টিকিট বুকিংয়ের সময়ে যাত্রীদের নম্বর দেওয়া হোক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করুক

যাত্রীর ব্যক্তিগত নম্বর না দিলে বিমানের সময়ে পরিবর্তন কিংবা বিমান বাতিলের খবর যাত্রীদের কাছে পৌঁছায় না

 |  2-minute read |   06-03-2019
  • Total Shares

পুলওয়ামা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হটাৎ করেই গত রবিবার থেকে কলকাতা বিমানবন্দরের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

এ বার থেকে বিমান ছাড়ার তিন ঘণ্টা আগে যাত্রীদের চেক-ইন করতে হবে বিমানবন্দরে। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উড়ানের ক্ষেত্রে তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছতে হবে। প্রতিটি বিমান সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা যেন এই বার্তাটি তাদের যাত্রীকে পৌছিয়ে দেয়।

আর, এখান থেকেই শুরু হয়েছে নতুন বিপত্তি। অনেক যাত্রীই বিমানসংস্থার বার্তা পাচ্ছে না। তারা স্বাভাবিক নিয়ম মেনে, অর্থাৎ বিমান ছাড়ার ৪৫ মিনিট, আগে বিমান বন্দরে পৌঁছেছে। বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-এর আইন মেনে বিমান সংস্থাও তাদের বোর্ডিং পাস দিতে বাধ্য হচ্ছে। আর, শেষ মুহর্তে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘেরাটোপে পড়ে তাদের বোর্ডিং গেটে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিমান সংস্থার বার্তা যাত্রীদের কাছে পৌঁছছে না কেন?

body_030619065946.jpgনিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে [ছবি: পিটিআই]

টিকিট বুকিংয়ের সময়ে যাত্রীদের ফোন নম্বর দিতে হয়। সেই রেজিস্টার্ড নম্বরেই যাত্রীদের বার্তা পাঠিয়ে থাকে বিমান সংস্থাগুলো। কিন্তু যাত্রীরা যখন ভ্রমণ সংস্থাগুলোর থেকে টিকি কাটেন তখন অনেক সময়তেই সেই সংস্থাগুলো নিজেদের নম্বর দিয়ে দেন। যার ফলে, বিমান সংস্থার বার্তা সরাসরি যাত্রীদের কাছে পৌঁছায় না।

শুধু এক্ষেত্রে নয়, ভ্রমণ সংস্থাগুলোর এই আচরণের ফলে আরও একটি বড় সমস্যা দানা বাধে। বিমানের সময় পরিবর্তন কিংবা বিমান বাতিল হলে সেই খবর যাত্রীদের কাছে পৌঁছায় না। অনেক সময় ভ্রমণ সংস্থার নম্বরে (যে নম্বর বুকিংয়ের সময়ে দেওয়া হয়েছিল) বার্তা এলে ভ্রমণ সংস্থা তখন সেই বার্তা যাত্রীদের পাঠিয়ে দিয়ে থাকে।

কিন্তু এই ব্যবস্থা একেবারেই সঠিক নয়। একটি ভ্রমণ সংস্থার যদি একই দিনে (মানে যাত্রার দিন) বেশ কয়েকটি যাত্রীর টিকিট বুকিং করে তাহলে সংস্থার আধিকারিকের কোন যাত্রী কোথায় যাচ্ছে তা মনে থাকার কথা নয়। বিমান সংস্থার বার্তা পাওয়ার পর অফিসের নথিপত্র খতিয়ে দেখে ঠিক যাত্রীকে খুঁজে বের কে তারপর তাঁকে বিমান সংস্থার দেওয়া বার্তাটি পাঠাতে হয়। এবার, মনে করুন সংশ্লিষ্ট যাত্রীর বুকিং রয়েছে রবিবারে। তাহলে তো পোয়া বারো!

আমার মতে এই সমস্যার একটি সমাধানই রয়েছে। প্রত্যেক ভ্রমণ সংস্থার উচিত যাত্রীদের কাছ থেকে তাঁদের ব্যক্তিগত নম্বর চেয়ে নিয়ে বুকিংয়ের সময়ে সেই নম্বরটিকে রেজিস্টার্ড করা। বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থারও উচিত আইন করে এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা।

 

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

ANIL PUNJABI ANIL PUNJABI

The writer is the regional (east) chairman of Travel Agents' Federation of India.

Comment