বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচন: ক্ষমতায় ফিরছে আওয়ামী লীগ-ই
শুধু উন্নয়নের বিচারেই নয়, মানবিক রাষ্ট্র হিসাবেও বাংলাদেশ সারা বিশ্বে প্রশংসিত
- Total Shares
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন নির্বাচনী হাওয়া। প্রধান বিরোধী শক্তি ও তাদের মিত্ররা নির্বাচনে আসার ঘোষণায় নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়েছে সারাদেশে। রাজনৈতিক দল ও তাদের মিত্ররা এখন ব্যস্ত ভোট প্রস্তুতি নিয়ে। টানা ১০ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ চাইছে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে। পক্ষান্তরে প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের মিত্ররা চাইছে ক্ষমতাসীনদের হটিয়ে মসনদে বসতে। আগামী নির্বাচনে কোন পক্ষ সরকার গঠন করবে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। চতুর্থবারের মত রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে সব চেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড করতে চান শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ। তাদের প্রতিপক্ষ ১২ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি চায় তাদের হটিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে।
আওয়ামী লীগ যে কারণে এগিয়ে
বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের ফানুস উড়িয়েই টানা দ্বিতীয় বার ক্ষমতার পাঁচ বছর পূর্ণ করল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এই সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি,বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী-সহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভেতর-বাইরে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসাবেও প্রশংসিত। কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে।
বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ,যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি,খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন -- এমন কোনও খাত নেই যে খাতে অগ্রগতি সাধিত হয়নি। দেশে পরিকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।
বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচকসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যাশাজনক সাফল্য অর্জন করেছে এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি-সহ এখন মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
নিজস্ব অর্থে পদ্মার ওপর ৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করার সাহস দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে বাংলাদেশ। দেশের প্রথম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-২ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে। ২,৯৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ উপগ্রহ সফল ভাবে মহকাশে উৎক্ষেপনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব উপগ্রহের মালিক হয়েছে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রে-সহ আরও কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। দেশের আইটি খাতের নতুন সম্ভাবনা যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।বর্তমান সরকারের শাসন আমলেই কোনও রকম যুদ্ধ-সংঘাত বা বৈরিতা ছাড়াই দুই প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র বিজয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গোপসাগরে এক লাখ ১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল এলাকায় একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপান এলাকার প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের উপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীনতার পরপর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে স্থল সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল সম্প্রতি তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করা বাংলাদেশের বড় সাফল্য অর্জন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এসব কারণে বিশ্লেষকরা মনে করেন ভোটাররা আবার বেছে নেবে আওয়ামী লীগকেই।
টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের ১০ প্রভাবশালী নেত্রীর একজন মনোনীত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা [ছবি: রয়টার্স]
শেখ হাসিনার বিশ্ব জয়
পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস, বিশ্বের পাঁচজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছেন, যাঁদের দুর্নীতি স্পর্শ করেনি, বিদেশে কোনো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, উল্লেখ করার মতো কোনও সম্পদও নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ এই পাঁচজন সরকারপ্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও কাজের অবদানের জন্য তাঁকে নানা পুরস্কারে ভূষিত করা হয় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে।
টাইম ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের প্রভাবশালী ১০ নেত্রীর একজন মনোনীত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। একজন জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা সবসময় নিজেকে প্রমাণ করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক খালিজ টাইমস রোহিঙ্গাদের সঙ্কট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তাঁকে নিউ স্টার অব দ্য ইস্ট বা পূর্বের নতুন তারকা হিসেবে আখ্যায়িত করে। এসব অর্জন শেখ হাসিনার ক্ষমতায় ফেরার পথ সুগম করবে বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ
১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার কাজে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। টানা দুই মেয়াদের ক্ষমতায় বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ ও গোষ্ঠীর চাপ সত্ত্বেও শীর্ষস্থানীয় অপরাধীদের বিচার শেষে রায় কার্যকর করা হয়েছে। এই বিচার করতে পারা স্বাধীন বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য। সেই সঙ্গে গত কয়েক বছরে ডিজিটাইজেশনে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করছে। ভূমি ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের ফলে মানুষের দুর্ভোগ কমছে। ই-টেন্ডারিং, ই-জিপির ফলে দুর্নীতি কমছে। ১০ টাকায় কৃষক ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ, মোবাইল ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চালু করার ঘটনাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদাহরণ হিসেবে কাজে লাগছে। এসবও ভোট প্রদানের বিবেচনায় আনবে বলে মনে করেন অনেকেই।
বিএনপির ও তাদের মিত্রদের ভারত বিরোধিতা
বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, শক্তিধর রাষ্ট্র ভারত বাংলাদেশের রাজনীতি এবং নির্বাচনের প্রতি সব সময়ই আগ্রহী। এমনকি জনমনে বদ্ধমূল ধারণা আছে যে, ভারত দেশের জাতীয় নির্বাচন প্রভাবিত করার সামর্থ্য রাখে এবং চেষ্টা করে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোও তাই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে সব সময়ই চেষ্টা করে থাকে। বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ালী লীগের সম্পর্ক ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক অনেকটাই খোলামেলা। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ থাকলে ভারতের আস্থা পরিপূর্ণ থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ভারতের জনগণের।
অপরদিকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও তাদের মিত্রদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব একটা নেই বললেই চলে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা খুব একটা ভাবেওনি।
২০১৪ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি সরকারি ভাবে ও দলের নেতারা ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই বলেছেন, সারাবিশ্ব একদিকে থাকলেও শুধু মাত্র ভারতের সরাসরি সমর্থন ছিল আওয়ামী লীগের দিকে। যে সমর্থনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সরাসরি উদ্যোগী হয় বিএনপি ও মিত্ররা?
বিএনপি ও তাদের মিত্রদের সাথে ভারতের সম্পর্ক খুব একটা নেই বললেই চলে [ছবি: রয়টার্স]বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হবার পর যাঁরা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হন মূলতঃ তাঁদের থেকেই শুরু হয় ভারত বিরোধিতা। পরবর্তীতে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হবার পর পাকিস্তান প্রীতি এবং আইএসআই-এর প্রতি আনুগত্য বাংলাদেশে ভারত বিরোধী পক্ষকে শক্তিশালী করে তোলে। জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের মিত্ররা ভারত বিরোধী কর্মকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। এমনকি এর পর বিভিন্ন সময় বিরোধী দলে থাকার সময়ও ভারত বিরোধিতায় প্রকাশ্যা ছিল দলটি।
৯০ দশকের শেষ দিকে ঢাকা-কলকাতা রুটে বাস চালুর পর সার্বভৌমত্ব চলে যাবে অভিযোগ করে ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছিল দলটি।
আবার ২০১৩ সালের মার্চে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ঢাকা সফরের সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ বাতিল করেন জামায়াতের হরতালে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে।
আবার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সই হওয়ায় ফেনী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে আশঙ্কা প্রকাশ করে লং মার্চ করেছিল বিএনপি। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানে সহযোগিতা ও ভারতের টপ ওয়ানন্টেট দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদী বিভিন্ন গোষ্ঠীর আস্তানা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশে। যারা এখান থেকে গিয়ে ভারতে নানা আক্রমণ চালিয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী বহু নেতাকে শেখ হাসিনা সরকার ভারত সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে।
এ সব দিক বিবেচনায় বিএনপির চেয়ে ভারতের পছন্দ আওয়ামী লীগকেই।
সংকটে বিএনপি
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের অধীনেই নির্বাচন হবে। জাতীয় পার্টি ঘোষণা দিয়েছে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে আওয়ামী লীগের জোট থেকেই। বিএনপি এবার নির্বাচন করবে ঐক্যফ্রন্ট নামে। গত ফেব্রুয়ারিতে এক দুর্নীতি মামলায় বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। বর্তমানে তিনি জেলে আছেন এবং অসুস্থ। বিএনপি এমন কোনও জোরদার আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারেনি তাঁর মুক্তির জন্য। সুতরাং আদালতের উপরই নির্ভর করছে তাঁর জামিনে মুক্তির বিষয়টি।
বিএনপির জনসমর্থন রয়েছে। তারা সব সময় আওয়ামী লীগের ভালো প্রতিপক্ষ। এবার নেতৃত্বের প্রশ্নে বিএনপির হতাশা রয়েছে। কারণ বেগম জিয়ার জেল হয়েছে একটা দুর্নীতি মামলায়। এখন তিনি জেলে আছেন, তার মুক্তির বিষয়ে দল আইনি লড়াই চালাচ্ছে। কিন্তু সহজে জামিনে মুক্ত হবেন বলে মনে হয় না।