১৯৬৮ সাল কেন হিন্দি সিনেমার সোনালি বছর

পঞ্চাশ বছর আগে একটি যুগের অবসান ঘটেছিল

 |  2-minute read |   24-12-2018
  • Total Shares

বিভিন্ন কারণে ১৯৬৮ সাল হিন্দি সিনেমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ, সে বছর বিভিন্ন স্বাদের সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। আর, সেই সিনেমাগুলোতে যে সব অভিনেতারা অভিনয় করেছিলেন তাঁরা পরবর্তী কালে তারকা হয়ে উঠেছিলেন।

ষাটের দশকে এই বছরেই বেশ নতুন কয়েকজন নতুন তারকার আবির্ভাব ঘটেছিল। যাঁরা পরবর্তী কয়েক দশক বলিউডের রুপোলি পর্দাকে আলোকিত করে রেখেছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম অবশ্যই রাজেশ খান্না।

ষাটের দশক বলতেই আমাদের কাপুরদের কথা মনে পড়ে। এছাড়া এই দশকেই রুপালি পর্দা মাতিয়ে রেখেছিলেন দেব আনন্দ, জিতেন্দ্র ও সুনীল দত্ত। আর ১৯৬৮ সালে এঁরা প্রত্যেকেই তাঁদের কেরিয়ারের শিখরে পৌঁছেছিলেন। এই দশকে 'সপ্ন কা সওদাগর'-এ রাজ কাপুরকে দেখা গিয়েছিল। এই সিনেমাতেই বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনীর আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল।

body_122418051947.jpg[সৌজন্যে: ইউটিউব]

এ বছরেই মুক্তি পেয়েছিল দিলীপ কুমার ও তরুণ সঞ্জীব কুমার অভিনীত 'সংঘর্ষ'। ধর্মেন্দ্র অভিনীত 'আঁখে','মেরে হামদম মেরে দোস্ত' ও 'শিকার' ছবিও এবছরেই মুক্তি পেয়েছিল। 'ব্রহ্মচারী', যে সিনেমায় শাম্মি কাপুরের নাচ সকলকে মুগ্ধ করেছিল তাও এ বছরেই মুক্তি পেয়েছিল। এ ছাড়া, ১৯৬৮ সালে মুক্তি পাওয়া উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে 'আদমি' ও 'পড়োসন'। সত্যিই এই বছরটিকে হিন্দি সিনেমার সোনালি বছর স্বচ্ছন্দেই বলা যেতে পারে।

১৯৬৮-র পর থেকে বছরের পরের বছর চার জন কুমার ও কাপুররা বলিউড মাতালেও এই বছরেই তাঁদেরকে টেক্কা দেওয়ার মতো অনেক নতুন তারকার আগমন ঘটেছিল। এই তারকাদের আগমনে কিছুটা যেন পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিলেন শশী কাপুর, শাম্মি কাপুর বা রাজেন্দ্র কুমার ও মনোজ কুমাররা।

body2_122418052010.jpg[সৌজন্যে: ইউটিউব]

১৯৬৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'আরাধনা' আর এর পর থেকেই হিন্দি সিনিমার খোলনোলচেই যেন বদলে গেল। রাজেশ খান্না ব্যাতিত অন্য কোনও অভিনেতায় দর্শকদের আর মন বসে না। বলিউড 'কে' বলতে বুঝতে কাপুর ও কুমারদের। কিন্তু ১৯৬৯ সাল থেকে বলিউডের 'কে' একজনই - তিনি রাজেশ খান্না। আর, এরপর, ১৯৭৩ সালে অমিতাভ বচ্চনের আগমনের সঙ্গে হিন্দি সিনেমার রূপটাই পুরো বদলে গেল।

তাই তো ঠিক অর্ধ শতাব্দী আগে, অর্থাৎ ১৯৬৮ সাল, হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ষাটের দশকের অনেক নায়কই সত্তরেও অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের সেই জৌলুশ ফিকে হয়ে গিয়েছিল।

শশী কাপুর নতুন রূপে ফিরে এসেছিলেন 'চোর মাচায়ে শোর' সিনেমায়। 'জামিরে' সায়রা বানুর বাবার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গেল শাম্মি কাপুরকে। 'সাগিনা' ও 'বৈরাগে' অভিনয় করলেন দিলীপ কুমার। রাজেন্দ্র কুমারও বয়স্কদের ভূমিকায় অভিনয় করতে শুরু করে দিলেন। বিগ বি-র সামনে তো তখন ফাঁকা ময়দান।

body2_122418052124.jpg[সৌজন্যে: ইউটিউব]

শুধু সিনেমা নয়, এই দশকে বেশ কিছু অবিস্মরনীয় গান হয়েছে। তালিকা বানাতে বসলে সহজে শেষ হবে না।

এবার ১৯৬৯ সালের অভিনেত্রীদের কথায় আসা যাক। সায়রা বানু, আশা পারেখ, শর্মিলা ঠাকুর, বৈজয়ন্তীমালা, মালা সিনহা, ববিতা, মুমতাজ ও রাজশ্রী।

আসছে বছর এক মহাতারকার জন্মের অপেক্ষায় বোধহয় ১৯৬৮ সালে নিজেকে সাজিয়ে তুলছিল বলিউড। আসছে বছর তিনি এলেন। আরাধনার রাজেশ খান্না।

লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

JASKIRAN CHOPRA JASKIRAN CHOPRA @surkhaab

She is a journalist by profession, and has worked with United News of India, The Times of India and The Pioneer.

Comment