শেষ লগ্নে জ্বলে উঠে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার হয়ে উঠল কেকেআর
সাবাস শ্রীবৎস! অবশেষে আইপিএলে জ্বলে উঠল এক বঙ্গসন্তানের ব্যাট
- Total Shares
যাকে বলে শেষ রাতে ওস্তাদের মার। একেবারে সঠিক সময় জ্বলে ওঠা। আইপিএলের এক নম্বরে দলকে হেলায় হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিল কেকেআর।এখানেই শেষ নয় যে ভাবে টুর্নামেন্টের শেষ সময় জ্বলে উঠল তাতে আমি কিন্তু দীনেশ কার্তিকদের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখতে পাচ্ছি।
জিতলে শেষ চারে, হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় - বলতে গেলে শনিবার হায়দরাবাদে নক আউট ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কেকেআর। তাও আবার টুর্নামেন্টের সেরা দলটির বিরুদ্ধে। চূড়ান্ত চাপের ম্যাচ। কিন্তু চাপ কাটিয়ে শেষ হাসিটা হাসলেন কার্তিরা। শুরুতেই ব্যাট করতে নেমে কেকেআরকে চাপে ফেলে দিয়েছিল হায়দরাবাদ। শিখর ধাওয়ান ও শ্রীবৎস গোস্বামী শুরুটা ভালোই করেছিল। হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হলেন শিখর আর শ্রীবৎসের ব্যাট থেকে এল ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। অনেকেই প্রশ্ন করছিল যে এই আইপিএলে সবচেয়ে বেশি বাংলার ক্রিকেটার সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও একজনও কেন পারফর্ম করতে পারছে না। টুর্নামেন্টের একদম শেষ লগ্নে এসে ঝলসে উঠল এক বঙ্গসন্তানের ব্যাট। দেখতে খবুই ভালো লাগল। শুধু মাত্র অনবদ্য ব্যাটিং করেননি হায়দরাবাদের ওপেনিং জুটি। তাঁরা যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন কেকেআরের শিরদাঁড়ায় কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। মনে হচ্ছিল ২০০ উপর করে ফেলবে কেকেআর। আর, সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যাবে কেকেআরের বিদায়।
ওপেনিং জুটি ভাঙতেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসল কেকেআর। আগেরদিন রাজস্থানের বিরুদ্ধে ইডেনে চার উইকেট তুলেছিলেন কুলদীপ। আর শনিবার কুলদীপের ভূমিকায় অবতীর্ন হলেন তরুণ পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। মূলত কৃষ্ণ ও নারিনের কাঁধে ভর করে হায়দরাবাদকে ১৭২ রানে আটকে দিল কেকেআর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় কেকেআর। শেষ ওভারে জিতলেও ম্যাচের উপর পুরপুরি নিয়ন্ত্রণ ছিল কেকেআরের। কখনই মনে হয়নি যে কেকেআর হারতে পারে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, প্রথম চারজন ব্যাটসম্যানই রান পেয়েছে। নক আউটের মরন-বাচন লড়াইয়ে খেলতে নামার আগে তা এক বিশাল পাওনা।
আরও একটি বিষয় আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে। এই আইপিএলে একমাত্র মুম্বাই ছাড়া সবকটি দলকে অন্তত একবার করে হারিয়েছে কেকেআর। তাহলে কি এবার মুম্বাইকে দেখে নেওয়ার পালা?
পরের ম্যাচেই সেই সুযোগ আসবে বলে মনে হচ্ছে। পরিস্থিতি যা তাতে প্লেঅফে কেকেআর মুম্বাইয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে। ঘরের মাঠে, ইডেনে।