'অস্কার' নামটাও যেমন মজাদার চিত্রনাট্যটিও ভিন্ন স্বাদের
নেতিবাচক চরিত্র হলেও দূর্গাদেবীর চড়ুইটারের চরিত্রের একটা কমেডির দিকও রয়েছে
- Total Shares
'অস্কার' ছবির পরিচালকের নাম পার্থসারথি মান্না। ছবির গল্পটা একদম নতুন ধরণের। পরিচালক হিসেবে এটাই পার্থসারথির প্রথম ছবি। নতুন পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে সব সময়ই ভালো লাগে কারণ তারা কিছু অন্য রকম চিন্তাভাবনা নিয়ে নানারকম পরীক্ষামূলক ছবি করতে ভালোবাসে।
'অস্কার' নামটা যেমন মজাদার তেমনই ছবিটাও ভিন্ন স্বাদের।
সালটা ১৯৮৩। গ্রামের নাম অচিনপুর। সেখানে থাকে দুই ভাই। তাঁদের স্বপ্ন যে তাঁরা একদিন এমন একটা ভালো বাংলা ছায়াছবি বানাবে যা দেশকে অস্কার পুরস্কার এনে দেবে। দুর্গাদেবী কোনও ভাবেই এই সিনেমাটা হতে দিতে চান না। শেষ পর্যন্ত দেশে অস্কার এসেছিল কী না সেটা দেখতে হলে দেখতে হবে পুরো সিনেমাটা।
ছবি সৌজন্যে: অপরাজিতা অধ্যা
ছবিতে আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছি তাঁর নাম 'দূর্গাদেবী', একটা নেতিবাচক চরিত্র। দূর্গাদেবীর নেতিবাচক চরিত্র মধ্যেই আবার লুকিয়ে রয়েছে কমেডিও।
একজন ব্যক্তি যখন খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে থেকে ধীরে ধীরে উন্নতি করতে থাকে তাঁর ব্যক্তিতে একটা ছাপ পড়ে। কোনও ক্ষেত্রে সেই মানুষটা খুব ভালো এবং দয়ালু প্রতিপন্ন হয় নয়তো সে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে। তাঁর মনে হতে থাকে তাঁর খারাপ অবস্থার সুযোগ নিয়ে যেসব মানুষ তাঁর সঙ্গে খারাপ করেছে আজ তাঁর অবস্থার উন্নতি হতে সেই মানুষগুলোর থেকে প্রতিশোধ নিতে একেবারে মরিয়া হয়ে ওঠে সেই ব্যক্তি। দুর্গাদেবী এই দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ। একসময় তাঁকেও সমাজের মানুষ প্রান্তিক করে রেখে ছিলেন। তাই দূর্গাদেবীর অবস্থার উন্নতি হতে এবং তাঁর হাতে ক্ষমতা আসতে তিনিও প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন এবং যে সব মানুষগুলো তাঁর পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একসময় তাঁকে লাঞ্ছনা করেছিল তাঁদের ক্ষতি করতে চায় সে।
গ্রামের দুটি জমিদার পরিবার এবং এই দুটি পরিবারই দুটি আলাদা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। দুজন দুজনের বিরোধী দল। যে সময়কার ঘটনা দেখানো হচ্ছে সেই সময় ভোটে জিতে দুর্গাদেবী ক্ষমতায় রয়েছেন। ওপর পরিবারটি খুবই দয়ালু ছিল।
বাংলা ছায়াছবি 'অস্কার'-এ অভিনয় করেছেন সাহেব ভট্টাচার্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়, শকুন্তলা বড়ুয়া ও আয়ুষি তালুকদার। ঝাড়খণ্ড সহ আরও অন্যান্য দারুন সব লোকেশনে ছবির শুটিং করা হয়েছে। আয়ুষির এটাই প্রথম ছবি। ছবিতে ও রাতুলের বান্ধবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছে। ছবিটিতে সুর দিয়েছেন সুরকার রূপম ইসলাম।
আমরা সবাই মিলে খুব আনন্দ করে এক পরিবারের মতো শুটিং করেছিলাম।
ছবিটা চলছে এবং আমরা আশাবাদী যে এই ছবিটা দর্শকের মন জয় করতে পারবে।