ফ্যাক্ট চেক: উত্তরাখণ্ডে সাম্প্রতিক হিমবাহ ধসের নাম করে ভাইরাল পুরোনো উদ্ধারকার্যের ছবি
অনেকেই এমন দাবী করে সম্প্রতি এই ছবিকে পোস্ট করেছেন সমাজ মাধ্যমে
- Total Shares
উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসে বাঁধ ভেসে যাওয়ার পর বহু মানুষের মৃত্যুর খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমে।দুর্গতদের সাহায্যে ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছে সেনা, আইটিবিপি, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
এরই মধ্যে হিমবাহ ধসের সেই উদ্ধারকার্যের খবরের নাম করেই ভাইরাল হয় একজন মহিলাকে সেনাদের সাহায্য করার এক ছবি।
এখানে সেই পোস্টের আর্কাইভকে দেখতে পাওয়া যাবে।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধানে দেখে, ২০১৩ সালে উত্তরাখন্ডে ভারতীয় সেনার একজন মহিলাকে উদ্ধারকার্যের এই ছবির সাথে সাম্প্রতিক হিমবাহ ধসের ঘটনাটির কোনো সম্পর্ক নেই।
ইন্টারনেটে রিভার্স সার্চ করে আমরা এই ছবিকে ২০১৩ সালে প্রকাশিত "লাইভ মিন্ট" ও "বিবিসি"র দুই প্রতিবেদনে খুঁজে পাই।
ওই প্রতিবেদনগুলি অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুনের ২৭ তারিখের এই ছবিতে পিন্ডারী হিমবাহ থেকে ভারতীয় সেনার একজন মহিলাকে উদ্ধার করার দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গতঃ, সেবছরও উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভয়াবহ ধস ও বন্যার কবলে পড়েছিল।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের সাম্প্রতিক হিমবাহ ধসের ঘটনায় উদ্ধারকার্যের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে অবস্থানগত প্রতিকূলতার কথা জানানো হয়।
There is accessibility issue because it's a tough terrain. By road, only two teams could manage to reach Joshimath, the remaining teams were airlifted. It's difficult to predict how long, but rescue operation can possibly take 24-48 hours: NDRF DG SN Pradhan
— ANI (@ANI) February 8, 2021
এই প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি ভয়াবহ এই হিমবাহ ধসের ঘটনায় ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
এর থেকে বলা যেতে পারে, ২০১৩ সালে উত্তরাখন্ডে ভারতীয় সেনার একজন মহিলাকে উদ্ধারকার্যের এই ছবির সাথে সাম্প্রতিক হিমবাহ ধসের ঘটনাটির কোনো সম্পর্ক নেই।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false