“মৌলবাদীদের তুষ্ট করতেই ফিরহাদ হাকিমকে কলকাতার মেয়র করা হল?”
ফিরহাদ হাকিমকে আগে তারকেশ্বর মন্দিরের বোর্ডেও চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল
- Total Shares
কলকাতার মেয়র হতে চলেছেন ফিরহাদ হাকিম। প্রথমত সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একজন একক ব্যক্তির জন্য রাজ্যের আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোক কমতে কমতে এখন দু-তিন জনে এসে দাঁড়িয়েছ। সেই কারণে, কাছের ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট পদে বসানোর জন্যই ওঁর নাম তুলে ধরা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি।
শুধমাত্র একটি সম্প্রদায়কে ঘিরে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য কলকাতাবাসীর উপর এই সাম্প্রদায়িকতার বোঝা চাপিয়ে দেওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয়। কলকাতার মানুষ এখন স্তম্ভিত, বিস্মিত। তবে সময় এলে এই চাপিয়ে দেওয়া রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষ জবাব দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতার তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (ফাইল চিত্র: পিটিআই)
সোমবার আমরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য জানিয়ে এসেছি। রাজ্যপাল বলেছেন এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত উনি নেবেন।
রাজ্যপালকে আমরা বলেছি যে এই যে আইন করা হয়েছে তা সংবিধান বিরোধী, বেআইনি। রাজ্যপাল বলেছেন এ ব্যাপারে তিনি আইনজ্ঞদেরও মতামত নেবেন। তার পরে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা উনি স্থির করবেন।
রাজ্য মন্ত্রিসভা ঘুষখোরদের মন্ত্রিসভা। যিনি কলকাতার মেয়র ছিলেন (শোভন চট্টোপাধ্যায়) তিনিও ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে অভিযুক্ত, যিনি মেয়র হতে চলেছেন তিনিও একই মামলায় অভিযুক্ত। মন্ত্রিসভার দিকে তাকালে দেখা যাবে লাইন দিয়ে ঘুষখোররা বসে রয়েছেন।
ভোটের জন্য মুসলমান তোষণের অভিযোগ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে (ফাইল ছবি: পিটিআই)
ফিরহাদ হাকিমকে আগে তারকেশ্বর মন্দিরের বোর্ডেও চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তবে এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর পিছনে মৌলবাদের হাত হয়েছে এবং হিন্দুদের অপমান করা, হিন্দু দেবদেবীর মন্দিরকে অপবিত্র করার মানসিকতা এক্ষেত্রে কাজ করেছে। এটা শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসর পরিকল্পনা নয়, এটির নেপথ্য রয়েছে প্যান ইসলামিক কোনও সমাজ, সেই সমাজের দাসত্ব স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণে তারা এই ধরনের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।
কলকাতার মেয়র হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম (ইন্ডিয়া টুডে)
এক সময় টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম এবং আরও অনেকে আওয়াজ তুলেছিল যে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মুসলমান কোনও ব্যক্তিকে করা হোক। মুসলমান কাউকে পুলিশ কমিশনার করতে পারেননি, কারণ অনুগত কোনও মুসলমান পুলিশ আধিকারিককে পাননি, সেই কারণে, ইমামদের যে চাহিদা, সেটা মেটানো হল ফিরহাদ হাকিমকে মেয়র করে। তিনি যেন এই বার্তাই দিলেন যে, “কমিশনার তো দিতে পারিনি, কিন্তু মেয়র তো দিলাম।”