লোকে তেমন নাম জানে না, অথচ এগুলিই মেদ ঝরাতে সাহায্য করে
মেদ কমাতে প্রাত্যহিক ডায়েটে পুষ্টির ব্যালেন্স থাকাটা বেশ প্রয়োজনীয়
- Total Shares
অনেকেই বলে থাকেন যে ওজন কমাতে সমস্ত রকম চেষ্টা করেও তারা ওজন এক চুলও কমাতে পারেননি। এর মানে তাঁরা বলতে চাইছেন যে তাঁরা ফ্যাট ছাড়া খাবার খেয়ে দেখেছেন, বেশ কয়েকটি খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন, উপোস করেছেন, নিয়মিত জিমে গিয়েছেন এবং সাপ্লিমেন্ট খাবার খেয়েও দেখেছেন - কিন্তু কোনও কিছুই কাজ দেয়নি।
আমি তাঁদের একটা কথাই বলে থাকি। তাঁএরা সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ কাজটাই করেননি - তাঁদের রোজকার ডায়েটে পুষ্টির সুষম ভাবের দিকে নজর দেননি এবং শরীরে যে পুষ্টির অভাব রয়েছে তা ঠিক করার চেষ্টা করেননি।
উল্টে নিজেদের খাবারে পুষ্টি ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে তাঁরা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছেন। মানে ওজন আরও বাড়িয়ে ফেলেছেন।
এমন কয়েকটি খাবার রয়েছে যা আপনার শরীরের ওজনকে একটা নির্দিষ্ট মাত্রার পর বাড়তে দেয় না। অনেকেই হয়তো ওজন হ্রাসের জন্য ভিটামিন ডি, পোটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ওমেগা থ্রির কথা জানেন। কিন্তু এছাড়া বেশ কয়েকটি অজানা, কম-জানা বা অনামী পুষ্টি রয়েছে যা আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
আসুন সেই ধরনের কয়েকটি খাদ্যগুণের সঙ্গে পরিচিত হই:
ক্রোমিয়াম
খাওয়া দূরে থাকুক, অনেকেই হয়ত এই খনিজটির নামই সে ভাবে শোনেননি। খিদের ইচ্ছে কমিয়ে দেওয়া, রক্ত শর্করা বা ব্লাড সুগারের মাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করা-সহ এর প্রচুর গুণ রয়েছে। ওজন কমাতেও সিদ্ধহস্ত।
এই খনিজটি অনেক খাবারেই পাওয়া যায় - ব্রকোলি, ওটস, টম্যাটো ও কাঁচা সয়বিন। গোলমরিচেও এই খনিজটি থাকে।
বাড়তি পাওনা: রক্তশর্করা কমাতেও সাহায্য করে।
আর্জাইনাইন
আমাদের ডায়েটের পুষ্টির থেকে যে ২০টি অ্যামিনো অ্যাসিড আমরা পাই তাদের মধ্যে অন্যতম এই আর্জাইনাইন। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণের আর্জাইনাইন আমরা আমাদের নিত্য দিনের খাবার থেকে পাই না, যদিও তা খুব সহজেই পাওয়া সম্ভব। এটি বাড়তি মেদ কমিয়ে শরীরের ওজন কমাতে এটি সাহায্য করে।
শরীরে আর্জাইনাইনের সঙ্কট দেখা দিলে চুল পড়া, ক্ষত সারতে দেরি হওয়া এবং কাঁপুনির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মুরগির মাংস, দুগ্ধ জাতীয় খাবার, কুমড়োর বীজ ও বাদামে আর্জাইনাইন পাওয়া যায়।
বাড়তি পাওনা: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ।
লিউসিন
লিউসিন একটি গুরত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড যা মেদ কমাতে সাহায্য করে। এই অ্যাসিডটি পেশির শক্তি বৃদ্ধিও করে থাকে।
শরীরে লিউসিনের পরিমাণ কমে গেলে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিজ, সয়া, মুরগির মাংস, মাছ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবারে এর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
বাড়তি পাওনা: লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে