ভয় হয়, এশিয়া কাপের পারফর্ম্যান্স ইংল্যান্ডের ব্যর্থতা ভুলিয়ে দেবে না তো!
অস্ট্রেলিয়া সফরে সফল হতে হলে ইংল্যান্ডের ব্যর্থতা নিয়ে কাটাছেঁড়ার প্রয়োজন আছে
- Total Shares
ভয় হয়, ভয়ের যথেষ্ট কারণও রয়েছে।
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বলতে গেলে দ্বিতীয় দল নামিয়ে হংকংয়ের বিরুদ্ধে জিতেছিল ভারত। বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল রোহিত শর্মার ভারত। শেষ বার ভারত পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল ইংল্যান্ডে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। সেই ম্যাচে ভারত হেরেছিল। তাই বুধবার বদলা নেওয়ার জন্যে প্রহর গুণছিল আসমুদ্রহিমাচল।
সেই ম্যাচের হারের বদলা নেওয়াও গেল। বড় 'মধুর' এই বদলা। প্রতিপক্ষকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিলেন শিখর ধাওয়ান-রোহিত শর্মারা। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৬২ রানে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। জবাবে মাত্র ২৯ ওভারে দু'উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। এই জয়ের ফলে ভারতের মনোবল বেশ ভালো জায়গায় থাকার কথা। এশিয়া কাপের অন্যতম ফেভারিট ধরেই নেওয়া যায়।
সামনের বছর ইংল্যান্ডে বসতে চলেছে বিশ্বকাপের আসর। তার আগে দুবাইতে যদি এশিয়ার সেরা দলের তকমাটা ছিনিয়ে নিতে পারে তাহলে মন্দ কি? যে কোনও ভারত সমর্থকেরই ভারতকে এশিয়া সেরা হতে দেখলে খুশি হওয়ার কথা।
পাকিস্তানকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়েছে ভারত [ছবি: এপি]
আর ভয়ের কারণটা এখান থেকেই শুরু। পাকিস্তানকে দুরমুশ করা, এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই সব সাফল্যগুলো ইংল্যান্ড সিরিজের ব্যর্থতাকে ভুলিয়ে দেবে না তো? ইতিহাস বলছে, মানুষের স্মৃতি খুব ফিকে। অতএব ভুলে যাওয়ারই কথা। আর, সেই আশঙ্কা যদি সত্যি হয় তাহলে তা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্যে মোটেও সুখের হবে না।
বিরাটের ভারত আর যাই হোক না কেন নব্বইয়ের দশকের আজহারের ভারত নয়। সেই সময় ভারতের সমর্থকরা বিদেশের মাটিতে হার দেখতেই অভ্যস্ত ছিলেন। কালেভদ্রে কোনও ম্যাচে জয় পেলে তা ভারতীয়দের কাছে অসীম সৌভাগ্য হিসেবে গণ্য করা হত। বর্তমান ভারতীয় দল কিন্তু বিদেশে জেতার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের ভুল সিদ্ধান্তে যদি ম্যাচ হারে বা ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যদি অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হলে তাহলে তো ভারতীয় মাত্রেই ক্ষোভের সঞ্চার হবে।
ইংল্যান্ডের ব্যর্থতার কাটাছেড়া আর করা হবে তো [ছবি: এপি]
ইংল্যান্ড সফরেই দেখুন না। বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভুল সিদ্ধান্তের বশে (পড়ুন ভুল দল নির্বাচন) সিরিজ ৪-১-এ হারতে হয়েছে ভারতকে। এর মধ্যেও লর্ডস টেস্টে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ভারত। কিন্তু বাকি তিনটি হারা ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে একটা সময় জেতার মতো পরিস্থিতিতে ছিল ভারত। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে।
বিসিসিআইয়ের যা মনোভাব তাতে টিম ম্যানেজমেন্টের বদলের কোনও সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া সফর রয়েছে। সেই সিরিজে ভালো ফল করতেই হবে। তার জন্যে ইংল্যান্ডের সফরের ব্যর্থতা কাটাছেড়া করার প্রয়োজন রয়েছে।
কিন্তু, ভয় হয়। রোহিতের ভারত এশিয়া সেরার তকমা পেলে সেই কাঁটাছেড়া আর করা হবে তো?