দুর্গা পুজো মানেই কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া: অতঃপর
সারাদিন যা খুশি খান, কিন্তু সকালে লেবু দিয়ে গরমজল পান বাধ্যতামূলক
- Total Shares
বাঙ্গালির দুর্গাপূজা মানেই চুটিয়ে ঠাকুর দেখা এবং নিয়ম ভেঙ্গে খাওয়া দাওয়া করা, তা সে ঝাঁ চকচকে রেস্তোরা হোক বা রাস্তার ধারের চাউমিনের দোকান -বাড়ির খাবার নৈব নৈব চ।।
অগত্যা ফলাফল যা হওয়ার তাই হয় -আপনি দেখেন এই কদিনেই আপনার ওজন প্রায় ২-৩ কেজি বেড়ে গেছে। আর আগেই যদি মেদাক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে তো আপনি ওজন যন্ত্রটিকে বেশ এড়িয়েই চলবেন।তাই পূজার ক’দিন কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখলে আর পূজার পর মাথায় হাত দিতে হবেনা।
পুজার দিনগুলোতে চেষ্টা করুন প্রতিদিন সকালে লেবু দিয়ে গরম জল খেতে এবং প্রাণায়াম সহযোগে ২০- ৩০ মিনিট যোগাভ্যাস করতে , এটি আপনার শরীর থেকে সারাদিনে তৈরি হওয়া টক্সিন গুলো কে দূর করতে সাহায্য করবে। রোদে বেরোলে অবশ্যই ছাতা, সানগ্লাস ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সারাদিনে প্রচুর জল খান সঙ্গে ডাবের জল ও ফ্রুট জুসও।
যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা সাথে লজেন্স নিয়ে বেরোন কারণ অনিয়মের ফলে হাইপোগ্লাইমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বহু গুণে বেড়ে যায়। যাদের এমএসজি সেন্সিটিভিটি আছে তারা চাইনিজ খাবার এড়িয়ে চলুন।
রাস্তার কল থেকে জল খাবেন না কারণ জল থেকেই পেটের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। রোদ থেকে ফিরে কিছুক্ষণ পর গ্লুকোজ জল বা ও আর এস জল খান।
সারাদিন প্রচুর জল পান করুন, সঙ্গে ডাবের জল ও লেবুর রস
এরপর আসি পূজার চারদিনের পরের কথায়-- এই দুর্গাপূজা চলে যাওয়ার সময় শুধু আমাদের মনকেই নয় আমাদের শরীরকেও বেশ খানিকটা ভারী করে দেয়।তাই উৎসবের পরে নিজেদের দৈনিক অভ্যাসে দ্রুত ফিরে আসা খুব দরকার।
পূজার চারদিনের অনিয়ম শুধু ফিজিওলজিক্যাল প্রসেসকেই নয় আমাদের ত্বক ও চুল এর ও ক্ষতি করে তাই সবার আগে শরীর কে ডি - টক্সিফাইং করা দরকার। সারাদিনে প্রচুর তরল পানীয় খান।। টাটকা সবুজ শাকসবজি ও ফল যেন সারাদিনে ৪০০গ্রাম এর কম না হয়, প্রত্যহ প্রো -বায়টিক যুক্ত টক দই খান ... শুরু করুন গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস।
অল্প অল্প খাবার বারে বারে খান এতে শরীরের এনজাইম গুলো সবচেয়ে ভালভাবে কাজ করতে পারে। মিষ্টি চকলেট ভাজাভুজি চিপস যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এতে হয়ত জিভের স্বাদ অপূর্ণ থাকবে কিন্তু সুস্থ থাকবে আপনার শরীর।
ব্যাক্তি বিশেষে বয়স , ওজন , উচ্চতা , শারীরিক অবস্থা , অ্যাক্টিভিটি লেভেল ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে প্রতিটি মানুষের ডায়েট চার্ট পরিবর্তনশীল তাই পরিকল্পনার আগে সঠিক ভাবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। সমাজ কে সুস্থ রাখুন।