শেষ চারে কেকেআরের সম্ভাবনা উজ্জ্বল: আশার আলো দেখাচ্ছে পীযূষ-কুলদীপ
এ বছরের আইপিএল কিন্তু লেগস্পিনারদের আইপিএল হতে চলেছে
- Total Shares
আর ম্যাচ বিশ্লেষণ নয়। এবার অঙ্ক কষার সময় এসেছে। কোন চারটি দল এ বছরের আইপিএলের শেষ চারে খেলবে?
সোমবার দুপুর অবধি কেকেআর আট ম্যাচে আট পয়েন্ট পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। প্রথম তিনে রয়েছে যথাক্রমে হায়দরাবাদ, চেন্নাই ও পঞ্জাব। খুব বড় ধরণের অঘটন না ঘটলে হায়দরাবাদ ও চেন্নাই শেষ চারে যাবে। এবং যোগ্য দল হিসেবেই তারা শেষ চারে জায়গা করে নেবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন দুটি দল শেষ চারে হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়ের দোসর হবে?
আমাকে আশার আলো দেখাচ্ছেন দুই লেগস্পিনার - পীযূষ চাওলা ও কুলদীপ যাদব
নিজেদের যোগ্যতাকে ছাপিয়ে ভালো খেলছে কেকেআর
কেকেআর সমর্থক হিসেবে আমি কেকেআরের সম্ভাবনার কথাই বিশ্লেষণ করব। ইতিমধ্যেই আটটি ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে দীনেশ কার্তিকদের। এখন বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ অবধি কেকেআর প্রথম চারে থাকতে পারবে কিনা। প্রথমে বলে রাখি, এ বছর কেকেআরের টিম কম্পোজিশনে আমি একদমই খুশি নই। দলটিতে ভারসাম্যতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। টি-২০ ক্রিকেটে সব দলই ভালো মানের অলরাউন্ডারের খোঁজ করে। ন্যূনতম চারটি অলরাউন্ডার থাকা উচিৎ প্রথম একাদশে।
খুব খারাপ পরিস্থিতিতে অন্তত তিনজন অলরাউন্ডারের প্রয়োজন রয়েছে। সেখানে কেকেআরে অলরাউন্ডার বলতে আন্দ্রে রাসেল ও কিছুটা সুনীল নারাইন। নারাইনকে পিঞ্চ হিটার হিসেবে ব্যবহার করছে কেকেআর। সে ক্ষেত্রে তাঁকে পুরদস্তুর অলরাউন্ডার বলা ঠিক হবে না।
আরও দু'টি বিভাগে ঘাটতি রয়েছে কেকেআরের। এক, পেস বিভাগে। দলে বড় মাপের পেস বোলারের অভাব রয়েছে যিনি ধারাবাহিক ভাবে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে পারবেন। দুই, সেই অর্থে এমন কোনও ব্যাটসম্যান নেই যিনি একাই বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। দলে তরুণ ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি, তাই কেকেআর দলগত ভাবে কতটা ভালো খেলতে পারবে তার উপরেই কেকেআরের শেষ চারের ভাগ্য নির্ভর করবে।
এত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমি এখনও কেকেআরের উপর আশাবাদী। আমাকে আশার আলো দেখাচ্ছেন দুই লেগস্পিনার - পীযূষ চাওলা ও কুলদীপ যাদব। এ বছরের আইপিএল লেগস্পিনারদের আইপিএল হতে চলেছে। বেশির ভাগ ম্যাচেই লেগস্পিনাররা ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিচ্ছেন। আমাদের সৌভাগ্য কেকেআরের দুই লেগস্পিনারই অনবদ্য ছন্দে রয়েছেন। কেকেআরের শেষ চারের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে এই দুই তরুণ তুর্কির উপর।
আরও একটি কারণে আমি আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। নিজেদের যোগ্যতাকে ছাপিয়ে ভালো খেলছে কেকেআর। এ রকম একটা দল নিয়েই গতকাল বেঙ্গালুরুতে গিয়ে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে দিয়েছে। এর মানে খুব বাজে টিম কম্পোজিশন হওয়া সত্ত্বেও কেকেআর খুব দ্রুত একটি দলে পরিণত হচ্ছে। বিষয়টা ইতিবাচক। দলগত ভাবে ভালো খেলতে পারলে আমি কিন্তু কেকেআরের শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট উজ্জ্বল। চতুর্থ দল হিসেবে আমার সেরা বাজি পঞ্জাব বা মুম্বাইয়ের মধ্যে যে কোনও একটি।
শেষ চারের ম্যাচগুলো নক-আউট পদ্ধতিতে খেলা হবে। সুতারং কোন দু'টি দল ফাইনাল খেলবে তা নিয়ে গবেষণা না করাই ভালো। একটা কথাই বলব যোগ্য দলেরাই ফাইনালের ছাড়পত্র পাবে। তাই, আসুন, দুটি সেমিফাইনালে আমরা ভালো মানে ক্রিকেট দেখার জন্য দিন গুনতে থাকি।