ফ্যাক্ট চেক: গেটি ইমেজের বিছানার ছবি ভাইরাল হল বিলুপ্তপ্রায় ওয়াটার বেড হিসেবে
ফ্যাক্ট চেক: গেটি ইমেজের বিছানার ছবি ভাইরাল হল বিলুপ্তপ্রায় ওয়াটার বেড হিসেবে
- Total Shares
সম্প্রতি একটি বিছানার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে। নীল রঙের একটি বিছানার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি নাকি একটি ওয়াটার বেড, যা সম্পূর্ণভাবে জল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
একটি পোস্টকার্ড শেয়ার করে একে জলের বিছানা বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ভাইরাল পোস্টকার্ডটিতে লেখা রয়েছে, "এটি একটি ওয়াটার বেড, যা সম্পূর্ণ জল দিয়ে ভর্তি। এর মধ্যে শুলে মনে হবে আপনি কোন সমুদ্রের মাঝখানে শুয়ে আছেন। এই বেডটি অন্তত ৪০০ কেজি ভার সহ্য করতে পারে।"
ভাইরাল পোস্টকার্ডটির আর্কাইভ এখানে ও এখানে দেখা যাবে।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) তদন্ত করে দেখেছে, এটি কোনও ওয়াটার বেড নয়, বরং সাধারণ একটি বিছানার ছবি যা আসলে নীল রঙের। বিভ্রান্তিকর দাবি-সহ এটিকে ওয়াটার বেড হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।
ভাইরাল ছবিটিকে রিভার্স সার্চের মাধ্যমে আমরা বিখ্যাত ছবি সরবরাহকারী সংস্থা গেটি ইমেজসের একটি গ্যালারি খুঁজে পাই। সেই গ্যালারিতে ওই বিছানার একই ছবিও দেখতে পাওয়া যায়।
যদিও আসল ছবিটির বিবরণে একে 'ওয়াটার বেড' বলা হয়নি। বরং লেখা ছিল, ড্রিম বেড, অর্থাৎ স্বপ্নের বিছানা। সেই সঙ্গে লেখা ছিল, এম্পটি বেড উইথ সি-ভিউ। অর্থাৎ, সামুদ্রিক দৃশ্যের সঙ্গে খালি বিছানা। পাশাপাশি, ভাইরাল পোস্টকার্ড এ বিছানার আসবাব যেমন ছিল, এই ছবিতেও হুবহু তেমনই দেখা যায়।
এর পাশাপাশি গেটি ইমেজের অধীনস্থ আরেকটি সংস্থা আইস্টকের ওয়েবসাইটেও একই ধরনের আরেকটি ছবি আমরা দেখতে পাই। সেক্ষেত্রে অবশ্য চাদরের রঙটি নীলচে আভা-যুক্ত ছিল। কিন্তু ভাইরাল ছবিতে যেমন চাদর ও বালিশ উভয়েরই রং নীল ছিল। এ বাদেও ওই একই ছবি অন্যান্য রঙের মিশ্রণে দেখা গিয়েছে। কিন্তু পোস্টকার্ডে যেরমকটা লেখা হয়েছে, অর্থাৎ বিছানাটি ওয়াটার বেড, এমন কোনও তথ্য সেখানে উল্লেখ করা ছিল না।
তবে ওয়াটার বেড, অর্থাৎ জলের তৈরি বিছানা যে এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, সেই বিষয়টি আমরা হাফপোস্ট নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারি। সেই ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ওয়াটার বেড ১৯৬৮ সালে প্রথম বার আবিষ্কার করা হয়। ১৯৮০ সাল নাগাদ গোটা যুক্তরাষ্ট্রে এটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। আসল ওয়াটার বেড দেখতে অবশ্য সাধারণ বিছানার মতোই ছিল। সেই সময়ের ওয়াটার বেড কেমন ছিল, তার ছবিও নীচে তুলে ধরা হল।
দ্য ওয়াটারবেড ডক্টর নামক একটি ওয়েবসাইট থেকে আমরা জানতে পারি, সাধারণত যে সকল ব্যক্তিদের ঘুমের সমস্যা হত, বা শারীরিক কোনও বেদনা-জনিত সমস্যা হত, তাদের জন্য চিকিৎসকেরা ওয়াটার বেড ব্যবহার করার পরামর্শ দিতেন। যদিও ১৯৯০ সালের পর থেকে ক্রমেই এই বিছানা ব্যবহারের প্রবণতা কমতে শুরু করে। তবে এখনও বিভিন্ন অনলাইন বিবপণ ওয়েবসাইটে এই বিছানা পাওয়া যায়। তবে এর ব্যবহার নগণ্য বললেই চলে।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false