ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন কোন পথে?
তিস্তা সংক্রান্ত চুক্তিও হবে খুবই শীঘ্রই, কেন মনে করছে বাংলাদেশ
- Total Shares
অর্থনৈতিক, সামাজিক বা একদেশের নাগরিকের সঙ্গে অন্য দেশের নাগরিকের সম্পর্ক – সব দিক বিচার করে বলা যায় গত দশ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অসাধারণ উন্নতি হয়েছে। আমার দুঃখ একটাই, এটা আরও অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল। কেননা বাংলাদেশ ও ভারত হল স্বাভাবিক বন্ধু।
নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা: দুই দেশের সম্পর্কের ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে
আমাদের দুই দেশের ইতিহাস অভিন্ন, সংস্কৃতি একই, ভাষাও একই। আবার আমাদের সমস্যার ধরনও একই। তাই দুই দেশ যদি একসঙ্গে না কাজ করে তা হলে সমস্যার সমাধানও সম্ভব হবে না। দুই দেশেই পানির ও বন্যার সমস্যা রয়েছে, জঙ্গি সমস্যাও রয়েছে। এই সব সমস্যা সমাধানে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।
আজকে দুই দেশের মধ্যে যে সুসম্পর্ক রয়েছে তা একেবারে স্বাভাবিক, এটাই হওয়া উচিত ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এত সময় লাগল। এ জন্য শেখ হাসিনাকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। আগে যে ভারত-বিরোধী মনোভাব ছিল, এখন সেটিও জনমানস থেকে দূর হয়েছে। কারণ দেশের মানুষ নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছেন যে সুসম্পর্ক থাকলে কত সুবিধা পাওয়া যায়।
এখন বাংলাদেশে বিদ্যুৎবিভ্রাট হয় না। একদিকে আমরা নিজেরাই অনেকটা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছি। ২০০৯ সালে যখন সঙ্কট চরমে তখন ভারতের কাছ থেকে আমরা বিদ্যুৎ নিয়েছি। দেশের মানুষ নির্বোধ নন। যখন তাঁরা দেখেন যে একটা ভালো জিনিস হচ্ছে, তা থেকে তাঁরা লাভ করতে পারছেন, তা হলে কেন এই ধরনের বিরূপ অনুভূতি তাঁরা মনে রাখবেন? তবে এ কথা ঠিক যে এখনও এমন কিছু লোক আছেন যাঁরা গভীর ভাবে বিশ্বাস করেন যে ভারতের সম্পর্কে কোনও লাভ নেই।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সময়েই নদী নিয়ে সার্বিক ভাবনা শুরু দুই দেশের
তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়েও আমরা আশাবাদী। আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে ভূসীমান্ত রয়েছে সেই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান করতে প্রচুর সময় লেগেছিল, তবে যখন এ নিয়ে দুই দেশের চূড়ান্ত চুক্তি হল তখন কেউ এর বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করতে পারেননি। সব পক্ষের একশো শতাংশ অনুমোদন নিয়ে জমির সীমান্ত চূড়ান্ত ভাবে নির্ধারিত হল। কারণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলকে নিয়ে একশো শতাংশ সহমতে পৌঁছালেন। আমার বিশ্বাস তিনি এই সমস্যারও সমাধান করে ফেলবেন।
আমি নদী বিশেষজ্ঞ নই তবে এ কথা বলতে পারি যে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং ২০১১ সালে তখন আমরা একটি চুক্তি করেছি যেখানে বলা হয়েছে আমরা একটা একটা করে নদীর কথা বলব না, পুরো অববাহিকার সব নদী নিয়ে কথা বলব। অর্থাৎ সার্বিক ভাবে একটা অবস্থান গ্রহণ করব।