কেন আমার মনে হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মিশন শক্তি সম্পর্কিত ঘোষণা আসলে অন্তঃসার শূন্য
খুব সম্ভবত আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- Total Shares
কোনও সময়ই ভারতীয় রাজনীতি বিবর্ণ হয়ে পড়ে না। প্রত্যেক দিনই দেশের লোকের ঘুম ভাঙে টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে হয় এই রাজনৈতিক দল নয়তো ওই রাজনৈতিক দলের কোনও একটা ‘ব্রেকিং নিউজ’ দেখে।
বুধবার সকালও একেবারেই ব্যতিক্রমী ছিল না।
সবেমাত্র দিন শুরু হয়েছে, লোকজন সবেমাত্র সেই ভয়ানক যানবাহনের জট পার করে তাদের কর্মস্থলে পৌঁছেছে এবং এক কাপ কফি হাতে নিয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় বসেছে, এমন সময় টিভিতে ‘ব্রেকিং নিউজ’ চলতে শুরু করে দিল। দ্বিভাষিক একটি টুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন যে সকাল ১১.৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তিনি দেশবাসীকে একটি বিশেষ বার্তা দেবেন।
मेरे प्यारे देशवासियों, आज सवेरे लगभग 11.45 - 12.00 बजे मैं एक महत्वपूर्ण संदेश लेकर आप के बीच आऊँगा। I would be addressing the nation at around 11:45 AM - 12.00 noon with an important message. Do watch the address on television, radio or social media.
— Chowkidar Narendra Modi (@narendramodi) March 27, 2019
তারপরে যা ঘটল সেটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় আর্মেগেডন (১৯৯৮) নামে চলচ্চিত্রটির একটি অনবদ্য দৃশ্যের কথা, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে একটি মহাকাশ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করছেন যেখানে মানবজাতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একদল অতিশয় সাহসী ব্যক্তি তাঁদের জীবন তুচ্ছ করে সেই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে চলেছেন। রাষ্ট্রপতি যখনই এই কথাটি বললেন তখনই ক্যামেরাটি ঘুরে গেল এবং জুম করে দেখাল যে কী ভাবে ভারত থেকে চিন, ফ্রান্স থেকে সৌদি আরব, সারা দুনিয়ার সব মানুষ উদ্বেগের সঙ্গে অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুণতে শুরু করে দিল, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে শুরু করল এবং কেউ টিভির সামনে সেঁটে বসে রইল, কেউ রেডিয়োর দিয়ে উৎকর্ণ হয়ে অপেক্ষা করতে লাগল রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা শুনবে বলে। প্রসঙ্গত, বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট অনুযায়ী আর্মেগেডন হল শেষ বিচারের আগের দিন সৎ ও অসতের মধ্যে ঘোর যুদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হলেন আড়ম্বরপ্রিয়, নাটকীয় ভাবসম্পন্ন ও প্রচারপ্রিয়। তিনি বিশেষ মুহূর্ত রচনা করতে ভালোবাসেন এবং এমন কিছু করতে চান যা চিরকাল স্মৃতিপটে স্থান করে নিতে পারে এবং তিনি তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিমায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে চমক দিতে চান ও এক ঝটকায় লোকের সম্ভ্রম আদায় করে নিতে চান। আপনি কি মনে করছিলেন যে তিনি তাঁর বিভাগের আর্মেগেডনদের দ্বারা প্রহৃত হয়েছেন? তাও আবার সেই সময় যেটা মহাকাশ গবেষণায় সাফল্যের মুহূর্ত! আপনার কি মনে হয় না যে তিনি এ নিয়ে যথেষ্ট গভীর ভাবে চিন্তাভাবনা করেছেন?
সুতরাং পরের ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ছিল ভারতের কাছে আর্মেগেডনের মতো মুহূর্ত যা খোদিত হয়ে গেল দেশের ইতিহাসের পাতায় – অন্তত আপাত ভাবে বলা যায় যে নরেন্দ্র মোদী যখন নাটকীয় ভাবে সেই বার্তা দিতে যাচ্ছিলেন তখন তিনি সে রকমই আশা করেছিলেন। টেলিভিশনের অন্য সব ধরনের সম্প্রচারমূলক অনুষ্ঠান ও রিপোর্টিং বন্ধ করে দিয়ে টিভিতে দেখানো হতে থাকল উদ্বিগ্ন সংবাদপাঠক-পাঠিকাদের মুখ, এই অবস্থা ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকল যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টিভির পর্দায় আবির্ভূত হয়ে বলতে শুরু করলেন। বিভিন্ন অফিসের ক্যাফেটেরিয়া, কলেজের ক্যান্টিন, হাসপাতালে সর্বসাধারণের অপেক্ষার জন্য যে জায়গা থাকে সেই জায়গা, রেল স্টেশন প্রভৃতি সব জায়গাতেই তখন একই ছবি।
এক টিভি চ্যানেলের সঞ্চালক বললেন, “অন্য কোনও দিন হলে আমরা সেই খবর থেকে বেরিয়ে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে প্রিযাঙ্কা গান্ধীর প্রচার দেখাতাম – কিন্তু এই দিন অন্য সবই বাতিল করে দিতে হল।
একধাপ এগিয়ে আমি বলতে পারি, ওই নাটকীয় মুহূর্ত নিয়ে অতি সংক্ষিপ্ত কথাটি হল – সকলের নজর কাড়া, কংগ্রেসের বক্তব্য থেকে দেশের নজর ঘুরিয়ে দেওয়া, কংগ্রেসের ক্রমাগত আক্রমণের সামনে একটু দম নিতে চাইছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি),তাদের একটু বিরাম দরকার ছিল।
রাহুল গান্ধীর ন্যায় প্রকল্পের জন্যই কি বিজেপির এটি করা দরকার ছিল? (উৎস: পিটিআই)
আগে থেকে রেকর্ড করে রাখা ১০ মিনিটের লম্বা ভিডিয়ো বার্তায় নরেন্দ্র মোদীকে বেশ বিচলিত দেখাচ্ছিল – তাঁর হাত কাঁপছিল – তিনি জাতির উদ্দেশে বলেন, মহকাশে ক্ষমতার ব্যাপারে যে গুটিকয় দেশ মহাশক্তিধর হিসাবে বিবেচ্য হয়, সেই অভিজাত দেশের তালিকায় সংযুক্ত হল ভারতও, নীচু কক্ষপথে থাকা উপগ্রহ ধ্বংস করতে সক্ষম হওয়ায় এই তালিকায় চতুর্থ দেশ হল ভারত। উপগ্রহ-বিধ্বংসী (অ্যাস্যাট) এই প্রকল্পের নাম হল ‘মিশন শক্তি’। আপাতত মাত্র তিন মিনিটে এটি আমাদেরই একটি উপগ্রহকে নামিয়ে দিয়েছে। এই প্রকল্পটি কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয়, তবে এটি আমাদের সর্বাধুনিক মহাকাশ যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রের প্রদর্শন। অন্যদের পাশাপাশি ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ দিয়ে বক্তৃতা শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
যখন এটা আমাদের গর্বের এক বিশেষ মুহূর্ত, তখন লোকসভা নির্বাচন শুরুর দু-সপ্তাহ আগে কেন তা প্রচার করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কেন এতটা নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি করা, উদ্বেগের মধ্যে রাখার দরকার হল তা অধিকাংশ মানুষের কাছেই স্পষ্ট নয়। এই পরীক্ষার সময় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এই ধরনের ঘটনা সাধারণ ভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডিআরডিও জানিয়ে থাকলেও এ ক্ষেত্রে কেন প্রধানমন্ত্রীকে তা ঘোষণা করতে হল।
মিশন শক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘোষণায় দিদি মোটেই খুশি নন। (উৎস: পিটিআই)
আমার মনে হয়, খুব সম্ভবত আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কারণ দেশের সামনে এখনই কোনও বিপদ দেখা দিয়েছে এমন পরিস্থিতিতে তার প্রত্যুত্তর দিতে এটা করা হয়নি, এটা ছিল শুধুমাত্র একটি পরীক্ষামূলক প্রদর্শন – তা হলে কেন রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করলেন প্রধানমন্ত্রী? প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন কিনা তা যাচাই করতে ইতিমধ্যেই একটি দল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন।
তবে এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে ন্যূনতম আয়ের নিশ্চয়তা (ন্যায়) সংক্রান্ত কংগ্রেস যে বিশাল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেই দিক থেকে দেশের মানুষের নজর ঘোরাতেই এই নাটকীয়তার আশ্রয় নিয়েছেন – নরেন্দ্র মোদী যে রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাইছেন সে ব্যাপারে কোনও সংশয় থাকলে, আমার মনেও এই একই সন্দেহ ছিল, তা দূর হয়ে যায় ঠিক তার পরে পরেই বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির সাংবাদিক বৈঠক থেকে যেখানে তিনি বলেছেন যে ২০১২ সালে উপগ্রহ ধ্বংস করার ব্যাপারে ভারত ক্ষমতা অর্জন করলেও তা পরীক্ষা করার ব্যাপারে কোনও রাজনৈতিক ইচ্ছাই ছিল না ইউপিএ সরকারের এবং ধন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কঠোর ইচ্ছাশক্তি, সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা এবং জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে ঐকান্তিকতা।
চৌকিদার ভাবমূর্তি তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে এবং রাহুল গান্ধী সফল ভাবে জাতীয়তাবাদী প্রচারগুলোকে সরিয়ে কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য, কৃষিক্ষেত্রে সমস্যা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রভৃতি নিয়ে প্রচার করায় দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বিজ্ঞানীদের নিয়ে রাজনীতি করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বিজ্ঞানীদের নিয়ে কি রাজনীতি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? (উৎস: টুইটার/@narendramodi)
যদিও এখনও পর্যন্ত ভারতীয়রা একটি প্রশ্ন করতে পারেননি এই ক’দিনে -- “আমরা কী অর্জন করলাম?” তা সে বালাকোটে বিমান-আক্রমণ হোক বা অ্যাসাট, ভারতের নাগরিক হিসাবে আমাদের এই প্রশ্ন করার অধিকার রয়েছে যে এই পরীক্ষাটি করা ও বিমানহামলা করা কি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল – নাকি এটা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর অস্মিতা পরিতৃপ্ত করার জন্য ও তাঁকে নির্বাচনে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য দরকারি ছিল?
যদি প্রযুক্তির কথা বলা যায়, যে কথা শোনা যাচ্ছে সেই অনুযায়ী এই উৎক্ষেপণটি ভারতের পরমাণু পরীক্ষা করার মতো বা মঙ্গলযান বা অগ্নি ক্ষেপনাস্ত্রের মতো স্মরণীয় নয়। ভারত ইতিমধ্যেই সেই যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং ২০২২ সালে সেই জায়গায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে। তবে এ ব্যাপারটার প্রদর্শন দরকার হয়নি কারণ এটি ততটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না বলেই শোনা যাচ্ছে – তা ছাড়া মহাকাশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত না করার ব্যাপারেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সাত বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরে হয়তো এখন সরকার মনে করেছে যে এই পরীক্ষাটি করা দরকার – তাই তারা সেটি করেছে। অরুণ জেটলি যে কথা বলেছেন, “মহাকাশ গবেষণা হল একটি চলমান প্রক্রিয়া” এবং মিশন শক্তি হল সেই অগ্রগতিরই পরের ধাপ। এ জন্য বেশি হইচই করারও দরকার নেই, রাজনৈতিক দোষারোপেরও দরকার নেই।
গবেষণা ও উন্নয়ন হল স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া যা প্রতিটি বিভাগেই হয়ে চলেছে এবং বহু দশক আগে এই মহান দৃষ্টিভঙ্গির কথা মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠানও স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেক সরকার ও প্রধানমন্ত্রী সেই সব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার গুরুত্ব ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। কিন্তু আমার মনে হয় নরেন্দ্র মোদীই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি নিজেকে গড়েছেন আগেকার সকলের অবদানকে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে। ওই “৭০ বছর ধরে কী করছেন” বিদ্রুপ আজকাল তিনি বারে বারেই করে থাকেন এবং যখন তিনি তাঁর বার্তার শেষে ডিআরডিওর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন তখন লোকের মনে একটা কথাই এল, “কিন্তু নেহরুই কো ডিআরডিও এবং ইসরো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আর আপনি তাঁদেই দোষারোপ করছেন!”
ভাবুন তো কে ডিআরডিও প্রতিষ্ঠান করেছিলেন? এবং ইসরো?
কেউ হয়তো মনে ভেবে থাকতে পারেন যে ডিআরডিও এবং ইসরোর কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে মহাকাশকে গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ও তাঁর দূরর্শিতার জন্য নেহরুকে এবং ২০১২ সালে এই সাফল্য অর্জন করার জন্য মনমোহন সিংকে কৃতিত্ব দেবেন – কিন্তু তিনি তা দেননি। সারা সন্ধ্যা জুড়ে টিভি চ্যানেলগুলো হইচই করে গেল যে কাকে এই কৃতিত্ব দেওয়া দরকার এবং বিশাল দাবি করে মোদী নিজে এটিকে নির্বাচনের একটি ইস্যু করে ফেলেছেন।
যতই হোক সাধারণ ভোটারদের কাছে নতুন করে মহাকাশে শক্তিশালী হয়ে ওঠা একা বড় ব্যাপার। যাঁরা টুইটারে ছিলেন তাঁদের অনেকে বুঝেই উঠতে পারেননি যে কী ঘটেছে। টুইটারে মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে টিপ্পনি শুরু হয়ে যায় – ১) মহাকাশ – কী ভাবে সকলে এটি নিয়ে বিদ্রুপ করতে শুরু করে দিলেন এবং কী ভাবে সেটির রাজনীতিকরণ ঘটল; ২) থিয়েটার, কংগ্রেস সভাপতি মোদীকে বিদ্রুপ করে মোদীর নাটকীয়তাকে ব্যঙ্গ করে তাঁকে বিশ্ব নাটক দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, হয়তো নরেন্দ্র মোদী নিজেও ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি যে ২৭ মার্চ ছিল বিশ্ব থিয়েটার দিবস; ৩) শূন্য, কারণ মোদী যে সব নাটক করেছেন তা ছিল অন্তঃসারশূন্য এবং সব শেষে আমরা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পেরেছি আর দিনের শেষে এটুকু বুঝতে পেরেছি যে সামান্য হলেও এতে সারবত্তা ছিল।
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে