শান্তিনিকেতনে মোদীর সঙ্গে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা সারবেন হাসিনা

হাসিনার সঙ্গে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-লিট পাবেন শর্মিলা ঠাকুরও

 |  2-minute read |   20-05-2018
  • Total Shares

২৫ মে দুদিনের সফরে এ রাজ্যে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সরকারের অর্থানুকূল্যে নির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবনে’র উদ্বোধন করবেন তিনি। পরদিন বর্ধমান জেলার আসানসোলে কবি কাজি নজরুল ইসলামের নামাঙ্কিত আর একটি বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে সাম্মানিক ডি-লিটে ভূষিত করবে।

আলোচনার সূচিতে না থাকলেও এ সফরে দু‘দেশের দীর্ঘদিনের অমিমাংসীত তিস্তা চুক্তি ইস্যু আলোচনায় তুলতে পারেন সফরকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমন আভাস দিয়েছে তাঁর দপ্তর। ঠিক এক বছর এক মাস আগে সরকারি সফরে ভারতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কূটনৈতিক প্রটোকল অনুযায়ী, এ বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় ‘রিটার্ন ভিজিটে’ যাওয়ার কথা। তবে তার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার ভারতে আসছেন। ২৫ মে সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই হেলিকপ্টারযোগে শেখ হাসিনার শান্তিনিকেতনে যাওয়ার কথা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পদাধিকারবলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তাঁর উপস্থিতিতেই ২৫ মে দুপুরে সেখানে ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। বিশ্বভারতীর দেওয়া দুই বিঘা জমির উপর বাংলাদেশ সরকার ২৫ কোটি বাংলাদেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করেছে এই ভবন। যেখানে থাকছে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত নানা তথ্য, গ্রন্থাগার, মিলনায়তন, চিত্রপ্রদর্শনীর গ্যালারি প্রভৃতি।

body_052018040224.jpgশান্তিনিকেতনে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকেই ভারত বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে

body1_052018040342.jpgরাজভবনে হাসিনার সঙ্গে বৈঠক মমতার

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গতমাসে দেখে গেছেন কতদূর এগিয়েছে ভবন সাজানোর কাজ।

শান্তিনিকেতনে এই অনুষ্ঠানের ফাঁকেই দুই প্রধানমন্ত্রীর একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও শান্তিনিকেতনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথা। তবে শান্তিনিকেতনে যদি বৈঠক না হয় তবে ওই রাতেই কলকাতার রাজভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শেখ হাসিনার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় ফিরে শেখ হাসিনার রাজভবনেই রাত্রিযাপন করার কথা। সেখানেই তাঁর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীও আমন্ত্রিত। ফলে সেখানেই তাঁদের দু'জনের দেখা হচ্ছে, এটি প্রায় নিশ্চিত। শুধু তাই-ই নয়, পরদিন ২৬ মে আসানসোলে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই মঞ্চে থাকবেন। পশ্চিমবঙ্গের এই কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়টি কবি নজরুল ইসলামের জন্মস্থান চুরুলিয়ার কাছেই।

বাংলাদেশের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের নিয়মিত অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ হয়ে থাকে, এমন কী শেখ হাসিনা নিজেও ভারতের এই নবীন বিশ্ববিদ্যালয়টির কাজকর্ম সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর নেন। এ কারণেই ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন তাকে ডি-লিটে সম্মানিত করার প্রস্তাব দেয়। এই বিশেষ সমাবর্তনে শেখ হাসিনার সঙ্গে একইসঙ্গে ডি-লিটে ভূষিত করা হবে বলিউডের নামী অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর এবং ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এম এম ইউসুফকেও। তবে এই অনুষ্ঠানে শর্মিলা ঠাকুর  উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হবে এই বিশেষ সমাবর্তন। দুদিনের এই ব্যস্ত সফরসূচির ফাঁকে তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গ উঠবে না, সেটা হতেই পারে না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর সঙ্গে সম্ভাব্য একান্ত আলোচনার পরও শেখ হাসিনা তিস্তায় কোনো অর্জন পাবেন কী না তা পরিষ্কার নয়। অনুষ্ঠানের শেষে ২৬ মে বিকালেই কলকাতা হয়ে ঢাকায় ফিরে আসবেন শেখ হাসিনা।

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

Comment