‘সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি রাজনীতি’
টিভি খুলতে ধরা পড়ল সেই দৃশ্য ‘এক হাতে পেটো আর এক হাতে লাঠি, জমবে খেলা ফাটাফাটি’
- Total Shares
‘এক হাতে পেটো আর এক হাতে লাঠি, জমবে খেলা ফাটাফাটি’
উৎসব প্রিয় ,‘শ্রী’ মুখর এই দলকে তার ‘ধরণীতে’ রাজ্যের মানুষ কী ‘শ্রী’ উপহার দেবেন? ‘বিশ্রী’?
ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে আরও বেশ কিছু দিন বাকি, কিন্তু তার আগেই দেখা গেল এক আজব ফুটবল ম্যাচ। ফুটবল খেলাতে অনেক আজব ঘটনা ঘটেছে যা ইতিহাসের পাতায় নথিভুক্ত করা আছে। তবে জীবন নামের খেলাতে কখনও মানুষের জীবনটাই ফুটবল হয় দাঁড়ায় এবং এই খেলার কিছু আজব ঘটনা কোথাও নথিভুক্ত করা থাকে, কিন্ত বেশ কিছু থাকে না। এই সব ঘটনা বেশিদিন স্থায়ী হয় না লোকেদের স্মৃতিতেও । এমনই এক খেলার সাক্ষী থাকল বাংলা।
খেলা শেষেও স্কোর রুমে ঢুকে গোল বাড়িয়ে গেল জয়ী দল
‘ডার্বি’ হোক বা ‘এল ক্লাসিকো’ কিম্বা গত বিশ্বকাপে জার্মানি বনাম ব্রাজিল, ৯০মিনিটের এই খেলায় অনেক সময় দেখা গেছে, কোনও একটি দল প্রতিপক্ষকে বিরাট ব্যবধানে হারিয়েছে। কিন্তু কখনও দেখেছেন জার্মানি ব্রাজিলের চেয়ে ৬ গোলে এগিয়ে খেলা শেষ করার পরও জার্মানি বিপুল অঙ্কের গোল করে গেছে আর সেটা গ্রাহ্য হয়েছে? কিন্তু এমনই এক বিরল দৃশ্য দেখা গেল পঞ্চায়েত ভোট গণনার দিন।
ম্যাচটা গত ১৪ই মে শেষ হয়ে গেছিল, যদিও ফুটবল ইতিহাসের ১৯৮০-র মর্মান্তিক ১৬ই অগ স্টের মতো এদিন রাজনীতির ময়দানেও বেশ কিছু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। তবে অনেকে ভেবেছিলেন, ১৪ই মে-র মতো “ছোট খাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা” বোধহয় ফলাফলের দিন আর ঘটবে না। কিন্তু সাধারণ মানুষ যে বড়ই বোকা, তারা কি জানত খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও রেফারির তোয়াক্কা না করে স্কোর রুমে ঢুকে একের পর এক গোল বাড়িয়ে যাবে জয়ী দল? আর তা নিয়ে সংঘর্ষে আবার ফাটবে মাথা, ঝরবে রক্ত? এটা বোধহয় কল্পনাও করেনি কেউ। কিন্তু টিভি খুলতে ধরা পড়ল সেই দৃশ্য ‘এক হাতে পেটো আর এক হাতে লাঠি, জমবে খেলা ফাটাফাটি’।
রাজনীতির খেলায় জয়ী দল উড়িয়েছে আবির, দুলিয়েছে পতাকা
এ রকম বিতর্কিত ম্যাচের শেষে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই, আর ওঠাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রেফারি যদি জয়ী দলের ঘরের লোক হয়, তাহলে তো যেকোনো মাঠই ঘরের মাঠে পরিণত হয়। আর সব খেলার ফলাফলই হয় পূর্বনির্ধারিত।
সূর্য ডুবে সন্ধে নামতে রাজনীতির খেলায় জয়ী দল উড়িয়েছে আবির, দুলিয়েছে পতাকা। আর হেরে যাওয়া দলের মনে এক রাশ অভিযোগ। কিন্তু এই খেলাতে আসলে যে ২০-২৫টি সংসার হারিয়েছে তাঁদের আপনজনকে, তাঁদের নিয়ে ভাববে কে? নাকি তাঁদের মৃতদেহকে ‘ফুটবল’ বানিয়ে আবার একটা নতুন খেলা শুরু হবে? উৎসব প্রিয় ,‘শ্রী’ মুখর এই দলকে তার ‘ধরণীতে’ রাজ্যের মানুষ কী ‘শ্রী’ উপহার দেবেন? ‘বিশ্রী’?