গোরক্ষা নিয়ে এ রাজ্যে আইনের প্রেক্ষাপট ও সরকারের ভূমিকা

আইন ও সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ রক্ষায় অন্তরায় ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি

 |  7-minute read |   27-08-2018
  • Total Shares

পশুহত্যা (slaughter) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কলকাতা আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়ে জানিয়ে দিয়ছে যে আইন অনুযায়ী পরিকাঠামো তৈরি করা আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব নয়, তাই তার আগে পশুবধ নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব নয়। আদালতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ কথা জানানোর পরেই একটি কথা রটে গিয়েছে যে, মুসলমান সম্প্রদায়কে তোষণ করার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই অবস্থান নিয়েছে। এই অভিযোগ কতটা বাস্তবিক ও প্রাসঙ্গিক?

highcourt_body_05041_082718071900.jpgকলকাতা হাইকোর্টের কাছে সময় চেয়েছে রাজ্য সরকার (পিটিআই)

সমালোচনা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণের আগে বিচার করে দেখতে হবে আইনটি কী এবং এই সংক্রান্ত্র মামলার ফল কী। কোন প্রেক্ষিতে সেই আইন এবং এই আইন রক্ষায় পূর্বতন সরকার কী পদক্ষেপ করেছে তাও বিচার করা প্রয়োজন।

পশ্চিমবঙ্গে পশুহত্যা নিয়ন্ত্রণ আইন

আইন অনুযায়ী এ রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ – মোটামুটি ভাবে বুঝিয়ে বলতে গেলে ১৪ বছরের কম বয়সী কোনও গবাদিপশু, যে দুধ দিতে, চাষের কাজ করতে ও প্রজননে সক্ষম, তাকে হত্যা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যানিম্যাল স্লটার কন্ট্রোল অ্যাক্ট, ১৯৫০ (যা ১৯৭৯ সালে সংশোধন করা হয়েছে) অনুযায়ী এ রাজ্যে ষাঁড়, বলদ, গোরু, মদ্দা ও মাদী মোষ, বাছুর, মোষের বাছুর ও খাসি-মোষ হত্যা নিষিদ্ধ। মূলত দুধের জোগান ও চাষের কাজে যাতে ক্ষতি না হয় সে কথা মাথায় রেখেই এই আইন প্রণীত হয়। এই পশুগুলির কথা তফসিল বা সিডিউলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তালিকায় থাকা পশু যত্রতত্র হত্যা করা যায় না, নির্দিষ্ট কষাইখানাতেই তা করতে হয় এবং পশুচিকিৎসক তাকে হত্যার উপযুক্ত বলে লিখিত শংসাপত্র দেওয়ার পরেই তা করা সম্ভব। সংশ্লিষ্ট পশুর বয়স যদি ১৪ বছরের কম হয়, তা হলে কী পরিস্থিতিতে তাকে হত্যা করা যাবে, সেই সংক্রান্ত নিয়মও স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা রয়েছে ওই আইনে। নিয়ম লঙ্ঘিত হলে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা দুটোই হতে পারে। আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে শংসাপত্র ছাড়া পশুবধ নিষিদ্ধ।

agriculture_05301705_082718072016.jpgপশুপালন, দুগ্ধশিল্প ও কৃষিকাজের কথা ভেবেই গবাদিপশু হত্যা শর্তসাপেক্ষে নিষিদ্ধ (ডেইলি ও)

আইনে একটি ব্যতিক্রম রয়েছে। ১২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে গবেষণার কাজে ও ধর্মীয় কারণে পশুবধ করা যেতে পারে। আইনের এই ধারায় বকরি ঈদে গোহত্যা করার অধিকার চেয়ে মামলাও হয়েছিল।

বকরি ঈদ ও আদালতের বক্তব্য

পশ্চিমবঙ্গ সরকার বনাম আশুতোষ লাহিড়ির একটি মামলার (সিভিল অ্যাপিলস নম্বর ৬৭৯০ অফ ১৯৮৩, ডিসাইডেড অন ১৬.১১.১৯৯৪) কেস নোটে পশ্চিমবঙ্গের পশুবধ আইনের ৪ ও ১২ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করা হয়।

সহজ কথায় বিতর্কের বিষয়টি হল, শংসাপত্র ছাড়া বকরি ঈদে গোহত্যা করা যায় কিনা। রায়দানের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি পুরোনো মামলার উল্লেখও করা হয়েছিল।

এই মামলার অনেক আগে সর্বোচ্চ আদালতে আরও একটি মামলা হয়েছিল গোহত্যা নিয়ে। মহম্মদ হানিফ কুরেশি ও বিহার সরকারের সেই মামলার (পিটিশন নম্বর ৫৮, ৮৩, ৮৪, ১০৩, ১১৭, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ২৪৮, ১৪৪ ও ১৪৫ অফ ১৯৫৬ অ্যান্ড ১২৯ অফ ১৯৫৭, ডিসাইডেড অন ২৩.০৪.১৯৫৮) রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সুধিরঞ্জন দাস, বিচারপতি পিবি গজেন্দ্রগড়কর, বিচারপতি এসকে দাস, বিচারপতি টিএল বেঙ্কটরাম আইয়ার ও বিচারপতি ভিভিয়ান বোসের সাংবিধানিক বেঞ্চ। এই মামলায় প্রধান বিচার্য ছিল বিভিন্ন রাজ্যের পশুবধ আইনের সাংবিধানিক দিক এবং বকরি ঈদে গোহত্যা নিয়ে। সেখানে সংবিধানের ১৪, ১৯, ১৯(১) এবং ৪৮ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করা হয়।

সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে যেখানে ধর্মের অধিকার রক্ষার কথাও রয়েছে। ১৯ ধারায় বেশ কয়েকটি অধিকারের কথা বলা হয়েছে, একই সঙ্গে বলা হয়েছে কোনও রাজ্য সরকার এমন কোনও আইন করতে পারবে না যেখানে অধিকার লঙ্ঘিত হয়। ১৯(১)(জি) ধারায় পেশার অধিকারের কথা আলাদা ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ৪৮ নম্বর ধারায় পশুপালন, কৃষিকাজের কথা মাথায় রেখে দুধ দেওয়া চাষের কাজে ব্যবহৃত গবাদি পশু রক্ষার কথা বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যে আইনটি তৈরি হয়েছিল তা এর উপরে ভিত্তি করেই।

bakrid-690_082718072156.jpgইসলাম ধর্মে বকরি ঈদে গোহত্যা আবশ্যিক নয় বলে জানিয়েছে আদালত (ছবি: রয়টার্স)

সেই মামলার রায়ে বিভিন্ন রাজ্যের আইন কতটা সাংবিধানিক সে কথা উল্লেখ করা হয়। রায়ে পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলা হয়, দেশে গবাদি পশু প্রয়োজনের তুলনায় কম। কেটল প্রিজার্ভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটি গোহত্যা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার পক্ষে সুপারিশ করেনি, তবে তারাও ১৪ বছরের কম বয়সী গবাদিপশু বধের সুপারিশ করে। মূলত পশুপালন, দুগ্ধশিল্প ও কৃষিকাজের কথা মাথায় রেখে তাদের ঝোঁক ছিল আদপে গোহত্যা নিষিদ্ধ করার দিকেই। সামগ্রিক ভাবে দেখা যায়, তাদের সুপারিশ ১৪ বছরের কম বয়সী গবাদি পশু বধের বিরুদ্ধেই ছিল।

প্রশ্ন হল, বকরি ঈদে গোবধ করা যাবে কিনা, কারণ সংবিধান অনুযায়ী ধর্মের অধিকার স্বীকৃত এবং আইন অনুযায়ী ধর্মের জন্য পশুবধ সিদ্ধ। ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া ভার্সেস উড পেপার লিমিটেড এবং অন্য কয়েকটি মামলার রায়ের কথা ১৯৯৪ সালে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছে ইসলামে এ কথা উল্লেখ নেই যে স্বাস্থ্যের অধিকারী গোরুই হত্যা করতে হবে। মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের আইনের প্রেক্ষিতে করা হয়েছিল। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের আইন অনুযায়ী এবং তার পরে সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী গোহত্যা বলতে যা বোঝায় তা এ রাজ্যে নিষিদ্ধ। এ ক্ষেত্রে ১২ নম্বর ধারার সুযোগ নিয়ে গোহত্যা করা যাবে না।

সংবিধানের ২৫(১) ধারায়, যেখানে সকলকে ধর্মাচরণের অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেই অংশ উদ্ধৃত করার সময়ও বলা হয়েছে, ইসলামে কোথাও গোহত্যা আবশ্যিক বলে উল্লেখ করা নেই বলে কোনও রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ করা হলে তা সংবিধানের ২৫(১) ধারাকে লঙ্ঘন করছে না। ২৫(১) ধারায় অবশ্যিক ধর্মীয় আচরণের কথা বলা হয়েছে, ঐচ্ছিক আচরণের কথা বলা হয়নি।

সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোরান উল্লেখ করে কেউই দেখাননি যে গোবধ আবশ্যিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তা ছাড়া জনপ্রতি একটি ছাগ অথবা সাতজন প্রতি একটি গোরু বা উট বলির কথা বলা হয়েছে, গোরু আবশ্যিক এ কথা বলা হয়নি। একটি গোরুর বদলে সাতটি ছাগল ক্রয় করার ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যা থাকতে পারে, তবে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা নেই।

পেশার অধিকার প্রসঙ্গেও বলা হয়েছিল যে মুসলমান কসাইরা শুধুমাত্র গোমাংস বিক্রি করবেন এটা বৈষম্যমূলক। তাঁরাও অন্য মাংস কাটতে বিক্রি করতে পারবেন। তাই বিহার ও মধ্যপ্রদেশ পুরোপুরি গোহত্যা নিষিদ্ধ করলেও কারও পেশার উপরে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেছিল সাংবিধানিক বেঞ্চ। বাস্তবে এখন সেই বৈষম্য নেই।

sc1_082718072338.jpegগোহত্যা রোধে আইন কোনও ভাবেই সংবিধানের কোনও ধারা লঙ্ঘিত করছে না বলে উল্লেখ রয়েছে আদালতের রায়ে (ছবি: পিটিআই)

ধর্মীর বিষয়টিও বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য। ঋগ্বেদে গোহত্যা নিষিদ্ধ ছিল না, মহোক্ষ (গোবধ) ও মহজ (ছাগবধ) ছিল প্রথা। এমনকি বিশেষ ব্রাহ্মণ বাড়িতে এলে তাঁকে আপ্যায়নের জন্যও গোমাংস নিবেদন করা হত। তবে কৃষিকাজের ব্যাপকতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গোহত্যা নিষিদ্ধ করা হয় এবং তাকে অঘ্ন আখ্যা দেওয়া হয়। অথর্ববেদেও গোহত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মে সেই অর্থে গোহত্যা নিষিদ্ধ হলেও মোষবলি চালু রয়েছে। এখন অবশ্য তা দেখা যায় না।

মোগল সম্রাট বাবর পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁর শাসনাধীন অঞ্চলে গোহত্যা বন্ধ করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর পরামর্শ মেনে একই নিয়ম চালু রেখেছিলেন হুমায়ুন। আকবরের সময়েও সেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি।

তাই পশ্চিমবঙ্গের পশুবধ সংক্রান্ত আইনটি কোথাও সংবিধান লঙ্ঘন করেনি। একই সঙ্গে বকরি ঈদে গোহত্যা করা আইনত দণ্ডনীয়।

পশ্চিমবঙ্গ ও সমকালীন বিতর্ক

শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সরল ভাবে বলতে গেলে গোহত্যা বন্ধ করা নিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আইন রয়েছে। নির্দিষ্ট কষাইখানাও রয়েছে। যদিও সেই আইন মেনে চলা-না চলা পুরোটাই নির্ভর করে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট সরকারের সদিচ্ছার উপরে।

কষাইখানা বন্ধ করে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন, পরে দেখা যায় তিনি শুধুমাত্র বেআইনি কষাইসখানাই বন্ধ করেছেন। লখনৌয়ের গলৌটি কাবার বন্ধ হয়ে যাবে বলে যে গোল গেল রব উঠেছিল, তা নিয়ে এখন আর উচ্চবাচ্য শোনা যাচ্ছে না।

আইন তৈরি করে রাজ্য সরকার, সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে গোহত্যাকে বৈধ করে দিলেই অন্তত রাজ্যের মুলসিম ভোটব্যাঙ্ক যে তৃণমূলের দিকে চলে আসার সম্ভাবনা প্রবল, তা ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু সে পথে যাচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তার সবচেয়ে বড় দু’টি কারণের একটি হল সাংবিধানিক ভাবে সেই আইন আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে, এবং শেষ পর্যন্ত সেই আইন কার্যকর না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। দ্বিতীয় কারণ হল, আইন হোক বা না হোক, সরকার এই দিকে পদক্ষেপ করছে জানলেই রাজ্যের হিন্দু ভোট মেরুকরণেরও পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাবে।

supreme-court_reuter_082718072546.jpgসর্বোচ্চ আদালত রায় দেওয়ার সময় উল্লেখ করেছে বেদের কথাও (ছবি:রয়টার্স)

সব দিক বিবেচনা করে বিষয়টিকে আপাতত ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঝুলিয়ে রেখেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। তবে একা তৃণমূলকে ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য দোষারোপ করা ঠিক হবে না।

১৯৫০ সালে আইন তৈরির পরে প্রায় সাত দশক গড়িয়ে গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেই আইন কার্যকর করার পরিকাঠামো কেন তৈরি হল না? দীর্ঘদিন রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার ছিল, তারপরে সাড়ে তিন দশক বামফ্রন্ট এবং সাত বছর তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্যে রয়েছে। ১৯৯৪ সালে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরে ২০১১ সাল পর্যন্ত বামফ্রন্ট সরকার কী করেছে?

বর্তমান সরকার উপযুক্ত কষাইখানা যদি অল্প সময়ের মধ্যে চালু করতে নাও পারে তা হলেও যে নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা পশু ধর্মের নামে বলি দেওয়া বন্ধ করতে বাধা নেই। চিকিৎসকের অপ্রতুলতাও কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে।

গোবধ নিয়ে দেশে যে দাঙ্গা পর্যন্ত হয়েছে তা আদালতের পুরোনো একটি রায়ের অংশে উল্লেখও করা হয়েছে। এ দেশে সংবিধান ও আআনের ঊর্ধ্বে যে ভোটব্যাঙ্ক, তা রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থানেই স্পষ্ট। যে কারণে বামফ্রন্ট ও তৃণমূল এই রাজ্যেরই আইন ও সর্বোচ্চ আদালতের রায় পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, সেই একই কারণে বিজেপি এই রায়কেই হাতিয়ার করতে চাইবে। তবে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে তেমন তাপউত্তাপ তৈরি হয়নি, এ জন্য ভোটের হাওয়া ওঠা অবধি অপেক্ষা কতরতে হবে। ২০১৯ সালের ভোটে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ভালো ফল করতে পারলে, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে এটা ইস্যু হতেই পারে।

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

SUMITRO BANDYOPADHYAY
Comment