১০টি কারণ: কেন ২০১৯ নির্বাচন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত থেকে শুরু করে বিরোধীদের দুর্বলতা, পুনরায় ক্ষমতা দখলে সাহায্য করবে মোদীকে
- Total Shares
নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। আর, সেই সঙ্গে, যুদ্ধটাও শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনে মানে একটি ম্যারাথন দৌড়। আবার, নির্বাচন মানে একটি স্টিপেলছেজ, যেখানে ট্র্যাকের মাঝে হার্ডেলস দেখতে পেলেই লাফ মারতে হয়। তাই, এই দৌড় শুরুর আগে এই দৌড় নিয়ে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে যাওয়া মানে বিপদ ডেকে আনা।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি [ছবি: রয়টার্স]
তা সত্ত্বেও, আমার মতে কোন দশটি কারণের জন্য নরেন্দ্র মোদী এই নির্বাচন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তা একবার দেখে নেওয়া যাক।
১) আধুনিক যুগের নির্বাচন যদি 'অর্থ', 'অস্ত্র' ও 'সংবাদমাধ্যম' নির্ভর হয়ে থাকে, তাহলে মোদী কিন্তু বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে: ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে এর আগে কোনও দিনও সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ এতটা একপেশে হতে দেখা যায়নি। শাসক দলের কাছে প্রকান্ড একটি সমর তহবিল রয়েছে এবং ভোটারদের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে পৌঁছানোর জন্য তাদের কাছে যে অস্ত্র মজুত রয়েছে তা নিয়ে তুলনা করতে যাওয়াই বৃথা।
বিজেপিকে দেখে যেখানে একটি চকচকে ফেরারি গাড়ি বলে মনে হচ্ছে, সেখানে কংগ্রেসের অবস্থা অনেকটা সেকেন্ড-হ্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের (রাজনৈতিক মহলে কংগ্রেসকে মজা করে 'ধনী নেতাদের গরিব দল' বলে সম্বোধন করা হয়) মতো। তাই তো বিজেপি তাদের প্রতিদ্বন্ধির থেকে অনেক বেশি খরচ করে থাকে। বিজেপির সম্পদের সংখ্যাও অনেক বেশি যা প্রচারের সময়ে ব্যবহার করতে দেখা যাবে।
২) এই মুহূর্তে দেশের এক নম্বর নেতার নাম নরেন্দ্র মোদী যিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধির থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন: প্রচার চলাকালীন মোদীকে, একজন লড়াকু নেতার ন্যায়, অনেক বেশি তেজস্বী বলে মনে হয়েছে। তাঁর বক্তৃতাগুলোও অনবদ্য। "মোদী আছে মানে সম্ভাবনাও রয়েছে" এই স্লোগানটা তো বিজেপির পাশাপাশি সরকারেরও ট্যাগলাইন হয়ে গিয়েছে। মোদীর প্রচারে গেলেই বুঝতে পারবেন হাইপটা কোথায় গিয়ে পৌঁছিয়েছে। এক দল চিয়ারলিডার তাঁর বক্তৃতা চলাকালীন সর্বদাই হাততালি দিয়ে তাঁকে উৎসাহিত করে চলেন।
অনেকটা যেন সত্তরের দশকের অমিতাভ বচ্চনের সিনেমাগুলোর মতো। মাঝে মধ্যে কয়েকটি সিনেমার স্ক্রিপ্ট ভালো হয়না ঠিকই, কিন্তু তাই বলে সেই সিনেমা হিট করতে কোথাও কোনও বাধা নেই। মোদীর উপস্থিতি জীবনের চাইতেও বড়। আর, তাই মোদীর উপস্থিতি বিজেপিকে অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করে। ইতিমধ্যেই, তিনি এতগুলো প্রাক-নির্বাচনী জনসভা করে ফেলেছেন যা তাঁর মুখ্য প্রতিদ্বন্ধিদের করা জনসভাগুলোর যোগফলের চাইতেও বেশি।
মোদীর জনসভা দেখলে সত্তর দশকের বচ্চনের সিনেমার কথা মনে পড়ে যায় [ছবি: পিটিআই]
মাঝে মাঝে তিনি বাস্তবসম্মত নয় এমন কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেন। তা নিয়ে লোকে অসন্তোষও প্রকাশ করে। কিন্তু, তাই বলে, ভোটাররা কিন্তু তাঁর উপর ক্রুদ্ধ নয়। মোদী বেলুন কিন্তু এখনও ফুটো হয়ে যায়নি। তাঁর মধ্যে একজন কর্মঠ পুরুষের ভাবমূর্তি লক্ষ করা যায় যিনি নির্ভয়ে ঝুঁকি নিতে পারেন। তাঁর চারিত্রিক গঠন আর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার প্রমান তো বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক থেকেই পাওয়া যায়।
৩) অমিত শাহের নির্বাচনী মস্তিষ্ক: ২০১৪ সালে অমিত শাহ উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে ছিলেন এবং, বিজেপির পক্ষে, সেই রাজ্যের ফলাফল অভাবনীয় হয়েছিল। ২০১৯ সালের তিনি বিজেপি সভাপতি হিসেবে গোটা ভারতের দায়িত্বে রয়েছেন। 'একই ফর্মুলা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য' মডেলটি ভারতীয় রাজনীতিতে নেই - ২০১৫ সালে শাহের নেতৃত্বে বিহার ও দিল্লিতে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু মানুষ হিসেবে শাহ যথেষ্ট সম্পদশালী, একই সঙ্গে বিচক্ষণ। দেখলেন না, কী ভাবে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার পরও শেষ পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গেই জোট বাধলো শিবসেনা কিংবা কী ভাবে শিবলাল যাদবের দল উত্তরপ্রদেশে বিরোধী ভোটে ভাগ বসাবার জন্য জোট ত্যাগ করে বেরিয়ে এল।
প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার পরেও বিজেপির জোট হল শিবসেনা [ছবি: পিটিআই]
এর উপর আবার সঙ্ঘ পরিবারের ক্যাডার এবং অভিজ্ঞ বুথ কর্মীরা রয়েছে বিজেপিতে। সব মিলিয়ে, ভোটারদের কাছে পৌছিয়ে যাওয়ার মতো এমন পরিকাঠামো আর কোনও দলের কাছেই নেই।
৪) কংগ্রেসের অবস্থা: হিন্দি বলয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে জয়লাভের পর তিন মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস এখনও নিজেদের প্রচারের গতিবেগ বৃদ্ধি করতে পারেনি। মোদী সরকার ইতিমধ্যেই নিজেদের দুর্বলতাগুলো জয় করতে কৃষক, উচ্চ বর্ণের লোক ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। কংগ্রেস সেখানে দুমকি চালেই চলছে। বহুদিন ধরে চলে আসা গোষ্ঠীদ্বন্ধ এবং একের পর এক ভুলভাল সিদ্ধান্ত কংগ্রেসকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে বাধা দিচ্ছে।
বিধানসভা নির্বাচনগুলোতে তারা জয়লাভ করেছে বলে কংগ্রেস হয়ত মনে করছে যে গোটা দেশ মোদী-বিরোধী হয়ে গিয়েছে। আর, তাই হয়ত আত্মতুষ্টিতে ভুগছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রে এখন কংগ্রেসের পুনরুত্থানের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সেই রাজ্যে কংগ্রেস নেতৃত্ব এখনও অবধি এক হয়ে কাজ শুরু করতে পারেনি। সত্যিটা হচ্ছে, কংগ্রেস আইসিইউ থেকে বের হয়েছে ঠিকই কিন্তু দলটির এখনও চিকিৎসার প্রয়োজন।
৫) রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব: রাহুল গান্ধী এখনও সকলকে অবাক করে চলেছেন। ২০১৭ সালের গুজরাট দখলের লড়াই এবং ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনগুলোতে জয়লাভের পর একজন সংগ্রামশীল প্রচারক হিসেবে তাঁর সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু তিনি এখনও তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা দেখাতে পারেননি। তিনি এখনও দক্ষ রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি এবং বিরোধীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারেননি।
রাহুল গান্ধী এখনও সকলকে অবাক করে চলেছেন [ছবি: ইন্ডিয়া টুডে]
তিনি কেন ব্যক্তিগতভাবে মমতা বা মায়াবতীর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করলেন না তা কিন্তু সত্যি সত্যিই একটা বড় রহস্য। কিংবা, তিনি কেন এখনও তরুণদের নিয়ে একটি টিম রাহুল ব্র্যান্ড তৈরি করলেন না তাও বোঝা যাচ্ছে না। তাঁর রাফেল সংক্রান্ত প্রচার হয়ত মোদীর 'চৌকিদার' ভাবমূর্তিকে আঘাত করবে। কিন্তু, এই প্রচার করতে গিয়ে তিনি তো কৃষক সমস্যা কিংবা কর্মসংস্থান সমস্যার থেকে সরে আসছেন যে ইস্যুগুলিতে মোদী সরকারের অনেক বেশি বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
৬) মহাজোট: মোদী-বিরোধী বক্তব্য ছাড়া বিরোধীরা এখনও পর্যন্ত কোনও ঐক্য মঞ্চ তৈরি করতে পারেনি কিংবা একজন নেতার খোঁজ করে উঠতে পারেনি যিনি মোদীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন। এক হতে না পারায়, এখন বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যা উত্তরপ্রদেশের মতো গুরুত্বপূর্ন রাজ্যে বেশ প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দিল্লির সাতটি আসনের ক্ষেত্রেও আপ এবং কংগ্রেস এখনও অবধি কোনও আসন সমঝোতায় আসতে পারেনি। কংগ্রেসকে এখন একটা কথা বুঝতে হবে। এই নির্বাচনে তাদের লক্ষ কি শুধুমাত্রই নিজেদের পুনরুত্থান? না কি, এই নির্বাচনে তাদের লক্ষ বিজেপির আসন সংখ্যা হ্রাস করা? মায়াবতীর মতো আঞ্চলিক নেতা নেত্রীদেরও ফলাফল ঘোষণার পর জোটের দিকে না তাকিয়ে এখনই ঠিক করে ফেলতে হবে যে তাঁরা কোন পক্ষে থাকবেন।
৭) শেষ নির্বাচনের পারফর্মেন্স: ২০১৪ সালে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে নব্বই শতাংশ আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। এই মুহূর্তে সেই ফলাফল পুনারাবৃত্তি করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিজেপি তাও প্রতিদ্বন্ধিদের থেকে ৭৫-১০০ আসনে এগিয়ে থাকতে পারে। মনে রাখবেন, ২০১৪ সালে বিজেপি ৪২টি আসনে তিন লক্ষের বেশি ভোটে, ৭৫টি আসনে দু'লক্ষের বেশি ভোটে এবং ৩৮টি আসনে দেড় লক্ষের বেশি ভোটে জয়লাভ করেছিল। বিজেপির কাছে বিশাল সংখ্যক ভোট ছিনিয়ে নেওয়া সহজ হবে না। ২০০টির বেশি আসন পেয়ে গেলেই এনডিএ ৩ তৈরির প্রস্তুতি শুরু করা যেতে পারে।
৮) উত্তরপ্রদেশে এখন হারার সম্ভাবনা নেই বিজেপির: বিএসপি-এসপি জোট নিয়ে বেশ শোরগোল পড়েছিল উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে। একই সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও সক্রিয় রাজনীতিতে মহা ধুমধামের সঙ্গে স্বাগত জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই পিসি-ভাইপো জোট কতটা বাস্তবসম্মত তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন (যাদব ভোটাররা কি সহজে বিএসপি প্রার্থীদের ভোট দেবেন?) রয়েছে। অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কার আগমন কিন্তু বক্স-অফিসে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।
প্রিয়াঙ্কার আগমন এখনও অবধি বক্স অফিসে প্রভাব ফেলতে পারেনি [ছবি: রয়টার্স]
উল্টোদিকে, বিজেপি কিন্তু উত্তরপ্রদেশে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক বিনিয়োগ করে রেখেছে। ২০১৪ সালে বিজেপি ৭৩টি আসন পেয়েছিল উত্তরপ্রদেশ থেকে। এবার যদি বিজেপি তার অর্ধেক আসনও পেয়ে যায় তাহলে মোদী সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসবে।
একটা কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়, দিল্লি দখলের লড়াইয়ে লখনৌর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। আর, এই নির্বাচনে মাত্র একটি শিবিরকেই এখনও অবধি প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।
৯) পুলওয়ামা, পাকিস্তান, বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক: জয় শ্রী র্যাম থেকে ভারতমাতার জয়। বাবরের সন্তান থেকে জিহাদি। গেরুয়া বসনধারী সাধুসন্তদের থেকে ইউনিফর্ম পরিহিত সামরিক বাহিনীর জওয়ান। পুলওয়ামা জঙ্গিহামলা ও বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের পর মোদী সরকার এখন জাতীয় নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এই ধরনের আক্রমণাত্মক বক্তব্য হয়ত গ্রামীণ এলাকাগুলোতে কিংবা দক্ষিণ ভারতের অ-হিন্দুত্ব রাজ্যগুলোতে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু শহরাঞ্চলে, বিশেষ করে হিন্দি বলয়ে, এই বক্তব্যগুলোর প্রভাব অসীম।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানের সঙ্গে কড়া ভাষায় কথা বলছেন [ছবি: রয়টার্স]
১০) নতুন হিন্দুত্ব ভোটার: নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এবছর নতুন ভোটারের সংখ্যা ৮.৪ কোটি। তার মানে ভোটারসংখ্যার ১০ শতাংশের সামান্য কম। এই ভোটারদের স্মৃতিতে বাবরি মসজিদ বা ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার কোনও ক্ষত নেই। এই নতুন প্রজন্মের ভোটাররা মোদীর 'নতুন' ভারতের স্বপ্নে মশগুল। যে ভাবে ভাবে কাশ্মীর ইস্যুতে কঠোর হয়েছে কেন্দ্র তাও এই নরুন প্রজন্মের ভোটারকে আকর্ষণ করেছে।
এই অবস্থায়, বিরোধীরা যদি "কৃষক নৌজোয়ান" অর্থনীতি নিয়ে বিতর্ক শুরু না করে কিন্তু ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতা দখলের পথটা বেশ মসৃন হয়ে উঠবে।
পুনশ্চ: আমার একবার ২০০৪ সালের নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দেওয়া উচিত। এখনকার মতই সেই সময়তেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অটল বিহারি বাজপেয়ী ছাড়া আরও কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা মোদীর থেকেও বেশি ছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও, তিনি হেরেছিলেন। দুই দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র তাঁর শরিকদের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় এবং উত্তরপ্রদেশে ভালো ফল করতে ব্যর্থ হওয়ায়।
হাওয়া কিন্তু দেশের রাজধানীতে তৈরি হয়না কিংবা ষ্টুডিও রুমের বিশ্লেষণ অনেক সময়তেই বাস্তবে প্রতিফলিত হয় না। হাজার হোক, ভারতীয় ভোটারদের আচরণ অনেকটাই লন্ডনের আবহাওয়ার মতো - সর্বদাই পরিবরতনশীল।
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে