সোশ্যাল মিডিয়ায় জাল ভিডিয়োর লড়াই শিখুন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি ও কংগ্রেসের কাছে
নেতৃত্ব সাইবার যুদ্ধের ময়দান থেকে শতহস্ত দূরে, লড়াই চলছে সাইবার যোদ্ধা ও রাজীব কা সিপাহির মধ্যে
- Total Shares
মধ্যপ্রদেশে রাজনৈতিক সাইবার যুদ্ধ শুরু হল বলে। গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়ে ওঠে। ভিডিয়োতে দেখান হয়েছে শিবরাজ সিং চৌহান শত্রু প্রহারে ব্যস্ত। আর এই শত্রুদের অধিকাংশই কংগ্রেসের রাজ্য নেতা।
এর কয়েকমুহূর্ত পরেই এর পাল্টা ভিডিও ক্লিপটিও ভাইরাল হয়ে ওঠে। এই ভিডিয়োয় কমল নাথকে দেখা যাচ্ছে ব্যাট হাতে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এক ওভারে ছ'ছটি ছক্কা হাঁকাচ্ছেন।
প্রতি সপ্তাহে কংগ্রেস ও বিজেপির পক্ষ থেকে এই ধরণের ভিডিও প্রকাশ করা হচ্ছে যেখানে দুই দলের নেতারাই একে অপরকে আক্রমণ করে চলেছেন।
এই ভিডিয়োগুলো মূলত জনপ্রিয় ছায়াছবির, যেখানে অভিনেতা অভিনেত্রী মুখের বদলে মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক নেতাদের মুখ বসিয়ে দেওয়া করা হচ্ছে। সিনেমার সংলাপকেও বদলে ফেলে জনগণ সেই নেতা নেত্রীদের মুখে যা শুনতে চান তাই বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশের সাধারণ নির্বাচনের আর মাত্র পাঁচ মাস বাকি। নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই এই ধরণের ভিডিওর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিজেপি ও কংগ্রেস—দুটি দলের পক্ষ থেকেই এই সাইবার যুদ্ধের জন্য আলাদা দল তৈরি করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লড়ই চলছে কংগ্রেস ও বিজেপির
গত সপ্তাহে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জব্বলপুরে ছিলেন। সেখানে তিনি তাঁর দলীয় সহকর্মীদের সাইবার যোদ্ধা হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন যাতে তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যের বিজেপি সরকারের কাজের খতিয়ান দিতে পারেন। সব মিলিয়ে ৬৫,০০০ মতো সাইবার যোদ্ধা বিজেপির হয়ে কাজ করবেন। তার মধ্যে ৫,০০০ মতো মধ্যপ্রদেশ থেকে।
কংগ্রেস তাদের তথ্য প্রযুক্তি সেলে 'রাজীব কা সিপাহী' বলে একটি দল গঠন করেছে। এই নামকরণের পিছনে কংগ্রেসের দাবি, রাজীব গান্ধীই নাকি এ দেশে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে এসেছিলেন।
বিজেপির আইটি সেল সোশ্যাল মিডিয়াতে যা প্রচার করবে তার বিরোধিতা করে কংগ্রেসের সিপাহীদের মূল লক্ষ। এই দুটি গোষ্ঠীর প্রাথমিক কাজ ছিল, অনাদায়ী ঋণ ও এর আগে ইউপিএ সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরা। কিন্তু এ সব ভুলে এখন দুটি দলই একে অপরের আক্রমণে নেমে পড়েছে।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান
বিজেপির ভিডিয়ো যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কংগ্রেস প্রথমে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিল। কিন্তু এখন তারাও পাল্টা দিচ্ছে। যদিও কংগ্রেস নেতারা মুখে তা স্বীকার করেন না।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ যেমন বলেছেন বলেছেন, "আমি এই ভিডিয়োগুলো খুলেও দেখি না। প্রথমে দিকে কিছু কিছু দেখেছিলাম এবং মনে হয়েছিল ভিডিয়োগুলো বেশ হাস্যকর।"
একে অপরকে নিয়ে মজা করে এই ভিডিওগুলোর মাধ্যমে সকলেই নিজেদের সাহস প্রকাশ করতে চান।
(সৌজন্যে: মেল টুডে)
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে