কালিম্পংয়ে গিয়ে পাহাড়ে পর্যটনের উপরে জোর মুখ্যমন্ত্রীর, বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা
এখনও নির্বাচনের কোনও পরিস্থিতি নেই, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
- Total Shares
পর্যটক না এলে যে আদপে পাহাড়ের মানুষেরই ক্ষতি, নতুন জেলা কালিম্পংয়ে গিয়ে সে কথাই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ মে তিনি জোলার পর্যটন কী ভাবে আরও আকর্ষণীয় করা যায় তা নিয়ে কথা বলবেন জিটিএ-র (গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) সঙ্গে। গত বছর জিটিএর প্রধান বিমল গুরুং-সহ নির্বাচিত ৪৫ জন প্রতিনিধি পদত্যাগ করার পর থেকে এখনও সেখানে প্রশাসকই কাজ চালাচ্ছেন। প্রধান হিসাবে রয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোআচারই রোশন গিরি। পাহাড়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন এখনও সেখানে নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই।
নতুন জেলা কালিম্পংয়ে গিয়ে স্থানীয় মানুষের মন জয় করতে সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মংপুতে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন সবে শেষ হয়েছে, এর মধ্যেই আগামী লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত পাহাড়ের মানুষের মন জয় করার দিকে জোর দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দু-টি নির্বাচনেই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র বিজেপি জয়ী হয়ছে মোর্চার সমর্থনে। সম্ভবত এ বার এই আসন পেতে ঝাঁপাবেন মমতা।
পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পুরোনো তিক্ততা ভুলে এগিয়ে চলার বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কালিম্পংয়ের বিধায়ক হরকা বাহাদুর ছেত্রী বেশ কিছুদিন ধরেই কোণটাসা অবস্থায় রয়েছেন। তিনি উপযুক্ত সম্মান পাচ্ছেন না বলেও বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেছেন বলে খবরে প্রকাশ। আবার পাহাড়ও বারে বারে অশান্ত হয়েছে পৃথক রাজ্যের দাবিতে। ১৯৮৬ সাল থেকে পাহাড়ে কখনও আন্দোলন হয়েছে, পাহাড় কখনও শান্ত হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলই সরাসরি আলাদা রাজ্যের দাবিতে মোহর দেয়নি। এমনকি ছোট রাজ্যের পক্ষে থাকা বিজেপিও নয়। বর্তমান রাজ্য সরকারের সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়েছে গোর্খাদের রাজনৈতিক সংগঠন। মমতা সকলকেই বার্তা দিয়েছেন বলে ধারনা রাজনৈতিক মহলের।
Twitter --
I have come again to the Hills to meet my hill brothers and sisters. This time, it is Kalimpong. My latest Facebook post: https://t.co/SqOfRhtYJs pic.twitter.com/s8ZPGmU4GH
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 29, 2018
পাহাড়ে গিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব ভঙ্গিতে সেই উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন। হিন্দির সঙ্গে স্থানীয় ভাষা মিশিয়ে বক্তৃতা করে কালিম্পংবাসীর মন জয়ের চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের পর্যটনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নতুন কী পদক্ষেপ করেন সেটা অবশ্য জানা যাবে রোশন গিরির সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পরেই।