মমতা শুধু দোষারোপের রাজনীতি তকরেন, দক্ষ প্রশাসক নন: রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যে হিংসা হয়েছে তা কি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা?
- Total Shares
বিজেপিকে জঙ্গি দল বলে আক্রমণ করায় এ বার এ বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে সব চাপাতেন সিপিএমের ঘাড়ে আর এখন সব দোষ চাপান বিজেপির ঘাড়ে। মমতাকে মিথ্যাবাদী বলেও আক্রমণ করেন রূপা।
বলরামপুর প্রসঙ্গে রূপা বলেন, "বলরামপুরে কী ঘটেছিল? এখানে কি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল? গত তিন-চার মাস ধরে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী ঘটল? এগুলোও কি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল? গত বছর ছয়েক ধরেই তো এমন হয়ে আসছে। সারা বাংলা জুড়েই একই পরিস্থিতি, তা সে মালদহ হোক, মুর্শিদাবাদ হোক বা হুগলি-হাওড়া। এটা সামাল দেওয়া তো মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। তিনি কেন রাজ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না? এখন তিনি ২০১৯ সালের ভোটে দিল্লি যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। টেলিভিশনের পর্দায় মিথ্যা বলা ছাড়া তাঁর কোনও কাজ নেই। তিনি রাজ্যকে ঠিক মতো পরিচালনা করতে পারছেন না, তাই তিনি শুধু অন্যদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে যাচ্ছেন। আগে তিনি নিজের না পারার সব দায় চাপাতেন সিপিএমের উপরে, এখন অযোগ্যতার দায় চাপাচ্ছেন বিজেপির ঘাড়ে। এক বারও তিনি দেখছেন না যে তিনি কী করতে পারেন, তাঁর কী করার সামর্থ রয়েছে। যেমন তিনি আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছেন না। ছোটখাট ব্যাপারেও তাঁর উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ নেই। এখন রাজ্যের লোক হতাশাগ্রস্ত"
দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এনকাউন্টার কাকে বলে?” ক্ষমতায় থাকলে তবেই না আপনি এনকাউন্টার করতে পারবেন।ওই শব্দটা ঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়নি। উনি কী ভাবে এনকাউন্টার করবেন? আমি ওঁর বক্তব্যকে সমর্থন করছি না, এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্যও করতে চাই না, আমি এ বিষয়টি নিয়ে আগ্রহীও নই। আমি একটা কথাই বলতে পারি, যে রাজ্যের অন্তত ২০,০০০ হাজার মানুষ পঞ্চায়েতর ভোটের সময় থেকে গত তিন-চার মাস ধরে ঘরছাড়া, তখন রাজ্যের একটি দলের শীর্ষেনত্রী হিসাবে কী করা উচিৎ।”
তিনি বলেন, "রাজ্যে দিনে দিনে বিজেপির প্রতি সমর্থন বাড়ছে, তাদের অত্যাচার করা হচ্ছে, তাদের জন্য আপনি কী করেছেন? আমরা কখনও রাজনাথ সিংয়ের কাছে যাচ্ছেন, কখনও রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছি। অন্য কেউ হলে কী করতেন? গত ৪০-৫০ বছর ধরে কিছুই হয়নি বাংলায়।"
রাজনীতির কূটকচালিতে মমতা দক্ষ হলেও প্রশাসক হিসাবে তিনি ব্যর্থ বলেই মনে করেন রূপা।
তিনি বলেন, "স্বাধীনতার এত বছর পরে রাজনীতিকদের বোঝা দরকার যে মানুষ আসলে কী চাইছেন, সে জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কোটি কোটি টাকা আসছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে। সেই অর্থ উপযুক্ত ভাবে খরচ হচ্ছে না কেন? আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ। আমি অন্য পরিবার থেকে আসছি, তাই তাঁকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীই বলব, তবে তিনি এই সম্বোধনের যোগ্য নন।"