এই ধর্মঘট তৃণমূলের আত্মবিশ্বাস কমাবে, বিজেপি সমর্থকদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে
কলকাতায় বাস থাকলেও লোক ছিল না মানুষ বনধ সমর্থন করেছে বলেই
- Total Shares
ইসলামপুরের ঘটনা শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয় আতঙ্কেরও বটে। এর সঙ্গে সিমি বা অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনগুলোও যুক্ত রয়েছে। সরকারের সঙ্গে জোট বেঁধে এই সংগঠনগুলো ইসলামপুরে ঝামেলার সৃষ্টি করল। তাদের প্ররোচনাতেই ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এবং কোনও কারণ ছাড়াই দু'জন নিরীহ তরুণের প্রাণ গেল। পুলিশ অবশ্য এখন এই ঘটনায় নিজেদের দায় ঢাকতে ব্যস্ত।
এই ঘটনার দিনে এমন কোনও অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি যে ছাত্রদের জোর করে ছত্রভঙ্গ করতে হত। অথচ, ছত্রভঙ্গের নাম করে পুলিস একেবারে গুলি চালিয়ে বসল। এর কোনও যুক্তি অন্তত আমার কাছে নেই।
গুন্ডাবাহিনী ও পুলিশবাহিনী নামিয়েও ধর্মঘট ব্যর্থ করতে পারেনি সরকার [ছবি; পিটিআই]
আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের নৃশংসতা এই প্রথম নয়। পঞ্চায়েত ভোটেও মনোনয়ন পত্র জমা করতে দেওয়া হয়নি অধিকাংশ কেন্দ্রে। যারা সাহস করে জমা দিয়েছিল তাদের নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আর, এখানেই থেমে না থাকে গ্রামে গ্রামে নৃশংসতা চালিয়ে ছিল তৃণমূল। ফল স্বরূপ, তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর হাতে খুন হলেন আমাদের বেশ কয়েকজন সমর্থক।
ইসলামপুরের ঘটনার প্রতিবাদে আমরা বুধবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছিলাম। আর এই ধর্মঘটে মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে আমরা অভিভূত। সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম ভাবে চেষ্টা করা হয়েছে এই ধর্মঘট ব্যর্থ করতে। কিন্তু সরকারের আস্ফালন সত্ত্বেও মানুষ আমাদের সমর্থন করে পথে নামেননি। জেলাগুলোর বেশিরভাগ অঞ্চলেই ছুটির মেজাজ ছিল। কলকাতায় কিছু সংখ্যক বাস ও অন্যান্য যানবাহন চালু থাকলেও রাস্তায় লোকের সংখ্যা ছিল বেশ কম। লোক কম থাকা মানেই মানুষ ধর্মঘটকে সমর্থন করছেন। সত্যি এ রাজ্যে এতটা স্বতঃস্ফূর্ত ধর্মঘট অনেকদিন দেখা যায়নি।
মানুষ বুঝেছে তৃণমূলের পর বাংলার দায়িত্ব যাদের কাঁধে থাকবে তারা সাবলম্বী হয়ে গিয়েছে [ছবি: পিটিআই]
তৃণমূল কংগ্রেসের মস্তানরা ও পুলিশ বাহিনী সকাল থেকে একবার শেষ চেষ্টা করেছিলেন যাতে ধর্মঘট ব্যর্থ করা যায়। কিন্তু মানুষের সমর্থনে তাদের সেই চেষ্টাও সফল হয়নি।
২০১৯ নির্বাচনের খুব বেশি দেরি নেই। তার আগে এই ধর্মঘট সফল করে মানুষ তাদের বার্তাটা কিছুটা হলেও পরিষ্কার করে দিয়েছে। নিঃসন্দেহে, এই ধর্মঘট তৃণমূলের আত্মবিশ্বাস কমাবে আর বিজেপি সমর্থকদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।
মানুষ বুঝে গিয়েছে যে তৃণমূলের মতো একটি নৃশংস দলকে হঠিয়ে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে তারা এখন সাবলম্বী হয়ে গিয়েছে।