কাগজে কলমে আন্ডারডগ মনে হলেও, নির্বাচনের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে পিপিপি
ইমরানের পিটিআই কি ভুট্টোর পিপিপির সঙ্গে জোট বাধবে, উত্তর খুব শীঘ্রই জানা যাবে
- Total Shares
পাকিস্তানের এক সময়কার সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে বুধবারের সাধারণ নির্বাচনে হেলাফেলা করা উচিৎ কাজ হবে না। কাগজে কলমে আন্ডারডগ হলেও, দেশের জনগণের রায় যদি ত্রিশঙ্কু হয় তাহলে পিপিপি কিন্তু নির্বাচনের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন ২৭২টি আসনের জন্য যে পরিমাণ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে তা এক কথায় অভূতপূর্ব। এই ২৭২টি আসনের ১৪১ আসনই পঞ্জাব প্রদেশের। এর থেকে একটা কথাই পরিষ্কার যে পাঞ্জাব প্রদেশেই ঠিক করে দেবে যে কোন দল এবার পাকিস্তানের মসনদ দখল করবেন। পাঞ্জাব বরাবরই পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) শক্ত ঘাঁটি। ২০১৩ সালে নওয়াজ পঞ্জাবের ১২৬টি আসনের মধ্যে ১১৮টি আসন দখল করেছিল।
নির্বাচনের পরবর্তী অধ্যায়ে পিপিপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বিলাওয়াল ভুট্টোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে
কিন্তু এবছর পরিস্থিতি ভিন্ন। দুর্নীতির দায়ে অপসারিত হয়েছেন নওয়াজ শরিফ। এর প্রভাব নির্বাচনে পড়বে। যদিও শেষ পর্যন্ত দেশের ফিরে এসে গ্রেপ্তার হয়ে কিছুটা মুখ রক্ষা করা গেছে, তা কিন্তু নির্বাচনে 'ক্লিন সুইপের' জন্য যথেষ্ট নয়।
এই মুহূর্তে পাকিস্তান রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন ইমরান খান।কট্টর জাতীয়তাবাদি ও ভারত বিরোধী প্রচারকে হাতিয়ার করে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফি (পিটিআই) ইতিমধ্যেই দেশের সেনাবাহিনীর সমর্থন আদায় করে নিতে পেরেছে।
শেষ নির্বাচনে পিএমেল (এন) ১২৬টি আসনে জয়লাভ করেছিল। পিপিপি ৩৩টি আর পিটিআই মাত্র ২৬টি আসন পেয়েছিল। এ বছর অবশ্য পিটিআই এর চাইতে অনেক বেশি আসনে জয়লাভ করবে। পিএমেল(এন) ততটা সুবিধা করতে পারবে না।
এ বছর পিটিআই গতবারের তুলনায় ঢের বেশি আসনে জয়লাভ করবে
আরও একটি কারণে শরিফের ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলবে। নির্বাচনে হাফিজ সৈয়দের উত্থান। নিষেধাজ্ঞা থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না হাফিজ। কিন্তু তাঁর পুত্র তালহা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন হাফিজের দল মিল্লি মুসলিম লিগের মনোনয়ন খারিজ করে দেওয়ার পরও হাফিজ ২৬০ জনকে আল্লাহ-ও-আকবর তেহরিক নামের একটি দলের হয়ে প্রার্থী করেছেন। কোনও ভাবেই জঙ্গিদের রাজনীতির মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা ঠেকাতে পারেনি প্রশাসন।
এই তৃতীয় কারণটি নির্বাচনে পিএমএলের (এন) অবস্থান ঠিক করে দেবে।
পিএমএল (এন), পিটিআই ও কট্টরপন্থীরা সকলেই পঞ্জাবকে পাখির চোখ দেখছেন। মনে করা হচ্ছে সিন্ধের আসনটি পিপিপি নিজেদের দখলে রাখবে। মুত্তাহিদা কুয়ামী মুভমেন্টও কিছু আসন পেয়ে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নির্বাচনের পরবর্তী অধ্যায়ে পিপিপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বিলাওয়াল ভুট্টোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
সে ক্ষেত্রে পিটিআইকে কি পিপিপির সঙ্গে জোট বাঁধতে দেখা যাবে? উত্তর পেতে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হবে না।