কেন নওয়াজ শরিফকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত
আল আজিজিয়া মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বিশেষ আদালত
- Total Shares
আল আজিজিয়া স্টিল মিলস সংক্রান্ত মামলায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগের কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সোমবার সাত বছরের কারাদণ্ড ও বিপুল জরিমানা করেছে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আদালত। বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আদালতের বিচারক আর্শাদ মালিক গত সপ্তাহেই সংক্ষিপ্ত রায় জানিয়ে এক সপ্তাহের জন্য শাস্তিদান স্থগিত রেখেছিলেন।
আদালত জানিয়েছে যে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে আল-আজিজিয়া মামলায় এবং সেই অর্থ কোথা থেকে কী ভাবে এসেছে সে প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি শরিফ। সে জন্য নওয়াজ শরিফকে অন্তত সাত বছর কারাদণ্ড এবং একই সঙ্গে তাঁকে আড়াই কোটি মার্কিন ডলার ও ১৫ লক্ষ ব্রিটিশ পাউণ্ড অর্থ জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে নওয়াজ শরিফের নামে থাকা সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে ওই আদালত।
আল-আজিজিয়া স্টিল মিল মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাত বছরের কারাদণ্ড ও বিপুল অঙ্ক জরিমানা হয়েছে (ছবি: রয়টার্স)
তবে এ কথাও আদালত বলেছে যে ফ্ল্যাগশিপ-এ বিনিয়োগের ব্যাপারে নওয়াজ শরিফের নামে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই মামলায় বারে বারে (অন্তত কয়েকশো বার) বিশেষ ওই আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে নওয়াজ শরিফকে, সেখানে তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি ও বিনিয়োগ নিয়ে ক্ষুরধার ও নির্বিষ – দু’ধরনের প্রশ্নেরই জবাব দিতে হয়েছে।
আদালত রায় শোনার পরে আদালত চত্বর থেকেই গ্রেফতার করা হয় নওয়াজ শরিফকে।
গ্রেফতার হওয়ার পরে রাওয়ালপিণ্ডির আদিয়ালা জেলে যেতে চাননি শরিফ, অ্যাভেনফিল্ড মামলায় বিশেষ আদালতের রায়ে ১০ বছরের সাজা ঘোষণার পরে ওই জেলে ইতিমধ্যেই তিনি কয়েক সপ্তাহ কাটিয়ে ফেলেছেন।
আদালত নওয়াজ শরিফের আর্জি মেনে তাঁকে লাহোরের কোট লাখপত জেলে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়, সেখানেই সাত বছরেরের কারাদণ্ড ভোগ শুরু হবে শরিফের।
আদালতের রায় শরিফের পরিবারের কাছেও পরীক্ষা (ছবি: রয়টার্স)
পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশে পানামা পেপার সংক্রান্ত রায়ে শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয় সেই মামলার রায় মোতাবেক তিনটি রেফারেন্স (অ্যাভেনফিল্ড, আল-জাজিরা ও ফ্ল্যাগশিপ ইনভেস্টমেন্ট) দিয়েছিল ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
রায়দানের আগে ইসলামাবাদে সংশ্লিষ্ট আদালত চত্বরে বিশেষ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। এই আদালতের রায় এখন শরিফ পরিবারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের কাছে, কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসৃত হওয়ার পর থেকেই আদালতে বিভিন্ন মামলা সামলে চলেছেন।
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে