নিদাহাস ফাইনালের বদলা, না কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি: ফয়সালা হবে এশিয়া কাপ ফাইনালে
একটি দলের শক্তি প্রতিভা ও অভিজ্ঞতা, অন্য দলের শক্তি প্রতিভা ও জেতার অদম্য খিদে
- Total Shares
শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল পাঁচ রান। নিদেনপক্ষে একটা বাউন্ডারি হাঁকাতে পারলে ম্যাচ টাই হবে। সৌম্য সরকারের বলটা ঠিকম মতো কানেক্ট করতে পেরেছিলেন দীনেশ কার্তিক। ব্যাস, তাতেই কেল্লা ফতে! দীনেশের শটে বল যখন মাটিতে আছড়ে পড়ল ততক্ষনে তা বাউন্ডারির সীমানা পার করে গিয়েছে। সেদিন শেষ বলে দীনেশের ছক্কার সৌজন্যে নিদাহাস ট্রফি পকেটে পুড়েছিল বিরাটের ভারত। উল্টোদিকে, সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ জয়ের দোরগোড়ায় পৌছিয়েও প্রথমবারের জন্যে কোনও আন্তর্জাতিক বহু দলীয় টুর্নামেন্ট জেতা থেকে বঞ্চিত হল।
নিদাহাস ফাইনালের ছ'মাসের মধ্যেই এবার এশিয়া কাপ ফাইনালে আবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কি পারবে সেই ম্যাচের বদলা নিতে? না কি আবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে?
নিদাহাসে ট্রফির হারের বদলা কি নিতে পারবে বাংলাদেশ [ছবি:এপি]
গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে অনবদ্য ক্রিকেট খেলেছে ভারত। সেরা ফর্মে রয়েছে ভারতের ওপেনিং শিখর ধাওয়ান-রোহিত শর্মা জুটি। ভারতীয় বোলাররাও বেশ ভালো বল করছেন। এর উপর ফাইনাল জসপ্রীত বুমরাহ খেলেছেন। এর ফলে, নিঃসন্দেহে ভারতীয় বোলিং আরও শক্তিশালী হবে।
কিন্তু ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে চিন্তায় রাখবে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই বাংলদেশী ওপেনাররা রান পাচ্ছে না। হাল ধরতে হচ্ছে মিডল অর্ডারকে। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের মিডল অর্ডার কিন্তু সফল। দলের স্কোর সম্মানজনক অবস্থায় পৌছিয়ে দিচ্ছে যাকে পুঁজি করে বোলাররা লড়াই করতে পারে।
এশিয়া কাপে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে বাংলাদেশ [ছবি: এপি]
আজ জিততে হলে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে যাতে বড় পার্টনারশিপ না গড়ে ওঠে সে দিকে নজর রাখতে হবে। অর্থাৎ, ভারতীয় স্পিনারদের উপর ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছে।
তবে মিডল অর্ডার ছাড়াও আরও একটি শক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। তা হল জেতার অদম্য ইচ্ছে। একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জিতে নেওয়ার খিদে। মুস্তাফিজুররা, সৌম্য সরকাররা ভালো করেই জানেন এই সুযোগ বরাবর আসে না। নিদাহাস ফাইনালে কাজে লাগানো যায়নি। এবার লাগাতেই হবে।
অভিজ্ঞতা না কি জেতার অদম্য খিদে, দিনের শেষে কে হবে এশিয়ার সেরা ক্রিকেট দল - এর ফয়সালা আজ এশিয়া কাপের ফাইনালেই হবে।