ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখতে এআরসি চশমা কতটা উপকারী?
চশমায় একধরণের স্তর থাকে যাকে অ্যান্টি রিফ্লেকশন কোটিং বলা হয়
- Total Shares
চক্ষু বিশেষজ্ঞর কাছে চোখ পরীক্ষা করিয়ে যদি কারও চশমা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তখন অনেক সময় রোগীকে এআরসি-যুক্ত চশমা নেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। বহু চক্ষু বিশেষজ্ঞ মনে করেন এআরসি লেন্স লাগানো চশমা পরলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের চোখ সুরক্ষিত থাকে এবং কম্পিউটারে কাজ করার সময় কিছুটা সুবিধাও হয়। তেমনই বহু চিকিৎসক মনে করেন যে এআরসি লেন্সযুক্ত চশমার আদপে কোনও কার্যকারিতা নেই।
প্রথমেই আমাদের জানতে হবে এআরসি চশমা কাকে বলে?
এই জাতীয় চশমার লেন্সে একধরণের স্তর থাকে যাকে অ্যান্টি রিফ্লেকশন কোটিং বলা হয়। তবে এই জাতীয় আবরণযুক্ত লেন্স সাধারণত সাধারণ চশমার কাচের চেয়ে বেশ দামি হয়, একটি এআরসি যুক্ত চশমার লেন্সের দাম পড়ে যায় কমপক্ষে ২,০০০ টাকা। তার চেয়ে অনেক বেশিও হতে পারে। বাজারে বেশ কয়েকটি চশমার ব্র্যান্ড আছে যারা এই ধরণের লেন্স বানায়।
চশমাটি কেনার সময় যদি উপযুক্ত ভাবে যাচাই করে না নেওয়া হয় তা হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ এমন বহু দোকান আছে যারা এআরসি চশমার নাম করে সাধারণ লেন্সযুক্ত চশমা দিয়ে দিতে পারে।
এআরসি চশমার কী আদৌ কোনও উপকারিতা আছে?
চোখে রোদের অতি বেগুনি রশ্মি গেলে চোখের কর্নিয়ার অংশ জ্বালা করতে পারে বা কর্নিয়া শুকিয়ে যেতে পারে। এর ফলে চোখ জ্বালা করে এবং চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও চোখে এক ধরণের অসুখ দেখা দিতে পারে যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় পেরিজিয়াম বলা হয়। এর ফলে চোখের কনজাংটিভার উপরে একটা পর্দার মতো পড়ে, যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চোখের একধরণের অসুখকে মায়োপিয়া বলা হয় এর ফলে বহু মানুষের চোখের কর্নিয়ায় এক ধরণের ক্ষুদ্র কালো বিন্দুর মতো সব সময় ঘোরা ফেরা করতে থাকে, ডাক্তারি ভাষায় এই বিন্দুগুলোকে ফ্লোটাস বলা হয়। যে সব মানুষের ফ্লোটাসের সমস্যা আছে তাঁদের এআরসি যুক্ত চশমা ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
যাঁরা কম্পিউটারের সামনে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন তাঁরা যদি এই এআরসি চশমা ব্যবহার করেন তাহলে তাঁদের চোখে যে চাপ পড়ে তার কিন্তু কোনও রকম উপশম হয় না।
এআরসি চশমা মূলত চোখে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করতে বলা হয়ে থাকে। তবে চশমার দোকানে এআরসি চশমার নামে যাতে রোগীরা প্রতারিত না হন তাই বহু চিকিৎসক পাওয়ার যুক্ত স্বচ্ছ কাচের চশমা বা প্রয়োজনে রোদ চশমা ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
তাই রোদের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখতে সবচেয়ে ভালো উপায় হল রোদ চশমার ব্যবহার।