পাহাড়ে প্রভাব বাড়িয়ে বিজেপিকে হঠাতে চান মমতা
জঙ্গলমহলে বিজেপির যখন সমর্থন বাড়ছে, তখন দার্জিলিং কেন্দ্রে নজর মমতার
- Total Shares
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্তত ছ’জন আদিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছে বিজেপি। ভোটে জঙ্গলমহলে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড়ে গোর্খাদের সমর্থন ছাড়া জয় অসম্ভব। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শিরদাঁড়া কার্যত ভেঙে গিয়েছে। সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করার অবস্থাতেই নেই পাহাড়। ইতিমধ্যে পাহাড়েও ঘাসফুল ফোটা শুরু হয়েছে। এ বার দার্জিলিং আসনটিতে জয় চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরপর দুটি লোকসভা ভোটে দার্জিলিং আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আসনটি এখন বিজেপিরই দখলে। তবে পাহাড়ে অশান্তির সময় বিজেপি সাংসদকে এখানে একেবারেই দেখা যায়নি।
পাহাড়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে ভর্ৎসনা শোনার পরে, অবশেষে ঘুম ভেঙেছ রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে গাজলডোবায় মেগা টুরিজম হাব ‘ভোরের আলো’ পরিদর্শন করেছেন গৌতম দেব। দার্জিলিং ভেঙে কালিম্পংকে আলাদা জেলা ঘোষণা করার পরে এখানে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সাম্প্রতিকতম সফরে।
এ বার দার্জিলিং আসনটিতে জয় চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পাহাড়ে, বিশেষত কালিম্পংয়ে আরও বেশি করে পর্যটক চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ে পর্যটকই লক্ষ্মী। তাই এখানকার মানুষজনকে অশান্তি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে জোর দিয়েছেন পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা সমাধানের উপরেও – পানীয় জল। সাবেক দার্জিলিং জেলায় জল বড় সমস্যা, তাই এখানে ঘরে ঘরে ও হোটেলে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে পারলে পাহাড়বাসীর মন অনেকটাই জয় করা যাবে। তিনি জোর দিয়েছেন নিকাশির উপরেও।
জিটিএ-তে নির্বাচনের কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই। জিটিএ-র প্রশাসক এখন মোটামুটি ভাবে শাসকদলের কথাতেই চলছেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তাই দার্জিলিংয়ের বড় অংশ, কালিম্পং এবং মিরিকে বিপুল ভোটে এগিয়ে গেলে সমতলের ভোট টেনে আগামী নির্বাচনে দার্জিলিং কেন্দ্র দখল করা কঠিন হবে না তৃণমূলের পক্ষে।
রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে বিজেপির সমর্থন বাড়ছে, এখানে মূলত আদিবাসীদেরই বাস। রাজ্যের উত্তরদিকটিতেও আদিবাসীদের আধিপত্য। এখানেও বিজেপির প্রভাব রয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন পশ্চিমাঞ্চলে সমর্থন ফেরানোর পাশাপাশি এই অংশে নতুন করে ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করা। তাই পাহাড়ের জন্য দরাজ হাতে বরাদ্দে কথা তিনি ঘোষণা করেছেন।