চোখের নরম ত্বক সজীব ও সুন্দর রাখতে নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করুন উপযুক্ত ক্রিম
ত্বক ভেদে ক্রিমের তারতম্য হয়, প্রয়োজনে ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন
- Total Shares
প্রতিটি মহিলার জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন মুখের ত্বক শুধু মাত্র পরিষ্কার করা, তাকে টোন করা ও ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজারেই কাজ হয় না। মহিলারা যখন ৩০ বছর বয়সে পদার্পন করেন তখন তাঁদের ত্বকের কিছুটা বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। ত্বকে যদি বার্ধক্যের ছাপ পড়ে ও নির্জীব লাগে, তা হলে হয়ত আপনার ত্বকের নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন আছে।
আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক খুব নরম হয়, তাই চোখের চারপাশের ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ প্রথমে পড়ে, দেখা যায় ত্বক কুঁচকে যাচ্ছে। তাই চোখের চারপাশের ত্বক যাতে সুস্থ ও সম্পৃক্ত থাকে তাই অনেক আগে থেকেই সচেতন হতে হবে এবং নিয়মিত চোখের ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তাই ২০ বছর বয়স থেকেই চোখের ক্রিম ব্যবহার করা শুরু করুন, কারণ চোখের চারপাশে ক্রিম ব্যবহারের অনেক উপকারিতা আছে।
কবে থেকে ব্যবহার শুরু করবেন?
আজকালকার নতুনপ্রজন্ম তাঁদের চেহারায় অকাল বার্ধক্যের ছাপ রোধ করার জন্য অনেক আগে থেকেই সচেতন হয়ে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন, সুষম আহার খান ও ত্বকের পক্ষে ভালো এমন সব দ্রব্য ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন করেন। পাশাপাশি ত্বককে সব সময় সম্পৃক্ত রাখতে হবে ও ভালো ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে যাতে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ না পরে ও ত্বকের নিজেস্ব সৌন্দর্য্য বজায় থাকে। চোখের ক্রিম ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজনীয়। যদি আপনার বয়স যদি ২০ বছর হয়, তা হলেও চোখের চারপাশের কালো ছোপ দূর করতে, চোখের নিচের অংশ ফুলে গিয়ে মোটা হয়ে গেলে এবং চোখের ফোলা ভাব দূর করতে ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
কেন চোখের ত্বকের ক্রিম ব্যবহার করা উচিৎ
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমাদের শরীরের অন্যান্য জায়গার ত্বকের চেয়ে চোখের চারপাশের ত্বক পাঁচ থেকে ১০ গুণ দ্রুত বয়স্ক মনে হয়। তাই আপনার যদি মনে হয় যে চোখের চারপাশের ত্বকের জন্য বিশেষ কোনও ক্রিমের আদৌ কোনও প্রয়োজন আছে কি না তাহলে আমি বলব আছে। শরীরের অন্যান্য সব টিসুগুলোরমতোই সূক্ষ্ম ও পাতলা আমাদের চোখের টিসু। তাই হাসলে না টেরিয়ে তাকালে আমাদের চোখের উপর যথেষ্ট চাপ পড়ে। চোখের চারপাশে তৈলগ্রন্থির সংখ্যা অনেক কম বলে চোখ সহজেই শুকিয়ে যায় ও তাতে পরে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। তাই চোখ দেখে খুব বয়স্ক মনে হয়।
তাই আমরা সাধারণত যে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার মুখে মেখে থাকি, সেগুলো আমাদের চোখের ত্বকের পক্ষে একটু বেশি কড়া বলে মনে হতে পারে। যেহেতু চোখে লাগানোর ক্রিমগুলো পরীক্ষা করে তবেই রোগীকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় তাই এই ক্রিমগুলো অনেক বেশি উপযোগী।
চোখের ত্বকের ক্রিম ব্যবহারের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে তবে এখানে তারই মহদয়ে কয়েকটি আলোচনা করব:
-মহিলাদের ২০ বছর বয়স থেকেই চোখের ত্বকের জন্য ক্রিম ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে এর ফলে চামড়া কুঁচকে যায় না বা সূক্ষ্ম বলিরেখাও পড়ে না। যদিও বার্ধক্যকে কেউ রুখতে পারে না কিন্তু তবুও তথ্যের যত্ন নিলে অনেক দিন পর্যন্ত চামড়া ভালো ও সতেজ থাকে।
-চোখের চারপাশে ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক তৈলাক্ত থাকে ও চোখ শুকিয়ে যায় না।
-চোখের প্রসাধন ব্যবহার করার আগে যদি ক্রিম ব্যবহার করা যায় তা হলে তা চামড়ার উপর একটা আবরণের সৃষ্টি করে ও প্রসাধনের বাবহারে চামড়ার যে ক্ষতিটা হতে পারতো সেটা হবে না।
কোন ক্রিমগুলি চোখের চারপাশের কালো ছোপ দূর করতে উপকারী:
বিভিন্ন চোখের ক্রিম বিভিন্ন কারণে ব্যবহার করা হয়। যদি আপনার চোখের চারপাশে কালো ছোপের সমস্যা থাকে তা হলে ইউথ কোড আই ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন। পাশাপাশি চোখের কালো ছোপ দূর হলে চোখের ফোলা ভাবটাও থাকে না।
আপনার ক্রিমটিকি আপনার চোখকে দীর্ধ সময় ধরে রক্ষা করে?
তাই এখন যখন আপনি চোখের ক্রিম ব্যবহারের গুণাগুণগুলো জেনে নিলেন, তখন আর দেরি না করে চোখের ক্রিম ব্যবহার করা শুরু করুন। তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো, যেহেতু আমাদের চোখের চারপাশের চামড়া খুবই সূক্ষ্ম এবং নরম তাই যেখানও ক্রিম ব্যবহার করা চলবে না, শুধুমাত্র ভেষজ ও ভালো ক্রিম ব্যবহার করুন। নিজের ত্বক বুঝে চোখের চামড়ার ক্রিম বেছে নিন অথবা কোনও ত্বক বিশেষজ্ঞর সঙ্গে পরামর্শ করে জেনে নিন আপনার ত্বকের জন্য কোন ক্রিমটি উপযোগী।
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে