রাজ্যপালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই কি এ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সরব হলেন মোদী
কর্নাটক নির্বাচন নিয়ে বলতে গিয়ে হঠৎই প্রধানমন্ত্রী বললেন: পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে
- Total Shares
কর্নাটক নির্বাচনের পরবর্তী অধ্যায় কী ভাবে কাজ করবে বিজেপি - এই নিয়ে বিজেপির সদর দপ্তরে আলোচনা সভা বসেছিল। কিন্তু তাঁর ভাষণে প্রায় আড়াই মিনিট ধরে পশ্চিম বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তিনি।
প্রধানমন্ত্রী যে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে যে এক হাত নেবেন তা স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মোদীর এই বক্তব্যের সূত্র কী? অনেকেই মনে করছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই মঙ্গলবার বিজেপি সদর দপ্তরে তাঁর বক্তৃতা পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কেশরীনাথ ত্রিপাঠির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তাঁর বক্তৃতা পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
মোদী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে
তাঁর ভাষণে মোদী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, যে ভাবে নির্বাচন সংগঠিত করা হয়েছে তাতে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আর কোনও দল লাভবান হয়নি। প্রতিটি দলের বেশ কয়কেজন কর্মীকেও খুন করা হয়েছে। বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সব রাজনৈতিক দল, বাংলার সুশীল সমাজ এবং দেশের বিচারবিভাগকেও এর বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।"
বস্তুত, কর্নাটক নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হটাৎ করেই পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বলতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণের এক জায়গায় তিনি বলেন, "কর্নাটক ছাড়াও আরও একটি ঘটনা ঘটেছে যা নিয়ে দেশকে গুরত্ব দিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে - পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন। সে রাজ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।"
যে ভাবে মোদী নির্বাচনের কিছু ঘটনার কথা পুঙ্খনাপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরেছেন তাতে অনেকেই মনে করছেন যে রাজ্যপালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তাঁর এই ভাষণ। মোদী বলেছেন, "ব্যালট বাক্সগুলো পুকুরে ভাসছিল। বেশ কিছু নিরীহ লোকের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র বিজিপি কর্মী সমর্থকদের খুন করা হয়নি। সমস্ত বিরোধীদলকেই ভুগতে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যা হয়েছে তা গণতন্ত্র বিরোধী এবং আমাদের সকলকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত।"