তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে জয়ে বাংলা দলের মনোবল বাড়াবে, আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বাংলা
টিমগেম খেলে চেন্নাইতে জিতল বাংলা, এই জয় গোটা দলের
- Total Shares
চেন্নাইতে গিয়ে তামিলনাড়ুকে হারাল বাংলা। নাটকীয় জয়। মাত্র এক উইকেটে ম্যাচ জিতল বাংলা। কিন্তু, বঙ্গক্রিকেটের কাছে, এই জয় অত্যন্ত মধুর।
ওই উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ২০০ রানের উপর তাড়া করা কাজ সহজ নয়। আর সেই কাজটাই করে দেখাল বাংলা। অভিষেক রমণকে ধন্যবাদ 'লো-স্কোরিং' উইকেটে প্রথম ইনিংসে ৯৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রান করার জন্য। বলতে গেলে, তাঁর এই দুটি ইনিংসের জন্যেই কিন্তু এই পিচে বাংলা প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রান ও পরের ইনিংসে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২১৬ রান তুলতে পারল। কথায় আছে, 'ওয়েল বিগ্যান ইজ হাফ ডান'।
এই জয় গোটা দলের [ছবি: পিটিআই]
তবে বোলারদের অবদানও কম নয়। দিন্দার পরবর্তী যুগের পেসার হিসেবে ঈশান পোড়েল যে দ্রুত উঠে আসছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল এই ম্যাচে। অনবদ্য ছন্দে ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিকও। সব মিলিয়ে অনবদ্য টিম গেম খেলেছে বাংলা। এই জয় গোটা দলের।
ম্যাচ নিয়ে বিশ্লেষণ তো স্বল্পকালীন সময়ের জন্য। কিন্তু এর থেকে দীর্ঘকালীন সময়ের জন্য কি পেল বাংলা? এই জয়ের ফলে দলের কনফিডেন্স এখন অনেকটাই বেড়ে গেল। তার মানে রঞ্জি ট্রফির পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আরও শক্তিশালী বাংলাকে দেখা যাবে। অভিমন্যু ঈশ্বরণ দলে নেই। পরের ম্যাচেই ফিরবেন। অর্থাৎ, দলের শক্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পেয়ে গেল বাংলা [ছবি: এপি]
সুদীপ আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। বলতে গেলে, মনোজের সঙ্গে বাংলার ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড। কিন্তু ওপেনার হিসেবে রান পাচ্ছিল না। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে তাঁকে নামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রথম ইনিংসে ওয়ান ডাউন নেমে শূন্য রানে আউট হন। পরের ইনিংসে তাঁকে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়। সেখানে নেমেই ম্যাচ বাঁচানো ৪০ রানের ইনিংসটি খেলেন তিনি। প্রদীপ্তর সঙ্গে তাঁর পার্টনারশিপটাই কিন্তু বাংলাকেই জয়ের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছিল।
রঞ্জি ট্রফিতে এগিয়ে যাওয়ার অক্সিজেন পেয়ে গেল বাংলা। তাহলে কি বাংলা চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে দীর্ঘ ১৮ বছর বাদে?
এই মুহূর্তে এ সব চিন্তা না করে উচিত। এই মুহূর্তে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতে হবে। এই মুহূর্তে আমি শুধু একটা কথাই বলব 'জয় বাংলা'।