিয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিমও। তিনি বলেন, ‘টেস্ট তো বটেই ওয়ানডে সিরিজেও আমরা আমরা ভালো করব আশাকরি।’
টেস্টের বাংলাদেশ দল : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাব্বি, রুবেল হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, আবু জায়েদ চৌধুরী, নাজমুল হোসেন শান্ত, শফিউল ইসলাম।