সিপিএম কর্মী দম্পতির মৃত্যু যদি দুর্ঘটনার জন্যই হয় তাহলে এত ভয় পাওয়ার কী আছে
বিরোধীদের খুন করে তাঁদের আত্মীয়-পরিজনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে পুলিশে মামলা না হয়
- Total Shares
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলছে। বিরোধীদের মনোয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। বিরোধীদের খুন করা হচ্ছে এবং নিহতদের আত্মীয়-পরিজনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে তাঁরা কোনওরকম পুলিশি মামলা না করতে পারে।
নামখানার দম্পতিকে যে ভাবে খুন করা হলো তা এক কথায় বর্বরোচিত। বাড়িতে আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো দু'জনকে। তার পর কোনও রকম তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই এক মন্ত্রী ঘোষণা করে দিলেন যে শর্ট সার্কিটের ফলে আগুল লেগে মৃত্যু হয়েছে এই দম্পতির।
Comrade #DebuDas and #UshaDas were torched to death by @AITCofficial goons. #CPIM #South24Pargana will organised #KakdwipCholo rally on 20th May demanding immediate arrest and punishment of all the criminal of this heinous act. pic.twitter.com/i0JoV1Z2wr
— CPI(M) WEST BENGAL (@CPIM_WESTBENGAL) May 18, 2018
নাম কে ওয়াস্তে একটা তদন্ত শুরু হল বটে। কিন্তু সে তো তদন্তের নামে প্রহসন। না আছে কোনও ফরেন্সিক রিপোর্ট, না আছে কোনও পোস্টমর্টেম। এ ক্ষেত্রে ক্যামেরার সামনে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। কিন্তু তা না করে চুপিসারে মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সব দেখে শুনে একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে। এই মৃত্যু যদি দুর্ঘটনার জন্যেই হয় তাহলে এত ভয় পাওয়ার কী আছে?
শাসক দলের নোংরামি এখানেই শেষ নয়। এর পর এই দম্পতির ছেলের উপর রীতিমতো মানসিক অত্যাচার শুরু হয়। তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রেখে তাঁর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয় যাতে তিনি কোনও অভিযোগ না জানান বা আদালতের দ্বারস্থ না হন।
Our 7 PCMs including 2 CCMs along with 111(31 women) comrades arrested for demanding bodies of Com.Debu and Usha Das burnt alive in Kakdwip after 4 days' battle for a FIR and the postmortem. Join the Sunday March to Kakdwip. The battle continues. pic.twitter.com/DWhSJ6Y4ln
— Surjya Kanta Mishra (@mishra_surjya) May 17, 2018
গতকাল সকাল থেকেই জানানো হচ্ছিল যে দু-ঘণ্টার মধ্যে ওই দম্পতির ছেলের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে। রাত ১০টা অবধি অপেক্ষা করেও মৃতদেহ দুটি পাওয়া গেল না। আমাদের দুই কমরেডকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য আমরাও প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু গতকাল সেই সুযোগ থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হল।
Rajkumar Roy, Presiding officer deputed in Raiganj, West Bengal for Panchayat election. He was kidnapped on duty from polling booth and found murdered near railway track later. #SaveBengal pic.twitter.com/fYqkzpnQpu
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) May 16, 2018
একই ঘটনা রায়গঞ্জেও ঘটেছে। সেখানে এক প্রিসাইডিং অফিসারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া হল যে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তিনি। তারপর তার পরিবারের লোকজনকে মৃত্যদেহ হস্তান্তরের নামে সারাদিন চরকিপাক খাওয়ানো হল। আসলে আইন, আদালত কোনও কিছুই মানছে না শাসকদল।
এই দুটি ঘটনা জনসমক্ষে এসেছে বলে। এরকম আরও হাজারও ঘটনা ঘটে গেছে যা এখনও জনসমক্ষে আসেনি।