বুমরাহর প্রত্যাবর্তন আর ব্যাটসম্যানদের রানে ফেরা নটিংহ্যামে জিতিয়ে দিল ভারতকে
এখান থেকে সিরিজ জয়ের কাজটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়
- Total Shares
এই টেস্ট ম্যাচটা দেখে বোঝা গেল যে আরও বেশ কিছু অনুশীলন ম্যাচের প্রয়োজন ছিল ভারতের। সে ক্ষেত্রে বর্তমানে এই সিরিজটা ২-১ থাকত না।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় তো একই অবস্থা হয়েছিল।শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি ভারত। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে যখন বিরাটরা ঘুরে দাঁড়ালেন ততক্ষনে সিরিজ শেষের দিকে। আমাদের বুঝতে হবে দেশের মাঠে পাটা উইকেটে আইপিএল খেলে আমরা ইংল্যান্ড গিয়েছি। সে খানে প্রথমেই একদিনের ম্যাচ ও টি-২০। পাঁচ টেস্ট শুরুর আগে মাত্র দুটি অনুশীল ম্যাচ। তা কখনই পর্যাপ্ত নয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরাহর পাঁচ উইকেট, প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পান্ডিয়ার
সিরিজে ইংল্যান্ড এখন ২-১ এ এগিয়ে রয়েছে।ইংল্যান্ড যতই দুটি ম্যাচ জিতুক না কেন। আমি বলব দল হিসেবে অত্যন্ত সাদামাটা, বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা সাধারণ মানের। তাও আমরা প্রথম দুটি ম্যাচ হারলাম কেন? প্রথম দুটি ম্যাচ ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারেননি। এর কিছুটা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে না নিতে পারার জন্যে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের ভুল সিদ্ধান্তে। প্রথম দুটি ম্যাচের টিম কম্পোজিশন একেবারেই ঠিক ছিল না।
তবে এই ম্যাচে ভারতীয়রা যে অনবদ্য ক্রিকেট খেলল তা দেখে আমি মোটেও অবাক হয়নি। সিরিজের আগে বলা হচ্ছিল যে যে সিরিজ ৫০-৫০। কিন্তু আমরা ব্যাটটা ঠিক মতো করতে পারেনি বলে প্রথম দুটি ম্যাচেই পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছিল।। অবশেষে ব্যাটসম্যানরা রান করলেন। টিম ইন্ডিয়াও ঘুরে দাঁড়াল। এখান থেকে কিন্তু সিরিজটাও জমে গেল।
আরও একটি কারণে এই টেস্টে ভারতকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। প্রথম একাদশে বুমরাহর প্রত্যাবর্তন। বুমরাহ ফিরে আসায় ইশান্ত ও শামি মন খুলে বল করতে পেরেছে। তিন পেসার সম্মিলিত ভাবে ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সফল হয়েছেন। পান্ডিয়াও প্রথম ইনিংসে অসাধারণ বল করেছেন। কিন্তু তাঁর কৃতিত্বকে খাটো না করেই বলছি পান্ডিয়ার পাঁচটা উইকেট কিন্তু পেসত্রয়ীর চাপ সৃষ্টি করতে পারার জন্যে। দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরাহ তো অসাধারণ।
আগেই বলেছি, সিরিজটাও জমে গেল। কে বলতে পারে এখান থেকে টিম ইন্ডিয়া সিরিজটা ছিনিয়ে নেবে না। কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।