২০১৯ নির্বাচনের আগে উপনির্বাচনের ফলে বিজেপি ভাগ্যে অশনি সঙ্কেতটা বেশ স্পষ্ট
উপনির্বাচনে ভোটারদের রায় শাসকের দিকেই ঝুঁকে থাকে, এবার তা উল্টে দিয়েছেন ভোটাররা
- Total Shares
উত্তরপ্রদেশে বড়সড় ধাক্কা মোদী-অমিত শাহের জুটির। ধাক্কা হিন্দুত্বের 'পোস্টার বয়' যোগী আদিত্যনাথেরও।
জোটের মুখে পড়লে বিজেপির কী অবস্থা হবে সেই দেওয়াল লিখনটা স্পষ্ট হয়েছিল এই উত্তরপ্রদেশেই। গত মার্চ মাসে সরযূ তীরে গোরক্ষপুর ও ফুলপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে গো-হারান হেরেছিল গেরুয়া শিবির। তাই এবার কৈরানা লোকসভা কেন্দ্র ও নূরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে ছিল প্রেস্টিজ ফাইট।
ধাক্কা হিন্দুত্বের 'পোস্টার বয়' যোগী আদিত্যনাথেরও
দুটি কেন্দ্রের নির্বাচনে জোটের মুখে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথরা।
উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া বিহার ও বিহার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডেও একই দশা হয়েছে পদ্ম শিবিরের। অন্যদিকে, দক্ষিণী রাজ্য কর্নাটকে যে কংগ্রেসকে অনৈতিক জোটের কারিগর বলে কংগ্রেসকে দেগে দিয়েছিলেন অমিত শাহ সেখানেও জনতা জনার্দন ক্লিন-চিট দিয়েছে রাহুল গান্ধীর দলকে। পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্রও স্বস্তিতে রাখল না বিজেপিকে।
এই ফলের প্রভাব ২০১৯ নির্বাচনে গিয়ে পড়লে ৫৬ ইঞ্চি ছাতিটাও নাতিদীর্ঘ দেখাবে
সাধারণত উপনির্বাচনে ভোটারদের রায় শাসক দলের দিকেই ঝুকে থাকে। কিন্তু দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ঘটটা উল্টে দিয়েছেন ভোটাররা। বিজেপি-শাসিত রাজ্যেও কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। এ ক্ষেত্রে দস্তুর বজায় থেকেছে তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শুধু আসন ধরে রাখাই নয়, ১২ শতাংশ ভোট বাড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে ১১টি বিধানসভা কেন্দ্র ও চারটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলে বিজেপি ভাগ্যে অশনি সঙ্কেতটা স্পষ্ট।
গণদেবতায় রায়ের এই ছায়াটা যদি দীর্ঘতর হয়ে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে গিয়ে পড়ে তাহলে ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতিটাও নাতিদীর্ঘ দেখাবে না তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।