ইভিএম গোলযোগের জন্য তাপপ্রবাহকে দায়ী না করে, নির্বাচন কমিশন নিজের কাজটা করুক

মহেশতলায় ইভিএম বিভ্রাট ছিল নামমাত্র , সেখানে জয়ের পথে তৃণমূল

 |  2-minute read |   31-05-2018
  • Total Shares

২৮ মে চারটি লোকসভা ও ১০টি বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ইভিএম বিভ্রাট প্রসঙ্গ আবার খবরের শিরোনামে উঠে এল।

ইভিএম বিভ্রাট বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষ করে যখন বছরখানেকের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা।

নির্বাচন কমিশন হয়ত ঠিক বলেছে যে ইভিএম বিভ্রাট বিষয়টিকে রাজনৈতিক দলগুলো ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে দেখিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করে তুলতে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়টিকে কোনও ভাবেই উপেক্ষা করতে পারে না।

evm690_052918025149_053118122412.jpgভোটের দিন বেলা যত গড়িয়েছে ইভিএম বিভ্রাটও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে

উত্তরপ্রদেশের কাইরানা থেকে রিপোর্ট এসেছে যে ভোটের দিন বেলা যত গড়িয়েছে ইভিএম বিভ্রাটও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনও এই রিপোর্ট অস্বীকার করতে পারবে না। এই কেন্দ্রে বিরোধীদের জোটকে পরাস্ত করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি।

ইতিমধ্যেই, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে সমস্যা ভোটার ভেরিফায়েবেল পেপার অডিট ট্রেলগুলোতে (সংক্ষেপে ভিভিপিএটি) ছিল, ইভিএমগুলোতে নয়। কমিশনের দাবি, মাত্রাতিরিক্ত গরম ও ধুলো-বালির জন্য ভিভিপিএটিগুলো বিকল হয়ে পড়েছিল। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের ভাগ্য ভালো যে তাঁদের এই ধরণের ব্যাখ্যা শুনে যাঁরা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি তাঁরা মাথা ঠান্ডা রেখেছেন।

কাইরানাতে এই সমস্যার জন্য প্রায় দু'ঘণ্টা ভোটদান পর্ব বন্ধ ছিল। এর ফলে সেই ৫৪ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। অন্যদিকে, এই সমস্যার জন্য নূরপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও ৬১ শতাংশের বেশি ভোটদান সম্ভব হয়নি।

রাষ্ট্রীয় লোক দলের প্রার্থী তাবাসুম হাসান অভিযোগ করেছেন যে এই সমস্যা মূলত মুসলমান অধ্যুষিত এলাকার বুথগুলোতে হয়েছে। তাই তিনি পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের ২৩৮টি বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি করেছেন। হাসানের অভিযোগ, এই ষড়যন্ত্রটি পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছে যাতে মুসলমান ভোটাররা ভোট দিতে না পারে।

অনেকে আবার এই পরিস্থিতিতে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াতে ব্যালট পেপার ফেরানোর দাবি করেছেন।

মহারাষ্ট্রের দুই লোকসভা আসন ভান্ডারা-গন্ডিয়া ও পালগড়ে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এখানেও মাত্রাতিরিক্ত গরমকে দোষারোপ করা হয়েছে। বরঞ্চ, পশিমবঙ্গের মহেশতলা কেন্দ্রে এই সমস্যা অনেকটা কম ছিল। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, শিবসেনা ও কংগ্রেস নেতৃত্ব এই পরিস্থিতিতে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

অনেকের মতই ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি যে ভিভিপিএটি যন্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। তাই বলে সাধারণ মানুষকে ভোট প্রয়োগ করতে না দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করে খামোকা গরম ও ধুলো বালির বাহানা দেওয়াটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আশা রাখছি যে এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন জেগে উঠবে এবং সংসদীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর মানুষের আস্থা মজবুত রাখতে সচেষ্ট হবে যাতে দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়।

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000
Comment